somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ভারত ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)

২৬ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের করিডোরে ট্যুরের ছবি আর মজার মজার ক্যাপশন থেকেই সার্ক ইচ্ছা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছিলো।
আর তাই ফার্স্ট ইয়ার থেকেই ডিপার্টমেন্টের ঘুরুন্চিমনা বন্ধুরা সংকল্পবদ্ধ হয়েছিলাম
অনার্স শেষের পর সার্ক ট্যুর করব।
যাই হোক হাটি হাটি পা পা করে গত বছরের ডিসেম্বরে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবার পর বন্ধুরা মিলে আটঘাট মিলে নামনাল ট্যুরের কাজে।
প্রথম প্রথম অনেকেই ট্যুরে যেতে চাচ্ছিল না, সবাই মিলে না যেতে পারলে কি আর ট্যুর মজা হয় তাও আবার সার্ক ট্যুর।
আর তাই প্রথমে কাউন্সেলিং করে ট্যুরিস্ট দল ভারী করার কাজ শুরু হল প্রথম। এরপর শুরু হলো স্পন্সর ম্যানেজ করার কাজ।
কলা ভবনের সামনে দিন-রাত বসে মিটিং, টিএসসিতে,মল চত্বরে, হলের দোকানে বলতে গেলে আমাদের এক রকমের ধ্যান-জ্ঞানই হলে গেলো, যে করেই হোক সার্ক ট্যুর করতে হবে।
তার উপর আবার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই-বোনদের হাসি তামাশা ( এই রকম :: ও তোরা ট্যুরে যাবি, হা হা হা, আগে ঘুরে আয় তারপর বলিস: একটু বলে রাখা ভালো, আমাদের আগে আমাদের ডিপার্টমেন্টের ৬ টি ব্যাচ ট্যুরে যাবার পায়তারা করলেও শেষ পর্যন্ত যেতে পারেনি। আর এ জন্য অনেকের মনে বদ্ধ ধারণা হয়েছিলো যে, আমরাও বোধ হয় তাদের মত ফেল মারব)

যাই হোক দীর্ঘ তিন মাসের প্রচেষ্টা আর পাসপোর্ট-ভিসার জটিলতার পর অবশেষে ২৫ মার্চ রাতে ভারত যাবার জন্য গ্রীন লাইনের টিকিট কাটা্ হলো, যাত্রী সংখ্যা আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার সহ ২০ জন।

( ও এখানে একটু বলে রাখা ভালো, টাকা পয়সার কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত আমরা শুধু ভারত ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিলাম ২০ দিনের জন্য। এখানে আবার ভিসা জটিলতার জন্য আমাদের ৩ বন্ধুকে রেখেই রওনা হতে হলো। আরেক বান্ধবী তো দুই বার দাদাদের দেশে যাবার জন্য ভিসার আবেদন করার পর রিজেক্ট হবার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় তাকে ট্যুর প্লান থেকে বাদ দেয়া হলো। বাকী ৩ বন্ধুকে রেখে যাওয়া হলো তৃতীয় বার আবেদন করে যদি ভারতের ভিসা পায় তবে ভারতে গিয়ে তারা আমাদের সাথে মিট করবে)

অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, ২৫ মার্চ রাতে আমরা সবাই কলাবাগানের গ্রীণ লাইনের কাউন্টারে একত্রিত হলাম। রাত পৌনে এগারটার ছাড়লো আমাদের বাস বেনাপোলের উদ্দেশ্যে।

সারা রাত জার্নি করার পর সকাল ১০ টার দিকে আমরা পৌছলাম বেনাপোল বর্ডারে। সেখানে যাবতীয় ফর্মালিটি শেষ করে দুপুর ১ টার দিকে ভারতের ভিতর প্রবেশ করলাম।
এই প্রথম দেশের বাইরের মাটিতে পা রাখলাম। পেছনে ফিরে তাকিয়ে প্রিয় বাংলাদেশ। যাই হোক ভারতের ইমিগ্রেশন দ্রুত শেষ করে পেট্রাপোল থেকে গ্রীণ লাইনে চড়ে বসলাম কলকাতার উদ্দেশ্যে।
গাড়ী চলছে আর বেশ উপভোগ করছি দুপাশের বাড়ি-ঘর সবই বাংলাদেশের মতোই ভাষা এক সংস্কৃতি এক শুধু দেশ আলাদা। বিখ্যাত যশোর রোড দিয়ে গাড়ী এগিয়ে চলছে, হঠাৎ মনে পড়ছে এ্যালেন গীন্সবার্গের 'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোডের কথা', যাই হোক চব্বিশ পরগণার একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা আবার রওনা হলাম। বিকেল ৫ টার দিকে আমরা পৌছলাম কলকাতার নিউ মার্কেটের গ্রীণ লাইনের কাউন্টারে।
যাক অবশেষে কলকাতা পৌছলাম। এবারে হোটেল খোঁজার পালা। হোটেল পাশেই পেলাম কলীন স্ট্রীটে। হোটেলে পৌছে সবাই যে যার মতো ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেতে বের হলাম। ফাকেঁ নিউমার্কেটের আশপাশে একটু ঘুরে দেখলাম।
পরদিন কোথায় কোথায় ঘুরবো এ বিষয়ে কথা বলতে বলতে হঠাৎ করেই স্যার বললেন আগামীকাল তো হলি, কাল ভারতের সব প্রতিষ্ঠান ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে। কি আর করা স্যার বললেন কাল তাহলে হোটেলে বসেই কাটাতে হবে।
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো পরদিন ভোরে বের হয়ে আমরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল দেখতে যাবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন সকালে নাস্তা করার পর সবাই মিলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল দেখার জন্য আমরা সবাই বের হলাম।

দূর থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল..............




ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সামনে আমরা.......




হোলির রঙ্গে এক ট্যুরিস্ট কাপল...............



আমাদের স্যার..............................



কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বাহন............



আজ এই পর্যন্ত( চলবে)...........


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×