নোটঃ। কোন লাইনের কোন মানে নেই। আসলে আমি কোনকিছুতে মানে খুজিনা। আমি খুজি অনর্থকর সব জিনিস। যারা অর্থহীন মানুষ, কাজ পছন্দ করেন তাগোরে উৎসর্গ কইরা দিলাম!
১। রোদ ছড়ায়ে দিতেসি, কাকেরা আইসা রোদ ঠোকরায়ে খাইতেসে।
২। এক মাতাল মাইয়ার লগে সারারাইত দাবা খেললাম তাই ঘুমাইনাই। আমি ঘুমাইসি দাবার কোটে। আমার চোখের সাদা কালার আর কালা কালার সেইম কালার কোডের। কিন্তু ঐ মাইয়ার চোখ লাল আছিল! লাল রঙের কোন দাবার কোট নাই?
অসম্ভবের কিছু নাই। প্যারালাল ইউনিভার্সের কোন আয়নাঘরে রাখা দাবার কোটের ৮*৮ সবগুলোতেই লাল রঙ করা। আচ্ছা তারা কিভাবে দাবা খেলে? সিক্স সেন্সর খাড়া কইরা? তাদের মাথায় ত্যালাপোকার মত নার্ভভর্তি এন্টেনা আছে?
৩। ইস্টিশনের টিকেটবিক্রেতা তার কাউন্টারের সামনে আয়না বসায়া রাখসে। নিজেই নিজের চ্যাহারা দেইখা নিজের কাছে টিকিট বিক্রি করতেসে। টিকেট ব্যাচা শেষে আয়নায় ফুঁ দিলে আয়না ভাইঙা যাইতেসে। হোয়াটস রংং উইদ হিম। প্লিজ স্টপ হিম, আবর্ট দিস ফাকিং মিশন। সুর্য উইঠা গ্যাছে।
৪। চিনি গলায়া শিরা বানাইতেসি। এই শিরায় চোখের মনি ভাইজা খামু।
৫। আমার আত্বা তোমার বালিশের নিচে ঘুমায়। আর তোমার ঘুম খাইয়া বাচে! বেচারারে বাচাইতে পারিনাই, কোন একদিন ঈদের সকালে নিঃশ্বাস চুরি হইয়া গেসিল!
কিন্তু….
ইদানীং তুমি ঘুমাইতেস না ক্যান? আমার আত্বা কি খাইয়া বাচে কও তো!
৬। বৃষ্টি পড়তেসে, আমি বৃষ্টির শব্দ শুনতেসি না। আমি বৃষ্টির শব্দ দেখতেসি। দেখা আর শোনা কক্ষনো একই জিনিস হইতে পারে।
উদাহরণ দেইঃ আমি শুনসি তোমার একজন প্রেমিক আছে। আমি দেখসি তুমি তোমার প্রেমিকরে নিয়া পার্কসাইড ক্যাফেতে বইসা আছো। তোমার গালে টোল পইড়া সুন্দর লাগতেসে।
সো দিস টু সেন্সেস আর গোয়িং টু সেইম ডিরেকশন। এ স্ট্রেইট লাইন। ওয়াই ইকল এমএক্স প্লাস সি। ওয়াই হইতেসে ধর আমাগো পরিনাম, এম হইতেসে তুমি, এক্স হইতেসে তোমার প্রেমিক। সি হইতেসে ধর গিয়া আমি। এখন ধর ওয়াই ইকল এমেক্স ও ল্যাখা যায়। সেক্ষেত্রে সি টারে মানে আমারে ফ্যালায়ে দিলেও চলতেসে।
৭। আমারে কোন বইয়ের ভাজে রাখসো? নাকি আমার ইশকুলের স্যাতসেতে ছাদ পার হইয়া যে বাদামী কালারের চিলেকোঠা আছিল, যেইখানে আমরা বসতাম ক্লাস ফাকি দিয়া, যেইখানে তোমার শরীর থেইকা মুঠো মুঠো লাইট গার্নিয়ার খইসা পড়তো- সেইখানেই রাইখা আসছিলা?
৮। সারারাত ঘুমাইনাই, তাই আর কিছু লিখুম না। বাজারে যামু।