ডোনাল্ড ট্রাম্প খালি গায়ে লুংগি পরে মশারীর মধ্যে বসে আছেন। হাতে টর্চ। গত তিন ঘন্টা ধরে তিনি মশারির মধ্যেকার মশা মারছেন। এত মশা কোথা থেকে আসলো? মশারির রাজনৈতিক সীমারেখা? লাইন অফ কন্ট্রোল? আফগানিস্তানের বর্ডার?
নাকি মশারা বাচ্চা ফুটাচ্ছে ইনস্ট্যান্ট? ফিবোনাক্কি ক্রমে মশাদের সংখা বাড়ছে? 1 2 3 5 8 13 21 34......
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠাৎ মনে হল তিনি আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্প নন। তিনি হচ্ছেন বাকেরগঞ্জের গোলাম হোসেন। পান বিড়ির দোকানদার।
গোলাম হোসেনের চোখ ছলছল করে উঠলো। তিনি এই গণিত শিখলেন কীভাবে!! তিনি কি আসলেই গোলাম না ট্রাম্প?
এর পরদিন থেকে গোলাম হোসেনকে একটি ক্যাপশন বিহীন সাইনবোর্ড নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের মোড়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি ক্যাপশন লিখতে ভয় পান।
রাষ্ট্রযন্ত্রের মোড়ে দাড়িয়ে গোলাম হোসেন এক হাত দিয়ে মশা মারেন। আরেক হাতে সাইনবোর্ড। তার মনে হতে থাকে এগুলো আসলে মশা না। এগুলো ক্রোকোডাইল। কুমির। রাষ্ট্রের প্রোডাকশন। এই কুমিরগুলো মশা হবার ভান করে গোলাম হোসেনের মত মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে।
গোলাম হোসেনকে অথবা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে এখন কয়েক হাজার কুমির অথবা মশা। তিনি লাইট বন্ধ করে চুপচাপ বসে আছেন। তার মনে হচ্ছে কথা বললেই এই কুমির তাকে গিলে ফেলবে।
- খুলনা
- পহেলা মার্চ দুই হাজার একুশ