somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঁশ

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটা একান্তই আমার নিজের ভাবনা । দুনিয়াতে চলছে বাঁশেরই রাজত্ব । কে কিভাবে কাকে বাঁশ দিবে এই চিন্তায় সবাই মশগুল । যার কাছে যতটুকু বাঁশ আছে অন্যকে সে ততটুকুই বাঁশ দিচ্ছে । কারও ছোট বাঁশ কারও বা বড় । ট্রেনে উঠে জনগন সরকারকে বাঁশ দিচ্ছে । আর ক্ষমতায় গিয়ে সরকার জনগনকে বাঁশের ঝাড় দিচ্ছে । আর U.S.A-র তো বাঁশের বাগান আছে তাই ওরা সারা দুনিয়াকে বাঁশ দিচ্ছে । আমার আপনার সরকারি চাকুরিজীবি বাবা-চাচা জনগনকে দু চার হাজার টাকার বাঁশ দিচ্ছে । আর সরকার দু চার হাজার কোটি টাকার বাঁশ দিচ্ছে । সরকারের বাঁশের ঝাড় তাই লুকোতে পারছে না । আমাদের ছোট বাঁশ দিয়েই, লুকিয়ে সরকারের সমালোচনা করছি । কে বাদ আছে বলুন ? কৃষক থেকে শুরু করে সচিব । পাবলিক থেকে সরকার । ছাত্র থেকে শিক্ষক । আসলে আমরা সবাই ঘোলা জলে মাছ ধরতে বেরিয়েছি । কেউ ছোট নিরীহ পুটি মাছ শিকার করছে , আর কেউ বোয়াল মাছ শিকার করছে । পুটি মাছ খলই ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না , আর বোয়াল মাছ আটকে রাখা যাচ্ছে না । প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে । যেই দেশের জনগন বাশের কারবারি সেই দেশের সরকারের বাঁশের গুদাম থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক । আর জাতির বিবেক সাংবাদিকরাও আর এই বাশের জঙ্গল পরিষ্কার করতে পারছেন না । আজ এখানে একটা বাশ কাটলে কাল ওখানে দশটা বাশ গজায় । একটা ঘটনার পূর্ণ ফলোআপের আগেই অন্য ঘটনার ভিড় জমে যায় । দুই খুনের ঘটনা সমাধান না হতেই সাত খুনের সমস্যা সামনে চলে আসে । আড়ালে চলে যায় দুটি জীবন । প্রতিদিন পত্রিকার পাতা জুড়ে নতুন নতুন জঙ্গল তৈরি হচ্ছে আর সেলফের তাকে জমা হচ্ছে । সাফ হচ্ছে না । কেন ? যাদের পরিষ্কার করার কথা তারা করছে না । কেন করছে না ? আমি জানি না । তবে এতটুকু জানি শরীর টা যদি কুকুরের হয় , মাথাটা নিশ্চয়ই মানুষের হয় না । দূর্নিতির জড় আমার ঘরে , আপনার ঘরে । মাটির নিচে থাকে তো তাই দেখা যায় না । মনিটর ভেঙ্গে C.P.U-এর ক্ষমতা নষ্ট করা যায় না । অন্যের সমালোচনা করা সহজ , নিজেকে পরিবর্তন করা কঠিন । তাই আসুন নিজের অবস্থানে বদলে যাই । বিঃদ্রঃ বাঁশের চেয়ে উপযুক্ত শব্দ খুজে পেলাম না । ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×