somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিভে যাচ্ছে আমাদের বাতিঘরগুলো!

২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


করোনার ক্ষত বহুমুখী। অর্থ-শিক্ষা-স্বাস্থ্য সকল ক্ষেত্রেই করোনা বিশ্ব ব্যাপী যে ক্ষত সৃষ্টি করে চলেছে তার পুনরুদ্ধার করতে এ বিশ্বের অনেক সময় লেগে যাবে। তবু হয়ত এক সময় বিশ্ববাসী এ ক্ষতি সামলে উঠতে সক্ষম হবে। কিন্তু করোনা সবথেকে বড় যে ক্ষতিটা করে যাচ্ছে তাঁর পুনরুদ্ধার কখনোই সম্ভব হবে না।
সারা বিশ্ব এই সময়ে হারিয়েছে অগুনতি গুণীজন। যারা প্রত্যেকেই ছিলেন স্ব স্ব ভু খন্ডের এক একজন আলোক বর্তিকা সরূপ। যাদের কোন প্রতিস্থাপন কোনদিনই সম্ভব হবে না। আমরা যদি একটু লক্ষ করি তাহলে দেখব। যাদেরকে আদর্শ ধরে আমরা বাঁচতে চাই। যাদেরকে অনুপ্রেরণার প্রতিমূর্তি হিসেবে দার করিয়ে আমরা সামনে এগোই। প্রকৃত পক্ষে তাঁরা সকলেই গত। কেউ হাজার হাজার বছর আগে কেউ বা শত শত বছর আগে এই নশ্বর পৃথিবী থেকে চলে গেছেন। ক্ষনজন্মা সেই মানুষগুলি চলে গেছেন ঠিকই কিন্তু রেখে গেছেন আদর্শ, অনুপ্রেরণা। রেখে গেছেন দিক নির্দেশনা। সমসাময়িক বিশ্বে তাদের সমকক্ষ একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয় তাদের কর্মের ব্যাখ্যা প্রদানকারীর সংখ্যাও এখনকার সময়ে নেহায়েতই নগণ্য।

সমসাময়িক বিশ্বে পূর্বেকার সেই সব আদর্শবানদের যারা ধারণ করার চেষ্টা করেন। যারা তাদের মহৎ কর্ম যজ্ঞকে আমাদের সামনে তুলে ধরে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। আমরা তাদেরকে তুলনা করি বাতিঘরের সাথে।
সত্যিই তো, তাঁরা একেকজন গভীর অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বিভ্রান্ত জাতীকে দিকনির্দেশনা দানের জন্য। বাংলাদেশে এই মহান দায়িত্বটি স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই যে কয়েকজন প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীরা দিনের পর দিন ধরে করে আসছিলেন এই করোনা কালীন সময়ে আমরা তাদের অনেক কজনকে হারিয়ে ফেলেছি। নিভে যাচ্ছে একের পর এক আমাদের সেই বাতিঘরগুলো! এটাই অমোঘ নিয়ম। সকলকেই এক সময় চলে যেতে হয়। কিন্তু সমস্যাটা হল যখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেকজন চলে যান তখন এক বিশাল শুন্যতার সৃষ্টি হয় যা এক একটা জাতিকে গভির অন্ধকারে নিমিজ্জিত করে। যেমনটা স্বাধিনতা্র ক্ষনপূর্বে বুদ্ধিজীবি নিধনের মাধ্যমে একবার ঘটানো হয়েছিল। যার কুফল এ জাতি আজো ভোগ করে চলেছে। এই করোনা যেন আরেকবার সেই অভিশাপ হয়ে আমাদের কাছে এল!

কিন্তু এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই আমরা পারি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করতে। আর মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে প্রার্থনা করতে তিনি যেন আমাদের আর অন্ধকারে ডুবিয়ে না দেন। ভাল থাকুক আমাদের আলোকিত গুণীজনেরা। সচল থাকুক জাতীর বিবেক বলে পরিচিত আমাদের বাতিঘরগুলো।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
১৩টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×