somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তীর্যক নীল
ভালবাসি মা, মাটি, দেশকে। ভালবাসি দেশের মাটির সাথে মিশে থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে যারা মাটির বুক চিড়ে, মাথার ঘাম মাটিতে মিশিয়ে সোনা ফলান, বিদেশ থেকে কষ্টিার্জিত অর্থ বৈধভাবে দেশে পাঠান আর পোশাক শিল্পকে শিল্প হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি ঘটান।nnnঘৃনা করি; ঐসব

নাস্তিক ও অবিশ্বাসীদের জয়জয়কার! ইসলামের মূলে বিষ!! পর্ব-২

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
যারা ১ম পর্বটি মিস্ করেছেন, তারা এই লিংকে ১ম পর্ব ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন।

পূর্ব প্রকাশিতের পর-
০২.০৪.১৯৯৮ইং তারিখে প্রকাশিত “দৈনিক ইনকিলাব” একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মূল প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ভারতের উর্দু পাক্ষিক সাময়িকী “তামির-ই-হায়াত”। ইনকিলাব তারই অনুবাদ প্রকাশ করে। ঐ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- ভারতের আলীগরের একসময়ের নওয়াব ছাতারী, যিনি ভারতে বৃটিশ প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠায় ইংরেজদের সার্বিক সহযোগী ছিলেন। আনুগত্যের পুরষ্কার হিসাবে পরবর্তীতে তিনি উত্তর প্রদেশের গভর্ণর নিযুক্ত হন। উত্তর প্রদেশে অনেক ইংরেজ, কালেক্টরেট পদে বদলী হয়ে আসেন। ইংরেজদের সহযোগী হিসাবে ছাতারীর সাথে ঐ সব কালেক্টরদের বিশেষ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। একবার বৃটিশ সরকার ভারতবর্ষের সকল গভর্ণরদের বৃটেনে ডেকে পাঠান। ঠিক ঐ সময়টিতে বৃটেনে অবস্থানরত ছাতারীর এক পুরাতন ইংরেজ বন্ধু, কালেক্টরেট ও কমিশনারের সাথে তার দেখা হয়ে গেলে, তিনি বৃটেনে বিশেষ কিছু কি আছে! তা পরিদর্শনের ইচ্ছা পোষন করেন। ঐ কমিশনার তখন ছাতারীকে বৃটিশ সরকারের লিখিত অনুমোদন স্বাপেক্ষে একটি বিশেষ স্থান পরিদর্শনে নিয়ে যান। বন্ধুর সহযোগিতায় লোকালয় থেকে বহু দূরে, এক গভীর অরণ্যে, সেনা ছাওনীর অভ্যন্তরে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে গড়ে উঠা একটি বিশাল মাদ্রাসা পরিদর্শন করার সৌভাগ্য লাভ করেন তিনি। সেখানে তিনি দেখতে পান, আরবী শিক্ষা ও ইসলামী জ্ঞানে বিশেষজ্ঞ তৈরী করার এক বিশাল কারখানা, যেখানে আধুনিক, উন্নত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন, হাদিস, আরবী সাহিত্য ও ইসলামের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় সমূহ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুর বদান্যতায়, আরো একটি বিষয় তিনি জানতে পারেন যে, ঐ মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও ছাত্রগণই, বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও খৃস্টান পাদ্রী। ওখান থেকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে, গোয়েন্দাদেরকে বিশেষ মিশনে পাঠানো হতো মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে। সেখানে তারা নানা রকম ছলা-কলা ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ছোট বাচ্চাদের কোরআনের গৃহশিক্ষক, মাদ্রাসার মুহাদ্দিস বা মুফ্তি হিসাবে ঢুকে পড়ত। যেহেতু তারা আরবী সাহিত্যে ও ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী, তাই নিয়োগ পেতে তাদেরকে তেমন কোন সমস্যায়ই পড়তে হতো না।
তারই জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া যায় আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে।
প্রমাণ-১
ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা(কোলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত)’র প্রথম ২৬ জন প্রিন্সিপাল (১৮৫০ইং - ১৯২৭ইং তথা প্রথম ৭৭ বছর) ছিলেন খৃস্টান। তাদের নামের তালিকা আজও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের রুমের দেয়ালে টানানো আছে। যেহেতু ঐ সময়টাতে বৃটিশ শাসন চালু ছিল, সেহেতু তাদেরকে কোন ছদ্মনাম ব্যবহার করতে হয়নি। আসল নামেই তাদের পরিচিতি ছিল।

