ভালোবাসার টাইমমেশিন পর্ব ১
দুই দিন।দুইইইই দিন দেখা হবে না।
কি বলো।আমি পারবো না।পিলিস কিছু করো।
আন্তিক কাঁদো কাঁদো হয়ে নীলাকে বললো।
প্লিজ পাগলামী কোরো না। নীলা নিজেও জানে তারও কতটা কস্ট হবে
আন্তিক মন খারাপ করে বললো আচ্ছা ঠিক আছে।
নীলা চলে গেলো।নতুন জায়গা।আন্তিক এর কাছ থেকে দূরে বাবা মা ভাই কাজিনদের সাথে।মনের মধ্যে কিন্তু আন্তিক ই।নীলাও চায় আন্তিক সব ছেড়ে ওকে দেখতে চলে আসুক।হোকনা একটু পাগলামী।মন্দ কি।কিন্তু বাস্তবতা বড় ভিন্ন।ওর যে পরীক্ষা।তারপরও এত দূর। শহর থেকে এতদূরে।বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম।কাজিনদের বিয়ে। আসতেই হলো।
এদিকে আন্তিক যখন থেকে শুনলো নীলা কে ২ দিন দেখবে না।সে কিচ্ছু খেতে পারছে না।একফোটা পানিও না।যেন জ্বলাতঙ্ক হয়েছে।সব চিন্তা বাদ দিয়ে ভালোবাসা জয়ীহলো।হ্যাঁ আন্তিক ৯ ঘন্টার জার্নি শেষে এখন পলাশতলী তে।এখনও পানি খায়নি।১৩ ঘন্টা হতে চললো।তেমন কেউউ ঠিকমতো চেনে না গ্রামটা।নীলাকে ফোন ও দিচ্ছে না।মুহূর্তে দেখে ও যখন অবাক হবে ভাবতেই আন্তিক এর সব কস্ট দূরর হয়ে যায়।চরের গ্রাম।রৌদে ৩ ঘন্টা হাটাহাটি এর ওর কাছে শোনা।অবশেষে হ্যাঁ।সে পৌছোলো।নীলা দূর থেকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠলো।তার কাজিনরা জিগ্গাস করলো কি হলো।৩ মিনিট ২ মিনিট বা আরো কম।কিন্তু নীলা আন্তিক দূজনের কাছে সময়টা হাজার বছরের চেয়েও বেশি।টাইম মেশিন আবিস্কার হয়নি কে বলেছে।ভালোবাসাইতো পৃথিবীর একমাত্র টাইমমেশিন।আন্তিকের বড় পানিপিপাসা পেয়েছে।পাশের পুকুরেই মুখ ডুবিয়ে পানি খেলো।পিছন ফিরে ঢাকার পথে পথে ফেরা শুরু। এই ৩টা মিনিটের জন্যই তো ছুটে এসেছিলো।ভালোবাসার মানুষের কাছে বেশিসময় থাকতে নেই।কোন কথা হয়নি।কিন্তু আন্তিক জানে সারাজীবনের সবকথা বলার জন্য যে ডুপ্লেক্স বাড়িটা হবে তার একতলা কমপ্লিট।ভিত তো অনেক আগেই হয়েছে।এখন দোতলাটা একটু সাজালেই আন্তিলা(=আন্তিক + নীলা) ওদের মেয়ে তার জন্য আরও ভালোবাসার একাউন্ট খুলতে হবে জীবনের ব্যাংকে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কপিরাইট:ত্রিস্তান —