মীনার মাছের শেলফের মধ্যে থেকে লইট্টা গুলো রাক্ষুসে চোখে তাকায়ে ছিলো। তাদের রাক্ষুসে চেহারা দেখে আমার জিহ্বে পানি চলে আসে। এ কেমন ফেটিশ!
সাগরের এতো দূরে এতো তাজা লইট্টা কেমনে, কই থেকে আসলো! আর ওইদিকে চট্টগ্রাম গেলে আব্বু আম্মু আমাকে তাজা লইট্টার বড়া খাওয়াতে না পেরে আফসোস করে। নিজেকে কলকাতার দাদাদের মতোন মনে হলো, পদ্মার ইলিশ পাওয়ার আনন্দের কথা বলজি দাদা।
খালাকে মাছের নাম বলার সাথে সাথে নাকমুখ কুচকে ফেললো। বললাম, থাক আমি-ই রাঁধবো।
এই মাছ রান্না খুব রিস্কি। জ্যান্ত থাকলে যেমন রাক্ষুসে, মরে গেলে তেমন আদুরে তুলতুলে, মসলার আঁচ পেলেই গলে যায়। আগে কখনো রাঁধিনি। টমেটো'ও নাই বাসায়। বারান্দার টবে দু'টা আধমরা ধইন্না পাতা গাছ আছে। তা দিয়েই নেমে পরলাম মাঠে।
প্রথম ট্রায়ালেই সফলতা। বড় কোন ডীল ক্লোজ করেও এতো খুশি লাগেনা।
লইট্টা মাছকে রান্নার পরেও গোটা গোটা রাখার একটা হ্যাক পেয়েছি। শেয়ার করবোনা। কখনো 'কারো' সাথে কুক-অফ হলে রান্না করে তাক লাগিয়ে দেবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