আমি আশ্চর্য হই- এই দেশে প্রচুর মানুষ ব্রেন ক্যান্সারে মরে যায়। কিন্তু ব্রেন বা ঘিলু আছে অল্প কিছু মানুষের। তাইলে বাকী যারা ব্রেন ক্যান্সারে মরে যায় এরা কি মরে যাওয়ার নাটক করে আসলে?
খুলনার একটা এরিয়াতে ঢোকার প্রত্যেকটা রাস্তা কাটা। গত ছয় মাস ধরে! পাঁচ মিনিটের রাস্তা পচিশ মিনিট লাগে। আর অলিগলিতে ঢুকলে বের হবার রাস্তা পাবেন না। মনে হয় ইরাক আফগান মুলুকে আছি। একটু পরেই আম্রিকান বিটু উড়ে যাবে। একটু আগে এই এরিয়াতে বোম্বিং হইসে।
প্রফেশনালিজম বা ওয়ার্ক ম্যানার বইলা একটা কথা আছে। সুইপার থেকে শুরু কইরা এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার সবারই এইটা মানতে হয়। বাংলাদেশে কোন পেশাতেই এই জিনিসটা নাই। একটা সুনির্দিষ্ট প্লান কইরাও উন্নয়ন মারানো যায়।
বাঙ্গুদের এম আইটি বা সরকারি আজিজুল কলেজ থিকা পড়ায়া নিয়া আসেন তাতে লাভ নাই। এরা জীবনেও প্রফেশনাল এথিকস, এটিকেট শিখবো না।একটা সামান্য সাইনবোর্ডলিখতেও দুই চারটা বানাম বুল করে।্এররা একসাথে সব রাস্তা খুঁচে বসে থেকে বলবে উন্নয়ন মারাইতেসি দেখেন না?
এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নাই, আইনের শাসন পায় না সেই হিসেবে এগুলা ভেরি স্মল হ্যাজার্ড। এরচে বরং কোনমতে বাসায় ফিরে টিকটক খুলেই অল্পবয়সী স্বল্পবসনা মেয়েদের নাচানাচি দেখলেই মন ভালো হয়ে যাবে।
এই একটাই সুবিধা হইসে। বাপ দাদাদের নামে রিপোর্ট ছিল তারা বাইজি বাড়ি যায়। এখন আর অত কষ্ট করে বাইজি বাড়ি যাওয়া লাগেনা। মাসে ৫০০ টাকা বিল দিলে কম হলেও ৫০০ নর্তকীর নাচ দেখা যায়। দুই পক্ষই বেনিফিট পাচ্ছে। নাচলে টাকা পাচ্ছি এডসেন্স থিকা।
নাচ দেখলে উন্নয়ন হ্যাজার্ড ভুলে থাকতেসি।
খুলনা শিপইয়ার্ড
ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২