শুধু প্রিন্সিপাল নয় মুফাস্‌সির, মোহাদ্দিস, মুফ্‌তি ইত্যাদি বিভিন্ন পদও দখল করে রেখেছিল আলেম বেশধারী ঐ খৃস্টানগণ। ফলে খুব সঙ্গত কারণেই মাদ্রাসার সিলেবাস তাদের ইচ্ছামতো তৈরী হয়েছে এবং তারা তাদের আবিষ্কৃত মৌলিক ভুলগুলি মাদ্রাসার সিলেবাসে এমনভাবে ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয় যে, পরবর্তীতে ওগুলো আর কারো দ্বারা পরিবর্তন করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। তারপর তারা প্রিন্সিপালের দায়িত্ব মুসলিমদের হাতে ছেড়ে দেয়।

প্রমাণ-২
আল কোরআনের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে বিজ্ঞান। তাই আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগেও সারা বিশ্বে বিজ্ঞানে রাজত্ব করত মুসলিম পন্ডিতগণ। কিন্তু এখন? অবাক ব্যাপার হলো, ইসলামী বিশ্বে তথা আমাদের দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাসে বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজনীতি, অংক, ফিজিক্স, ক্যামিষ্ট্রি ইত্যাদি বিষয় নেই। আছে শুধু ধর্মীয় বিষয়। তার কারণ হিসাবে মাদ্রাসার পাঠ্য বইয়ে যা উল্লেখ আছে তা হলো-
“বস্তুত দ্বীনি ইল্ম ব্যাতিত যা কিছু আছে, তা সবই আল্লাহর পথের প্রতিবন্ধক।”
যে বিষয় অধ্যয়ন করলে মানুষ নিশ্চিতভাবে আল্লাহকে ভুলে যাবে, সে বিষয় মাদ্রাসার সিলেবাসে ঢুকা হারাম হবে, এটাই স্বাভাবিক। এ মর্মে আল্লামা রুমীর এই উক্তিটি মাদ্রাসা ছাত্রদের মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে-
“ইল্মে দ্বীন হল ইল্মে ফিকাহ্, তাফসীর ও হাদিস। এগুলো ছাড়া, যে অন্য বিষয় অধ্যয়ন করবে, সে আল্লাহ বিস্মৃত হতে বাধ্য।”
(উসূলুশ শাশী, পৃষ্ঠা নং-১৬, প্রকাশক- আল-আক্সা লাইব্রেরী, প্রকাশকাল-০৯.১১.২০০৪ইং)
আল্লামা রুমীর এই উক্তিটিতে দেখা যায়- ইল্মে দ্বীনের উৎস হিসাবে ফিকাহ্‌কে তাফসীর ও হাদিসের আগে উল্লেখ করা হয়েছে। ফিকাহ্ তৈরী করেছেন তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ী যুগের আলেমগণ। সূতরাং ইসলামী জ্ঞানের উৎস হিসাবে কোরআন ও হাদিসের আগে ফিকাহ্‌কে উল্লেখ করার মধ্যে বিরাট রহস্য রয়েছে। সে রহস্য হচ্ছে- ফিকাহ্ শাস্ত্রের মধ্যে বৃটিশ গোয়েন্দারা তাদের তৈরী করা ভুলগুলি ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এব্যাপারে গভীর গবেষনা করলে, হয়ত একদিন বের হয়ে আসবে – তথাকথিত ঐ উক্তিটি গোয়েন্দারা আল্লামা রুমীর নামে চালিয়ে দিতে স্বক্ষম হয়েছে। আল্লামা রুমীর ন্যায় একজন দ্বীনি ব্যাক্তিত্ব কোরআন-হাদিসের আগে ফিকাহ্‌কে স্থান দিবেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

ইনশা’ল্লাহ্ ষড়যন্ত্রের আরো খুঁটিনাটি ও তথ্য-প্রমাণ নিয়ে খুব শীঘ্রই লিখ্‌ছি ৩য় পর্ব।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

লিখেছেন আবু ছােলহ, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

গুগল থেকে নেয়া ছবি।

সামুতে মাল্টি নিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। অনেকের কাছে মাল্টি যন্ত্রণারও কারণ। শুধু যন্ত্রণা নয়, নরক যন্ত্রণাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×