একটা মানুষ কি পরিমাণ শয়তানী বুদ্ধি রাখতে পারে। অথবা মানুষ কিভাবে নিরন্তর অন্যের ক্ষতি সাধন করতে পারে সেটা যদি শিখতে চান তাহলে আপনাকে কালা যাদু, টোটকা ইত্যাদি শিখতে কামরুক কামাখ্যায় যেতে হবে না। ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলি দেখতে বসে যান।
এই সিরিয়ালগুলির লেখক নির্মাতারা যে বিশ্বের সবথেকে শয়তানী বুদ্ধি ধারী সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এক কথায় ইতিবাচক কোন কিছুই তাঁরা ভাবতে পারে না। অন্তত সিরিয়ালগুলি দেখে তাই মনে হয়।
এখানে একটা প্রশ্ন আছে কেন তাঁরা দিনের পর দিন একের পর এক এমন সিরিয়াল বানাচ্ছে? তাঁর উত্তরে তাঁরা হামেশাই বলেন মানুষ এগুলিই পছন্দ করে।
হ্যাঁ করে তো। করে বলেই তো অদ্ভুত সব পারিবারিক শয়তানী নির্ভর সিরিয়াল দেখিয়ে এ দেশের দর্শকদের পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষের মধ্যের যে অমানুষটা ঘাপটি মেরে থাকে ঐ সিরিয়ালগুলির নির্মাতারা সেই অমানুষটাকেই প্রাধান্য দেন তার পছন্দের গল্পেরই নাট্যরূপ দেন। শয়তান চেনে শয়তান, শুয়োর চেনে কচু! কাজেই তাঁরা সফল হবেন এটাই স্বাভাবিক।
যারা রোজ এ গুলি দেখছেন? দেখছেন বললেও ভুল হবে, বলতে হবে গোগ্রাসে গিলছেন। দিনদিন তারা নেশাগ্রস্থ হয়ে পরছেন। একেকটা অশান্তির ডিপো হয়ে উঠছেন।
ইবলিস কিছুই করতে পারত না যদি মানুষের মধ্যে কু-প্রবৃত্তিগুলি না থাকত। ইবলিস তো কেবল মানুষের মধ্যের কুপ্রবৃত্তিগুলীকেই উস্কে দেয়। ইবলিশের সেই মহান(!) দায়িত্বটি কাঁধে তুলে নিয়েছে স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস সহ অন্যান্য ভারতীয় চ্যানেল। আর তাদের হয়ে বাকি কাজটা সম্পাদন করছেন এ দেশের কেবল অপারেটর গন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১