ও দাদা কোথায় গেলি?
দ্যাখ এভাবে ভয় দেখাবি না
কত্তো কাঁদছি তোকে না পেয়ে, জানিস?
কেন গেলি রে দাদা? কেন?
তুই ছুঁয়ে দিয়ে যা কান্নার রঙ, জ্যোৎস্নার ছায়া
আমি তোকেই বলে দেব, ‘কত একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে’
শোন দাদা ভারী ইচ্ছে করে টিএসসি’র ঘাস মাঠে
আর একবার তোর কাঁধে মাথা রেখে বসতে
আবার শিখিয়ে দিবি, ‘নির্জন যমুনার কুলে, বসিয়া কদম্বতলে’—
আমি সেদিনের মতোই পারব না সুরে সুরে গাইতে
তুই শুধু হাসবি অকারন, সেই রিনরিনে মিষ্টি হাসি
আমি ঝাঁপিয়ে পড়ব তোর ঢেউ খেলানো চুলে
না, না আর টেনে দেব না চুল
তবু যাসনে দাদা, ফের এবার
তুই তো এত্তো বোকা নোস যে ভালবাসা বুঝিস না, মমতা বুঝিস না!
সবটুকু চা খেয়ে নিলি?
একটা চুমুক আমাকে দিলি না যে ভারী!
আবার ন্যাকামো! কি অবলীলায় গাইছিস, ‘জনি, জনি প্লীজ ডোন্ট ক্রাই’---
দাদা রে জনি, জিমির চেয়েও বেশী দুঃখ বয়েছিলি বুঝি প্রানে?
বলিসনি কেন?
তোকে যে সব্বাই আমরা এত এত ভালবাসতাম!
তবু বলতে পারলি না?
শুধু শুধু সব ফেলে চলে গেলি! এত অভিমান!!
দৌঁড়াস না দাদা, থাম
আরমানিটোলা থেকে হাতিরপুল পর্যন্ত ছুটে গেছি
ঐ টুকু পারব না?
কতদূর যাবি বল?
একদিন ঠিকই তোকে চমকে দিয়ে পৌঁছে যাব, দেখিস!
আর টিএসসি যাইনি কখনো জানিস দাদা!
সেদিন যেমন ঢং করে শুয়েছিলি কফিনে
রাগ লাগে ভীষন---
জানি তো আমাকে দেখলেই টেনে ধরতিস হাত
ওদের দেয়া হাজারটা ফুল থেকে একটা হলেও আমায় দিয়ে বলতিস
বলিনি কি একদিন, আমি কান্নার রঙ চিনি!