আমি জামেল, নাদের ও আল-আমিন সবাই মিলে আমরা প্রতিদিন খেলা করতাম। নাদেরের বাড়ীর সামনে একটি পুকুর ছিল। সেই পুকুরে আমরা প্রতিদিন বিকেলে এসে ঘুসল করতাম। সারাক্ষণ সেই পুকুরে সাতরাতাম। আমাদেরকে কেউ মানা করত না। পুকুরটি ছিল অনেক বড়। তবে দুই ভাগে ভাগ করা। নাদেরদের পাশের বাড়ীর মানুষেরা এক সাইট ব্যবহার করত। মাঝখানে বাস দিয়ে আলগা করা ছিল। তাই আমরা একপাশে ঘুসল করতাম। ছোট বেলা সেই পুকুরে আমার প্রথম সাতার কাটা ও সাতার শেখা হয়েছিল।
আর আরেকটি ছিল লিচু গাছ। সেটা নাদেরের ঘরের পিছনে ছিল। অনেক ডালপালা। গাছটি ছিল ছোট তাই যে কেউ এক লাফ দিয়ে উপরে উঠতে পারবে। তাই আমরা প্রায় সময় গাছটির ডালে ডালে বসে থাকতাম।খেলা করতাম। রশি দিয়ে দোলনা বানিয়ে আমরা পালাবদল করে চরতাম অনেক সময় ডাল ভেঙে নিচে পড়ে যেতাম।
একদিন খেলা করতে-করতে আমরা নাদেরের ঘরে গেলাম।নাদেরের দাদি দেখতেছি সরতা দিয়ে একটি শুকনো সুপারি কাটতেছেন। সুপারিটি ছিল সাইজে একটু বড় এবং শক্ত হবে, তাই সরতা দিয়ে কাটতেছেনা। এই দেখে জামেল দাদির হাত থেকে সুপারি আর সরতা নিল, সে কাটতে পারবে বলে কিন্তু সেও অনেক চেষ্টা করে পারলনা। এই দেখে আমি নাদের, আলামিন সরতা নিয়ে টানাটানি শুরু করলাম। কে কাটতে পারবে এই নিয়ে। দাদি অনেক নিষেদ করা সত্বেও আমরা কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে আলামিনের হাতে সরতা চলে গেল। আমি ওর হাত থেকে টান দিয়ে নিয়ে নিলাম। যখন সুপারিটি আমি কাটব সেই মহূর্তে আল-আমিন সেই সরতার মাঝখানে ধারালো অংশে আঙ্গুল ডুকিয়ে দিল। আমি বারবার আল-আমিনকে বলছি আঙ্গুল সরাতে তা না হলে আমি আঙ্গুল কেটে দু-টুকরো করে দিব। তখন আল-আমিন আমাকে বলল দে আমার আঙ্গুল দু-টুকরো করে। আর আমিও দেই সরতা দিয়ে চাপ। তখন তার হাত থেকে একটি আঙ্গুল পড়ে গেল বিছানার উপরে।রক্তে লাল হয়ে গেল, ওর পুরো হাত।