somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিটেনে উচ্চ শিক্ষা বলির পাঠা শিক্ষার্থী !

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হঠাৎ করেই ইউকে বর্ডার এজেন্সি জানিয়ে দিলো বাংলাদেশ থেকে আপাতত আর কোন শিক্ষার্থীর আবেদন তারা গ্রহন করছে না। ইউকে বিএর যুক্তি হলো এক সাথে অধীক আবেদনকারী সামলাতে তারা হিমশীম খাচ্ছে। তাই আপাতত কিছুটা বিশ্রাম। ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে টায়ার ৪ নিয়ে নতুন নীতি মালা নিয়ে আসছে হোম অফিস। ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন টায়ার ৪ এর পয়েন্ট বেজড পদ্ধতিটি পুরোপুরো ব্যর্থ। এই পদ্ধতির ফাঁক গলিয়ে ব্রিটেনে ঢুকে পড়েছে অনেক অছাত্র। এতে করে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের ব্রিটেনে শিক্ষা লাভের সুযোগ ব্যহত হচ্ছে। ইউকের বিএর এই সুযোটিকে অপব্যবহার করেছ কিছু ভুয়া কলেজ ব্যবসায়ী। ইউটিউবে সেই প্রতিবেদনটি দেখে নিতে পারেন নবাগতরা

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যে কোন অযুহাতে নিজের দেশটা ছাড়তে পাড়লেই যেন আমরা বাঁচি। তাই এত ঝুঁকি নিয়ে নিয়ম ভেঙ্গে আমরা দেশ ছাড়ি , আসলেই কি আমরা ভালো আছি ?

মধ্যস্বত্তভোগী যে সকল এজেন্ট রয়েছে তারা অনেক শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা । অনেক এজেন্ট শিক্ষার্থীদের বলছেন লন্ডনে আগে ঢুকেন তারপর আপনার সকল দড়জা খুলে যাবে। কাড়ি কাড়ি পাউন্ড কামাতে পারবেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জায়গা জমি বিক্রী করে , বাবার পেনশনের টাকা তুলে দিচ্ছে এজেন্টদের কাছে। এজেন্ট আর ভূয়া কলেজের জনৈক অনভিজ্ঞ প্রিন্সিপাল মিলে সেই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছেন ! বিলেতে এসে সেই শিক্ষার্থীরা অসহায় হয়ে পরেছেন।

এসকল মধ্যস্বত্তভোগীদের একটা নিয়ম নীতির মধ্যে আনতে হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের শাখা বৃদ্ধির ব্যপারে আমরা প্রতিনিয়ত ব্রিটিশ হাই কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। ডিএফআইডির কর্তা ব্যাক্তি ও ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রধাণের সাথে লন্ডনে সর্বশেষ বৈঠকেও এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ব্রিটিশ কাউন্সিলের শাখা বৃদ্ধি করলেও শিক্ষার্থীরা অন্তত সঠিক তথ্য পেতে পারে।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা না বললে অনেক সত্য ঘটনা অজানা থেকে যাবে। প্রতিদিনই দুই একজনের চাকরির জন্য অনুরোধ আছসে। গত ছয় মাসে এত নতুন মুখের আহাজারী দেখিনি আমার ছয় বছরেরর প্রবাস জীবনে। অনুরোধ আসছে...আমি নিরুপায়...পারছিনা...চেষ্টা করছি সবাইকে হেল্প করতে কিন্ত সামর্থেরও সীমারেখা রয়েছে। তাই বলি, আপাতত অর্থনৈতিক সঙ্গতি না থাকলে ব্রিটেনে না আসাই হবে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ পরামর্শ । ইতিপূর্বে আমার লেখায় আমি বলেছিলাম কাজের সুযোগ ব্রিটেনে একেবারেই সীমীত । নবাগতরা সেই কথা শুনেছে বলে মনে হয়না


তবে প্রকৃত অর্থেই যারা অনেক স্মার্ট ইংরেজীতে ভালো দখল রয়েছে তাদের হয়তো পড়াশুনার পাশাপাশি একটা পার্ট টাইম কাজ জুটে যাবে । সেই খরচ দিয়ে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হলেও দেশে টাকা পাঠিয়ে সংসার চালানো অসাধ্য। এই প্রাপ্তি কতটুকু স্বচ্ছলতা এনে দেবে এই সকল ভাগ্য বিড়ম্বিত যুবকদের জীবনে সেটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

এই অবস্থায় যারা ব্রিটেনে চলে এসেছেন তারা এখন যদি
দেশে ফিরে যান তাহলে তাকে লুজার হিসাবে সবাই তাচ্ছিল্য করবে , অন্যদিকে বিনিয়োগ করা ৪/৫ লাখ টাকা জলে যাবে । লাভের মধ্যে লাভ হবে - পাসপোর্টে একটা বিলেতি স্ট্যম্প ,বিমান চড়ার অভিজ্ঞতা আর বিদেশ ভ্রমনের স্মৃতি। দেশে ফিরলে আত্নীয় পরিজন আর বন্ধুদের কাছে মুখ দেখাতে পারবেনা এই রকম একটা পরিস্থিতিতে অনেকেই নিজের জীবনের চূড়ান্ত পরিনতি মেনে নিয়ে ব্রিটেনে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিজের সূর্বণ যৌবনের সময় উৎসর্গ করে দিচ্ছে পরিবারকে একটু ভালো রাখবার জন্য , কিন্তু এই সকল যুবকদের নিজ দেশে থেকে ৫/৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ছোট্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে মাসে ১০-১৫ হাজার টাকার রোজগারের পথ বাতলে দেবার কি কেউ নেই ?
কৃষি নির্ভর আমাদের এই দেশে সবাই পড়তে চায় এমবিএ আর বিবিএ। অথছ তারা খুঁজে দেখেনা ইতিপূর্বে যারা গনহারে এমবিএ আর বিবিএ পড়তে এসেছে তারা কতটুটু সেই পথে হাঁটছে!

কর্মমূখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর দিচ্ছে দাতা সংস্থাগুলো। এই খাতে প্রশিক্ষীত লোকের যেমন অভাব তেমনি সুযোগ ও বেশী । কিন্তু আমাদের সেই দিকে নজর কম।

মূল কথা হচ্ছে আপনি ব্রিটেনে আসবেন ভালো কথা , আপনার উদ্দেশ্যটা কি ? সেটা সম্বর্কে আপনি কি নিশ্চিত ? আর আপনি যা ভাবছেন সেই সম্পের্ক আপনি কতটুকু তথ্য প্রমান নিয়ে একটা নতুন দেশে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন সেই বিষয়গুলো ভাবতে হবে। ঠান্ডার দেশে আসলে যেমন গরম জামা কাপড় চাই, তেমনি প্রতিকূল পরিবেশে নিজের অবস্থান তৈরী করার জন্য নিজেকে সেই পরিবেশের উপযোগী করে প্রস্তুত করাটাও ততটা জরুরী।




সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৩
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×