অপেক্ষার শেষ প্রহরটি নাকি সুখেরই হয়। জীবনে কতো কিছুর জন্যই যে ওয়েটাইতে ওয়েটাইতে কাতর, বিরক্তিতে ত্যক্ত হয়ে হয়ে মনটা বিষাক্ত হয়ে আছে তার কোন ইয়ত্বা নেই। সেই ছোট বেলায় বাইচ্ছা কালে আরকি ক্ষিধা লাগলে ওয়েটাইতে মন চাইতোনা, তাই চিক্কুর দিয়া পুরা ঘরময় একটা আনন্দের সৃষ্টি করিতাম। লও ঠেলা।
আরেকটু বড় হওনের পর কেমনে কেমনে জানি ওয়েটাইতে অভ্যস্থ হইয়া পড়লাম। যেমন কোথাও বেড়াইতে যামু, শার্ট পড়ছি, প্যান্টের জন্য নেঙটু হয়ে খাড়াই আছি। তখন বিরক্ত জিনিসটা বুঝবার পারতামনা বইলা বিরক্ত হইতামনা
আরেকটু বড় হইলাম, স্কুলে যাইতাম ভ্যানে করিয়া। মনে হয় আমরা মুরগীর বাচ্ছা। ভ্যানে করিয়া এক জায়গায় নিয়া ছাইড়া দিতো, আমরা চড়িয়া চড়িয়া কিছুক্ষন খাইয়া দাইয়া আবার ওই বাক্সে করিয়া ফিরিয়া আইতাম। তয় যাওনের আওনের সময় কিন্তু সেই বয়সে ওয়েটাইতে হইতো ভ্যানের জন্য। বিরক্ত হইতোনা, খুশি হইতাম। যথই দেরী হইতো ততই খুশি হইতাম, ভ্যান না আইলে স্কুলে যাওনের আর কি কাম?
সেই ছোট কালে সময় ফুরানোটাই যেন বিরক্তের ছিলো। আর এখন? আর কইয়েন না। ঠেলা আর ঠেলা
বড় স্কুলে ঢুকলাম, পরীক্ষার সময়, গাড়ী আসেনা, চরম বিরক্তি। লও ঠেলা।
এরকম হাজারো কিসিমে হাজার যন্ত্রনায় ওয়েটাইতে ওয়েটাইতে এখন বড় হইলাম ওয়েটানোর বিরক্তিকর সব অভিজ্ঞতার স্বাধ গ্রহন করিয়া। লও ঠেলা।
সেই জীবনেরই অংশ সামু মামুর বাড়ি। আইলাম, নিক বানাইলাম, মাগার সেফ হইনাক্কা, লও ঠেলা
ওয়েটাইতাছি আর ওয়েটাইতাছি, অনেক দিন পর দেখি সদস্য হতে ডাইরেক্ট জেনারেল বানাইয়া দিলো। তখন আমার মাত ফুটলো। লও ঠেলা
সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ, আর ওই যে কইলাম অপেক্ষার শেষটা মিষ্টি হয়, তেমনি হইছে
তাই লও ঠেলা
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




