গতকাল একটি স্টিল ফ্যক্টরিতে বয়লার বিষ্ফোরনে এক জন মারা গেছে এবং ১৮ জন আহত হয়েছে । আজ সকালে খবরের কাগজ খুলে খবরটা দেখে খুব খারাপ লাগলো। তা্ই অনেক দিন পর সামুতে লিখতে বসলাম।
এখন কথা হল এর দা্য় কার। কিছু কিছু মনুষকে প্রা্য়ই বলতে শোনা যায় যে আমাদের দেশে এত মানুষ আছে যে এক দুই জন মারা গেলে কারো কিছু হবে না। বরং দেশের জন্য ভাল। এখানে আসল কথাটি হল মানুষটি যদি শ্রমিক হয় তাহলে কারো কিছু যায় আসে না কিন্তু আমদের রাজনীতিবিদদের গা্য়ে যদি একটু আচড় লাগে তখনি তারা আবার বলে যে দেশের অবস্হা এই সেই কতো কি।
আমাদের দেশের ফ্যক্টরিগুলো নিয়ম নীতির যেমন কোনো ধার ধারে না তেমনি সরকারের এ নিয়ে কোনো মথা ব্যাথা নেই। সবাই যে যার পকেট ভারি করতে ব্যাস্ত। ফ্যক্টরির মালিকরা Engineer কে বেতন দেয়ার চেয়ে ছেলে বা নাতি নাতনিদের BMW কিনে দিতে বেশি গুরুত্বপু্র্ন মনে করেন এবং তাতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
আমার এক শিক্ষক একবার একটি মজার তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি যখন UK তে ছিলেন তো সেখানের একটি Index দেখেছিলেন। Index টি ছিল Accident এর উপর। তো সেখানে একটি Industry শ্রমিকের Accident Index হল ৪.৬। মজার ব্যপার হল সেই শ্রমিকটি যদি তার বাড়িতে থাকে তবে তার Accident Index হল ৪.৪। মানে শ্রমিক তার বাড়ি থেকে Industry তে বেশি সুরক্ষিত। আর এই সুরক্ষা এক দিনে সম্ভব হয়নি বরং Engineer দের বহু দিনের অক্লান্ত পরিশ্রম এর ফলেই সম্ভব হয়েছে। এই জন্য উন্নত বিশ্বে তাদের এত চাহিদা। আর আমাদের দশে তাদের ভাত জোটে না।
এখন আমার সরকার ও তথাকথিত অশিক্ষিত ফ্যক্টরি মালিকগনের কাছে প্রশ্ন
আপনার কাছে কোনটির গুরুত্ব বেশি মানুষের জীবন না টাকা, না ছেলের আবদার!!!!!!
ও কিছু পরিসংক্ষান
বাংলাদেশে স্টিল ফ্যক্টরির সংখা-১০০ শ্রমিক-২০,০০০
২০০৮ সালে ফ্যক্টরি দূর্ঘটনা্য় মারা গছেন ১৭৬৮ জন শ্রমিক
তথ্য---Daily Star

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




