চোর বা ডাকাত চুরি বা ডাকাতি করার পর হাতে নাতে ধরা খেলে তাকে সাধারনত জনগন গনধোলাই দিয়ে থানা হাজতে দেয়,অথবা মাঝে এই ধরনের কুকর্ম সম্পাদন কারীকে গনধোলাই দিয়ে মেরেই ফেলে। আর সেই চোর যদি ধরা না খায় ,সে পলাতকই থাকে। আর সেই চোর যদি সকলের পরিচিত হয়,তাহলে পলাতক থাকাটা তার জন্য খুই কষ্টের এবং অপমানজনকও বটে।
চোর যদি হাতে নাতে ধরা না খায় সে কখনোও ভদ্র মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাবে না। সে চোর হিসেবেই পরিচিতি পাবে।
বাংলাদেশর জনগন মনে করে,
বর্তমান সরকারেরও একই অবস্থা। মহা এক চুরি সম্পাদন করেই তারা বাংলাদেশ নামক দেশটাকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ক্ষমতা গ্রহনটাই অবৈধ। কারন নির্বাচন নামক তামাশায় বিনা ভোটে তারা নির্বাচিত। এই ধরনের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দল ক্ষমতায় অথচ তাদের লজ্জাবোধও হচ্ছেও না। পালাতক চোরও পালাতক থাকার চেষ্টা করে,তার অপকর্মের কারনে। অথচ পুরো জাতির সাথে এক তামাশা করে একটি বছর তারা করে দিল। এক বছর পার হবার পরও তারা ক্ষমতা ছাড়ছে না। আবার নিলজ্জের মত বলছে পাচ বছর থাকবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দূর্বলতম সরকার হলেও বিরোধী মতের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। যাকে খাটি বাংলায় বলে চুরি তো চুরি আবার শিনা জুড়ি।
দেশে কোন বিরোধী দল নাই। ১৫৪ জন বিনা ভোটে এমপি।ভবিষ্যতে ভোটই তারা হয়তো করবে না। কারন তখন ৩০০ জনই বিনা ভোটে নির্বাচিত হবেন,৩০০জন বিনা ভোটে হলে সেই নির্বাচনও অসাংবিধানিক হবে না। আর এটাকে মানতে হবে আমাদের মত জনগনের?
জনগনের ভোটের যেহেতু দরকার হবে না। ভবিষ্যতে জনগনের নাম নিশানাও থাকবে না। এখন জনগনের জন্য যে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন তা মোটেও আসল নয়,এটা স্রেফ লোক দেখানো। জাষ্ট ক্ষমতা ধরে রাখার বটিকা।
কারন অতীতে আমরা দেখতাম হরতাল হলেই সরকার এক পা অগ্রসর হয়ে দাবী মানার চেষ্টা করতো। বর্তমান সরকার যেহেতু জগনগনের ধার ধারছে না,জনগনের ভোট ছাড়াই যেহেতু ক্ষতায় যাওয়া যায়,ভবিষ্যতেও একই ভাবে ক্ষতায় যাওয়া যাবে,তাই ১ মাস অবরোধ হবার পরও দাবী মানা তো দূরের কথা সামান্য একটি আলোচনাও বসছে না।
বিরোধী দলের দাবী মোটেও অযোক্তিক নয়,এই ভয়ে সৎ সাহষ না থাকায় সরকার আলোচনায় বসছে না। কিন্তু এভাবে কি যুগ পার করতে পারবেন আপনারা?