যেখানে মনে হবে আর সম্ভব না , সেখানেই খুঁজতে হবে সম্ভাবনা । যেখানে মনে হবে যে আমি ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌছে গেছি ঠিক সেখান থেকেই ধৈর্যের পরীক্ষার শুরু হয়।
যে কাজ যত বেশী গুরুত্বপূর্ণ সে কাজের ধৈর্যের পরীক্ষাটা ততো বেশী।
যে কাজটা-লক্ষ্যটা যত বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
সে কাজটা সে লক্ষ্যে পৌছাটা ততো বেশীই দুর্গম হয়ে থাকে,কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে ।
ধৈর্যহীন ব্যক্তি আলোহীন মশালের মতো।
সুখ দুঃখ, হাসি কান্নার মিশ্রণে আমাদের জীবনতরী বয়ে চলে। পাওয়া না পাওয়ার সমীকরণ চলতেই থাকে জীবনজুড়ে। কারও চাওয়া মাত্রই কাক্সিক্ষত বস্তুটি অর্জিত হয়ে যায়। কারও একটি জীবন পেরিয়ে যায় না পাওয়ার বেদনাকে সঙ্গী করে। এভাবেই জীবন রবি এক সময় ডুবে যায় শত স্বপ্ন বুকে নিয়ে।
এ যে পা না পাওয়ার সমীকরণ
শত চেষ্টার পরও যখন কাক্সিক্ষত বস্তুটি না মিলে, হতাশারা যখন মিছিল করে এসে হৃদয় জমিনকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়।
ইসলাম তখন আহত হৃদয়ে সান্ত্বনার প্রলেপ মাখিয়ে দেয়। প্রচণ্ড দাবদাহে এক পশলা বৃষ্টি উপহার দেয়।
এ যে বিপদ আপদ একের পর এক আসতে থাকে, কখনো ভয়, কখনো ক্ষুধা, কখনো বা নানাবিধ সংকটে আমাদের জীবন বিষিয়ে ওঠে। এগুলো কেন আসে? কেন আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর বিপদ চাপিয়ে দেন?
ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কুরআন মাজিদের সঠিক দিকনির্দেশনা রয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব (কখনো) কিছুটা ভয়-ভীতি দ্বারা, (কখনো) ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনো) জানমাল ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। সুসংবাদ শোনাও তাদের, যারা (এরূপ অবস্থায়) সবরের পরিচয় দেয়।
(সূরাতুল বাক্বারা : ১৫৫।
জীবনজুড়ে বিপদাপদের আগমন এটা একজন মুমিনের প্রতি আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এসব প্রতিকূল পরিবেশে একজন মমিন সব সময় ধৈর্যের পরিচয় দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



