somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ দিনে সামহোয়্যার ইন এর প্রতি রইল অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দশ বছর সময়টা খুব একটা কম নয়। এই দীর্ঘ সময়ের পথ পরিক্রমায় সামহোয়্যার ইনকেও হয়ত কম ঝক্কি সামলাতে হয়নি। আমি যতদূর বুঝি এই সাইটটি শুরু থেকে কখনোই অর্থের পেছনে ছোটেনি। তারা যেমন বলেন,
সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগ বাঁধ ভাঙার আওয়াজ, মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। কথাটিকে আক্ষরিক অর্থেই সঠিক বলে মনে করি। যদিও আমার ব্লগিং এর বয়স মাত্র তিন বছর সাত মাস তথাপিও এরই মধ্যে কম তো তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই নি। কাজেই এ ক্ষেত্রে সামহোয়্যার ইন কে আমি দ্বিধাহীন ভাবেই সবার ঊর্ধ্বে স্থান দেব।
যার প্রধান কারণ হল সামহোয়্যার ইন সুস্থ লেখার স্বাধীনতা দেয়। উৎসাহিত করে নতুন লেখকদের। সর্বোপরি একজন লেখকের কাছে তার লেখা যেমন এক একটি সন্তানের মত ঠিক তেমনি একটি সাইটও একটি তার পরিবারের মত একটি সম্পর্কের মত। যেখানে সে স্বাধীন প্রবেশে-বেড়িয়ে যেতে, যেখানে সে স্বাধীন কথা বলায়। পড়ায়-জানায়।
এমন একটি সাইট যখন বন্ধ করে দেয়া হয় তখন ঐ সব সাইটের সদস্যরা যারপরনাই কষ্টে নিপতিত হয়। ক্ষমার অযোগ্য সেই অন্যায় করেছিল প্রথম আলোর বদলে যাও বদলে দাও ব্লগ। একই ধারাবাহিকতায় প্রথম আলো ব্লগ। সামহোয়্যার ইন আসা করি কখনোই সে পথে হাঁটবে না।
লেখা তো মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম মাত্র। আমি তাই, লেখাকে বলি মনের প্রতিবিম্ব। যিনি যেমন তার লেখনীতে তিনি তেমনি মূর্ত হয়ে ওঠেন। আর তার প্রকাশভঙ্গীটাও তেমন। তবে হ্যাঁ বাক্য গঠন, সুন্দর শব্দ চয়ন এসব নির্ভর করে লেখকের লেখার অভ্যাস এবং জ্ঞানের পরিধির উপর। তবে আমি বিশ্বাস করি লেখকের একটি অদ্ভুত আধ্যাত্মিক শক্তি আছে। যার সে শক্তি যত প্রবল তার লেখনীও তত চমকপ্রদ তত চিত্তাকর্ষক। সামহোয়্যার এর সব থেকে বড় গুন সকলকে স্থান করে দেয়া।

লেখকের লেখার ক্ষুধাটি তার জঠরের ক্ষুধার থেকেও তীব্র। আর তাই তিনি লেখেন। একের পর এক, পাতার পর পাতা, পাণ্ডুলিপির পর পাণ্ডুলিপি। তিনি লিখেই চলেন। কেউ পড়ল কিনা বা কেউ প্রশংসা করল কিনা সে সবে তার কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। তিনি মাথা নিচু করে এক মনে লিখেই চলেন। তার উনুন জ্বলছে না। সন্তান অসুস্থ অথচ পথ্য নেই তার সে কথা মাথায়ই থাকে না। এমনকি প্রকাশক অবজ্ঞা ভড়ে তার পাণ্ডুলিপি ফিরিয়ে দিয়েছেন তাতে তার লেখায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি।
অর্থাভাব স্বাভাবিক ভাবেই পারিবারিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো কি হল? লেখক ডুবে আছেন তার লেখায়। তিনি তখন ঘুরে বেড়ান তার আলাদা জগতে। সেখানে তার সাজানো জগত। সব দুঃখ কষ্টকে এক পাশে ঠেলে রেখে লেখনীর স্বর্ণ তোরণ দিয়ে তিনি প্রবেশ করেন এক ইনভিজ্যিবল জগতে। বাংলা সাহিত্যের যুগ শ্রেষ্ট কবি জীবনানন্দ দাশ জীবদ্দশায় একটি পান্ডুলিপিও প্রকাশ করে যেতে পারেন নি। আজকের সময় হলে হয়ত তার লেখা প্রকাশের জন্য প্রকাশকদের লাইন পরে যেত।

আত্মভোলা এই মানুষগুলোর সব সৃষ্টিই যে মান সম্মত হবে তা নয়। তবে প্রতিটি লেখক তার লেখার মানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করেন এতে সন্দেহ নেই। অনলাইনের এই সময়ে যখন সুযোগ আছে এই লেখকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার তখন সামহোয়্যার ইন এগিয়ে এসেছিল পথ প্রদর্শকের মত।

একজন ক্ষুদ্র ব্লগার হিসেবে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সবটুকু কৃতজ্ঞতা জানাই সামহোয়্যার এর কর্তৃপক্ষকে। সামহোয়্যার ইন তো আমার সম্পর্কের সুতো। আমার নিজ ভুবনের সংসার। এই সুতোটা হোক আর মজবুত। টিকে থাক সম্পর্ক। সামহোয়্যার তৈরি করুক অজস্র তরুণ লেখক। সামহোয়্যারের প্লাটফর্মে এসে ধসে পরুক অজস্র অসঙ্গতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×