
মনে পড়ে গত দু বছর পূর্বে গুগল মামুকে কি একটা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে মেরেছিলাম। গুগল মামুও ভাগিনাকে নিরাস না করে কয়েকটি সাজেক্ট দিলো। সেখান থেকে সামু পরিবারের দেখা পাই। অনুসন্ধানকৃত বিষয়টি পাঠ শেষে আমার এত ভালো লাগলো যে লেখককে একটি ধন্যবাদ দেয়াই লাগে। যখনিই মন্তব্য করতে যাই- আপনাকে লগইন করতে হবে
নিচের দিকে যত নামতে থাকি তত দারুন দারুন সব পোষ্ট আমার সামনে। আগ থেকে আমার পড়তে ভালো লাগতো।অফ লাইনে বই পড়েতো আর কমেন্টস্ করার সুযোগ নাই, এখানে পাঠ শেষে বিষয়বস্তুর আলোকে মন্তব্য করা যায়
প্রথম প্রথম সামুর ধর্ম না বুঝেই অকর্ম, অখাদ্য পোষ্ট দিতাম। এমনকি লাইক, প্রিয়, এবং অভিযোগের প্রতিকও চিনতাম না। একবারতো আমি কৌতুহলবশত পতাকাতে ক্লিক করতেই একটি ধমকানো বার্তা আসলো
তখনো জানতাম না কোনটা সেফ আর কোনটা জেনারেল, কোনটা ব্লক আর কোনটা ওয়াচ
মডারেটর কর্তৃক বার্তা দেখলাম আমাকে নাকি তিনদিন পর্যাবেক্ষন করবে তারপর আমার পদোন্নতী হবে
প্রথম বছরটাতে সহজে সহব্লগারদের ভালো করে আপন করতে পারি নাই। অন্যের পোষ্ট দেখে হিংষে হতো। কেমনে এত সুন্দর পোষ্ট দেয়। প্রথম বছরে যাদের সহযোগিতা সর্বদায় পেয়েছি তারা হলেন- ব্লগার ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী, ব্লগার চাঁদগাজী, ব্লগার কালিদাস, ব্লগার সেলিম আনোয়ার, ব্লগার ধ্রুবক আলো, ব্লগার সনেট কবি, ব্লগার শাহরিয়ার কবির, ব্লগার ওমেরা, ব্লগার জাহিদ অনিক, ব্লগার নতুন নকিব, ব্লগার অর্ক, ব্লগার, খায়রুল আহসান, ব্লগার ডাঃ এম আলী, ব্লগার শাহাদাত হোসেন (সত্যের ছায়া), ব্লগার নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন, ব্লগার মনিরা সুলতানা, ব্লগার আখোনাটেন, ব্লগার ভ্রমরের ডানা, ব্লগার মোঃ মাইদুল সরকার, ব্লগার বিলিয়ার রহমান, ব্লগার প্রামনিক, ব্লগার সায়মাসহ আরও অনেকেই যাদের কথা এখন মনে করতে পারছি না তাদের সহযোগিতায় আমি ব্লগে প্রথম বছর পার করলাম আনন্দের সাথেই
দেখতে দেখতে কখন যেপ্রথম বছরের বর্ষফুর্তির পোষ্টটি।
সামুতে দুই বছর দুই দিন পার করলাম টেরই পেলাম না। লগইন করে পোষ্ট পড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, এ দিকে নিজের আয়ু পুরাচ্ছে সেদিকটার লক্ষ্য করলাম না। বাস্তব জীবনেও এমনটি হয়ে আসছে। প্রতিদিন সূর্য নিয়ম করে উঠে নিয়ম করে অস্ত যায়, আর একটা করে দিন জীবন থেকে পার হয়।
আজ সকালে লগনই করতে আমার এখানে তিনটি নোটি দেখাচ্ছিল। জানতাম ক্লিক করলেই শূণ্য দেখাবে। এমনটি হয়ে আসছে আমার প্রোফাইলে। কার কেমন জানি না। এ নিয়ে একটি পোষ্টও দিলাম প্রথম বছরে। আমার পোষ্টে নতুন একটি মন্তব্য দেখতে পেয়ে নিজে নিজে লজ্যা পাচ্ছি আর মন্তব্যকারী ব্লগারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছি। ব্লগার ব্লগার স্রঞ্জিসে আমাকে দ্বিতীয় বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলার্ট করার পর বুঝতে পারছি যে, আমিতো বুড়ো হচ্ছি। জীবনের শেষ মুহুর্তেও যদি কেউ এসে আমাকে এলার্ট করতো- এই তোমারতো এখানে থাকার সময় শেষ। পরপারের জন্য রেডি হও। পোষ্টের মাধ্যমে ব্লগার স্রঞ্জিসেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ব্লগে দ্বীতীয় বছরেও আমি এ ব্লগে অনেক অনেক রত্ন পেয়েছি যাদের নাম না বললেই নয় যাদের সহযোগিতায় ব্লগে পথচলা সুন্দর ও সুগম হয়েছে তারা হলেন ব্লগার নজসু, ব্লগার হাবিব স্যার, ব্লগার কাউসার চৌধুরী, ব্লগার মাইদুল সরকার, উনি অবশ্য পুরাতন, ব্লগার ল, ব্লগার রাকু হাসান, ব্লগার নিজাম উদ্দিন মন্ডল, ব্লগার তারেক মাহমুদসহ আরও অনেকেই যাদের সহযোগিতায় আমি সামুতে ২য় বছর সুন্দর করে পার করতে পারছি।
ব্লগে অলস ব্লগার থাকলে আমিই। লিখার চেয়ে পড়তে বেশি ভালোবাসি। আপনারা লিখতে থাকে আমি পড়তে থাকি। বিগত বছরে সংকলনে আমার দুটি পোষ্ট আসলো মাকড়সার ফাঁদ ও আজও মোগল সম্রাজ্যের স্মৃতি বহণ করে আসছে বজরা শাহী মসজিদ।
সকল সহব্লগারদের জানাই, আন্তরিক ভালোবাসা।
লিখায় বানান ভুল আমার বরাবরই ছিলো, এ পোষ্টেও থাকতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


