আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, জেনারেল জিয়াই যে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়ক একথা প্রমাণিত সত্য।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতাকণ্ঠ পরিষদ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আগে মৃত্যু হওয়ায় জিয়া ও খন্দকার মুশতাককে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আসামী করা যায়নি।’
সংগঠনের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সহ-ধর্মিনী মিলি রহমান, জাসদের মীর হুসাইন আকতার, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি শামসুল আলম দুদু প্রমুখ। খবর বাসস-র।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামী ও সাক্ষীদের জবানবন্দী থেকে এ হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
মন্ত্রী বলেন, ’৭১-এ বিজয়ী বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বিজিত বাহিনীর কমান্ডার বনে যান এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দল গঠন ও ঘাতক-রাজাকারদের পুনর্বাসনসহ একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে থাকেন। এসবের মাধ্যমে তিনি ’৪৭ এর দ্বিজাতি তত্ত্বের চেতনায় ফিরে যেতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র সেক্টর কমান্ডার যার স্ত্রী-পুত্ররা মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় ধরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আতিথ্যে ক্যান্টনমেন্টে বসবাস করেছেন।
বিএনপি জামায়াত একই আদর্শের দল বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা একাত্তরের চিহ্নিত ঘাতকদের বিচার করবোই।
তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দেশবাসী বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আজকে সময় এসেছে নতুন প্রজন্মকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে দেশকে এ পাপ ও কলঙ্ক থেকে মুক্তি দেয়ার।
মিলি রহমান বলেন, একাত্তরের ২০ আগস্ট বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যেদিন মৃত্যুবরণ করেন সেদিন এই রাজাকার নিজামী বলেছিলেন যে মতিউর রহমান একজন গাদ্দার। আমি তার এই ধৃষ্টতার বিচার চাই।
তিনি বলেন, আমি এই দেশের জন্যে আমার স্বামীকে হারিয়েছি। এই রাষ্ট্রের কাছে তার হত্যার বিচার চাই। আমি আন্তর্জাতিক কিছু বুঝি না, বুঝতে চাই না।
ঘাতকদের বিচারে যারা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে আসছে তিনি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




