১.
জ্ঞানহীন তৌহিদি জনতা আমার-আপনার কাছে হাসির পাত্র ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারেনি। হেলমেট বাহিনীকে তো তা'ও ভয় পাই আমরা। এদের জন্য না আছে ভয়, না আছে সহমর্মীতা, না আছে এক ফোঁটা শ্রদ্ধা।
বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দল দূতাবাস ঘেরাও করার আন্দোলন করেছে। একটাতেও পুলিশ গুলি চালিয়ে মেরে ফেলার সাহস করেছে? কিন্তু এরা দূতাবাস থেকে শত মাইল দূরে আন্দোলন করেও গুলি খেয়ে মরে গেল। কারন এদের দাম নাই আপনার-আমার কাছে। এদের এই মরে যাওয়ার হাহাকার শুধু তাদের কমিউনিটিতেই সীমাবদ্ধ।
কিন্তু,
এরা আবাল হলেও এরা বাংলাদেশী।
এরা সাম্প্রদায়িক হলেও এরা বাংলাদেশী।
এরা ব্রেইনওয়াশড, হুর-লোভী হলেও এরা বাংলাদেশী।
একদম স্বাধীনতা দিবসেই, নিজেদের পুলিশদের দিয়ে এদের গুলি করে মেরা ফেললো, আর আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে, 'এরা দেশ বিরোধী, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী, অন্য সময় তো আন্দোলন করেনা, সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে তো দূতাবাদ ঘেরাও করেনা' এগুলা বলে নিজেকে কি প্রমাণ করতে চান? খুব প্রগ্রেসিভ হয়ে গেলেন? এতো সিগনিফিকেন্ট একটা দিনে এদের 'শহীদ' করে দিয়ে খুব দেশপ্রেম জেগে গেলো?
প্রকাশ্য রাজাকার গুলোকেও তো এভাবে মেরে ফেলার সাহস হয়নি কারো।
কিন্তু এই অন্তঃসার শূন্য মানুষ গুলোকে খুব সিস্টেমেটিক ভাবে দাবার ঘূটির সৈন্য বানানো হয়েছে
২.
হেফাজত বলেন, রেন্ডম বাজারে ধর্মীয় বক্তা বলেন, এরা টিপিকাল রাজনীতিবিদদের থেকেও বেশি সুবিধাবাজ। এতো বড় একটা আবাল তৌহিদী সমাজ প্রতিষ্ঠার দায় এদের।
লীগ-বিএনপির নেতারা তা'ও মাঠে নামে, কর্মীদের পাশে থাকে- কিন্তু এই বাজারে হুজুর গং এর দেখা মেলে না। কর্মীদের 'জিহাদে' ঠেলে দিয়ে তারা রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে পরে হেলিকপ্টারে চড়ে, আর এই আবাল কওমী সমাজ ঘোড়ার পিঠে চড়ে আরবের যুদ্ধের চিত্র রিক্রিয়েট করার চেষ্টা করে, হুদাই পুলিশের গুলি খেয়ে মরে যায়।
'ঠিক কিনা' বলে চিল্লায়ে চেয়ার থেকে লাফ মেরে উঠে, আর তওহীদি জনতা তাকবীর দিয়ে পারলে ওখানেই শহীদ হয়ে যায়। এই তৌহিদী জনতা ধর্মীয় জ্ঞান বেহেশ্তী জেওর আর মক্সুদুল মুমীন এর বাহিরে নাই। এই যে পিচ্চি সাজা 'মাদানী' টাইটেল লাগানো বক্তা গুলো এদের এভাবে উস্কে দেয়, এই মাদানী মদীনার কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা? এদের না আছে আল্লাহ'র ভয়, না আছে কোনো ধর্ম। আল্লাহ'র ভয় থাকলে ধর্ম প্রচারকে রঙ-তামাশার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস করতো না। শালারা ভয়াবহ ফেইক, একেকটা পুতে রাখা মাইন।
এই বাজারে বক্তা গুলো সুযোগ পেলেই নিজেদের ইমাম মাহাদী বলে ঘোষণা দিয়ে দেয় পারলে। এই ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়ার পিছনের সাইকোলজি বুঝার চেষ্টা করেন, তাদের মাথাকে কতোটা ম্যানুপুলেট করা হয়েছে বুঝে যাবেন।
আর এদের এই পর্যায়ে এনে দিয়েছে কে?
'আমি জানি, কিন্তু বলবো না'
৩.
যেই ইস্যু ঘিরে এতো সব হচ্ছে, ইস্যুটাই অনেক ভয়ংকর। একই ইস্যুতে কথা বলে আবরার কেও মরতে হয়েছিলো।
মোদীর সুনাম রক্ষায় এতো তৎপর কেন?
৪.
এই মোদীর কিন্তু এই দেশেই একটা ভালো সাপোর্ট আছে। সে নিজেকে ধর্ম রক্ষার নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে।
একই কারণে সৌদি যুবরাজ সালমানের'ও বড় সাপোর্ট গ্রুপ পাবেন।
এদের যতোই ডার্কনেস থাকুক না কেন সর্বকালেই দুই পাশের আবাল তৌহিদী জনতার কাছে এরাই নূরানী।