আজ ইফতারের আগে ইফতারী কিনতে গিয়ে দেখি যে পিঁয়াজু আমরা সারা বছর কিনি ১ টাকা অথবা ২ টাকা ঐ পিঁয়াজুর দাম ৪ টাকা। জিলাপি যেটা কিনতাম প্রতি পিস ৬ টাকা, ঐটা কিনলাম ৮ টাকা দরে। বেগুনি যেটা কিনতাম ২ টাকা দরে ঐটা কিনলাম ৪ টাকা দরে। একই রকম ভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম ৭৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত বেশি দামে কিনে আনলাম।
ইফতারের পর নামাজ পরে বাহিরে গেলাম চা খাওয়ার জন্য। রাস্তার পাশে এক দোকানে দাড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার চোখ আটকে যায় সামনের দেয়ালে একটা পোষ্টারের উপর। একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি "শেখ কামাল" এর ৬২ তম "জন্মবার্ষিকী"। এবং এই উপলক্ষ্যে একটা প্রোগ্রাম এর আয়োজন আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রধান অতিথী আমাদের জননেত্রী, গরিবের বান্ধবী (বন্ধু), ডিজীটাল বাংলাদেশের রুপকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী "শেখ হাসিনা"। আমার পাশে এক বন্ধু ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম "শেখ কামাল" টা কে? সে বলল "জানিনা"। আমি অনেকক্ষন যাবৎ স্মৃতী হাতরিয়েও বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় এই নামটা খুঁজে পেলাম না। যে লোকটা আমাদের এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করেছেন। অথচ উনার জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে এই দেশের ই মাটিতে, এই দেশের ই মানুষের রক্ত পানি করা পয়সায়। যেদেশে আমার মতো রাস্তার কুকুরেরা ঠিকমতো দুবেলা দু মুঠো খেতে পারেনা।
পাঠকরা আমায় ক্ষমা করবেন কারণ আমি ইতিহাসের বিশারদ না। হয়তো উনার নামটা ইতিহাসে থাকলেও থাকতে পারে। যদি কেউ আমাকে জানাতে পারেন আমি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। যদিও থাকে তারপরও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উনার জন্মদিন পালন করা এবং ঐ অনুষ্ঠানে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ব্যাস্ত মানুষের প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত থাকা আপনি কতটুকু সমীচিন বলে মনে করেন।
আবার পুর্বের কথায় ফিরে আসছি।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন। তিনি দ্রব্যমূল্য কতটুকু নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছেন তার মূল্যায়ন আপনারাই করবেন।
আমি জানি আমার এই লিখা তে কারো জন্মবার্ষিকী পালন ও বন্ধ হবেনা, এবং দ্রব্যমূল্য ও কমে যাবেনা। কারন আমার মতো রাস্তার কুকুরেরা অনেক কথাই বলবে, যেদিকে চোখ দেয়ার মতো সময় সংশ্লিস্ট কতৃপক্ষের থাকবেনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




