somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তেলাপোকা রোমেন
আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠাবেন না।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সকাল বেলা প্রথম আলোর খবরে চোখ আটকে গেল। সেখানে আহমদ শফি বলছেন-

আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। বিয়ে দিলে স্বামীর টাকা পয়সা হিসেব করতে হবে। চিঠি লিখতে হবে স্বামীর কাছে। আর বেশি যদি পড়ান, পত্রপত্রিকায় দেখছেন আপনারা, মেয়েকে ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ, বিএ পর্যন্ত পড়ালে ওই মেয়ে আপনার মেয়ে থাকবে না। অন্য কেহ নিয়ে যাবে। পত্রপত্রিকায় এ রকম ঘটনা আছে কিনা? ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে মেয়ে আপনাদের থাকবে না। টানাটানি করে নিয়ে যাবে আরেকজন পুরুষ।

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার গা গুলিয়ে আসছে। কিছু লিখতে পারছিনা ওনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। মানুষের মৌলিক চাহিদার বিপরীতে দাঁড়ানো একজন শুঁয়োরের বাংলাদেশ নামের একটা স্বাধীন দেশে বেচে থাকার অধিকার কতটুকু আছে ভেবে দেখুন। অথচ এই লোকটাই ৫ই- মে তারিখে শাহবাগে নিষ্পাপ মাদ্রাসা ছাত্রদের বুর্জোয়া রাইফেলের মুখোমুখি করে দিয়ে সরে পড়েছে। তাদের রাস্তায় নামিয়ে আনা হয়েছিল আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে!! অথচ নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের পা চেটে বা আওয়ামীলীগের লোকজন তার পা চেটেছে, উনিও শেখ হাসিনার পা চেটে বলেছেনঃ প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে!!



তিনি কোন এক আলোচনা সভায় বলেছিলেনঃ কেউ কেউ বলছেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছি। তারা মিথ্যা কথা বলছেন। তবে আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেও কোনও আপত্তি নেই।

যেই আওয়ামিলীগ নাস্তিক ছিল। শেখ হাসিনা নাস্তিকের তোষনকারী ছিল সেই শেখ হাসিনাকে তিনি সংবর্ধনা দিতে চেয়ে বলেছিলেনঃ

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি সংবর্ধনা দিতে চাই!!



অথচ এই তেতুল হুজুর বলেনঃ ‘আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে আমার বা হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই আমার কোনো সিদ্ধান্ত ও কর্মকৌশলকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’

আমাদেরো আসলে দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে। দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে ব্লগে থাকা এদের দোসরদের মুরিদদের। যারা শফি হুজুরের এইসব কর্মকাণ্ড আর তার অর্থনৈতিক যোগানদাতাদের জামাত বা বি,এন,পি র উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন।

ব্লগার স্বাধীন ২০১৩ সালের এক পোস্টে বলেছিলেনঃ

খালেদা জিয়া ৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনও এই শফি এমন দাবী নিয়ে মাঠে নামেননি। কারন হিসেবে বলা যায়, তখন তারা ছিলেন বিএনপির দোসর। আল্লামা শফি সম্প্রতি বগুড়া জনসভা করলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। যার ভাড়া ছিল প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা। আমরা সবাই জানি কওমি মাদ্রাসা চলে দান, সদকা, যাকাত, চামড়া আর ফিতরার টাকায়। সেই টাকা দিয়ে মাদ্রাসার প্রধান যখন রাজকীয়তার সাথে বিলাস বহুল ভাবে হেলিকপ্টারে ভ্রমন করে, তখন প্রশ্ন জাগে এই টাকার উৎস কি? এর জোগান দাতা কারা? একটু লক্ষ্যে করলেই দেখা যাবে এর উৎস জামায়াতে ইসলামী। কেননা তাদের ব্যাংক, বীমা, রিয়েল এস্টেট, ফার্মেসী, কোচিং ব্যবসা রয়েছে। এই অর্থে হেফাজতের নেতারা সারা দেশে শানে রেসালত এর নামে সরকার বিরোধী জনসমাবেশ করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। আগামী ৫ই মে তাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসুচী রয়েছে। এই উপলক্ষ্যে প্রচার প্রচারনার ঘাটতি নেই। মুলত ঘুম নেই জামায়াত শিবির কর্মীদের চোখে। তাদের উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা। হেফাজতের নেতারা সবাই ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মী দেশবাসী এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের কোন অর্থনৈতিক মুক্তি তথা মানব মুক্তির কথা উল্লেখ নেই। সচেতন মহল এই রাজাকারদের ডাকে কখনও সাড়া দিবে না বরং প্রতিহত করে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিবে এ প্রত্যাশা দেশবাসী এখনও করে থাকে।

পোস্ট আর দীর্ঘায়িত করব না। প্রিয় কয়েকলাইন রেখে গেলাম।

বারবারা, এসো,
রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই-
বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি
অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই
জল্লাদের শাণিত অস্ত্র
সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে,
দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে
সঙ্গীত ও চিত্রকলাকে ধ্বংস করার পূর্বে
ছাড়পত্রহীন সূর্য কিরণকে বিষাক্ত করার পূর্বে
এসো বারবারা, বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×