পরিচালকঃমেল গিবসন
অভিনয়ঃরুডি ইয়ংব্লাড,ডালিয়া হার্নান্দেজ প্রমুখ
ভাষাঃমায়ান
অ্যাপোক্যালিপ্টো চলচিত্রের পটভূমি মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপে মায়ানদের সভ্যতার করুন পরিসমাপ্তির উপর।মায়ন সভ্যতা গোড়াপত্তনের কয়েকশ বছর পর বিকশিত হয়। ১৫০০ সালের দিকে স্পানীয়রা আমেরিকা আক্রমন করে এবং মায়ান সভ্যতা ধংষ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটিতে একজন ব্যক্তির সংগ্রামের আখ্যান রচিত হয়েছে যে আগ্রাসী মায়ান সভ্যতার আগ্রাসন থেকে নিজ সভ্যতা ও সংস্কৃতি রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যায় আমৃত্যু।
সভ্যতা রক্ষার্তে পুরহিতরা বলেন যে প্রচুর মন্দির নির্মান করতে হবে এবং নরবলি দিতে হবে। এই কাজের জন্য রাজার অনুচররা নেমে পড়ে বলি দেয়া যায় এমন মানুষের সন্ধানে। একসময় তারা পোঁছে এমন যায়গায় যেখানে যাগুয়ার প নামে এক যুবক থাকে যে কিনা অই এলাকার প্রধানের ছেলে। রাজার অনুচরেরা গ্রাম ধংস করে এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় । জাগুয়ার প এর বাবাকে তারা হত্যা করে এবং যাগুয়ার প কে ধরে নিয়ে যায়। যাগুয়ার প এর অন্তসওত্তা স্ত্রী এক কুয়ার মধ্যে আশ্রয় নেয় তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ফলে সে বেচে যায়।যাগুয়ার প ও তার সাথে অন্যন্য বন্দীরা এক সময় বুঝতে পারে যে তারা বলি হতে চলেছে। কয়েকজনকে বলি দেয়ার পর যখন যাগুয়ার প এর সময় আসে তখন আকস্মাত সূর্য গ্রহন হয়। ঈশ্বর ইতিমধ্যে খুশি হয়েছেন বলে যাগুয়ার প কে আর বলি দেয়নি। আশ্চার্যভাবে বেচে যায় যাগুয়ার প। যারা প এর মত বেচে ছিল তাদেরকে রাজার অনুচরেরা এক ছোট খোলা মাঠে নিয়ে ছেড়ে দেয় এবং তীর নিক্ষেপ করে হতায় করার জন্য। বুদ্ধি খাটিয়ে প মাঠ পেড়িয়ে যায়। রাজার অনুচরেরা তার পিছু নেয় হত্যা করার জন্য। এর পর বিশাল জঙ্গলে প এদের কাছ থেকে পালাতে থাকে। শেষ পর্যত্ন যাগুয়ার প আদৌ অনুচর হাত থেকে রক্ষা পায় কি না আর তার অন্তঃসত্ত স্ত্রী আত ছোট ছেলেরই বা কি হবে এমন অবস্থায় ছবিটি পরিণতির দিকে এগোয় ।
গতিময় এ ছবি দেখতে বসলে একবারেই দেখে উঠবেন কারণ প্রত্যকেটা মূহুর্ত চমকপ্রদ। এ জন্য সকল প্রসংসার দাবিদার পরিচালক মেল গিবসন। মায়ান ভাষায় ছবিটি নির্মাণ করবেন বলে তিনি নিজেই মায়ান ভাষা রপ্ত করেন। যগুয়ার প এর চরিত্রে রুডি ইয়ংব্লাডের অভিনয় অনদবদ্য। ১৭০-৮০ ফুট উঁচু ঝর্না থেকে তিনি নিজেই লাফ দেন, অর্থাৎ দৃষ্যটি স্টান্টমেন ছাড়া। অসাধারন কাস্টের ছবিতে অনেকেই ক্যমারর সামনে দাড়ান প্রথম বারের মত। অসাধারন চিত্রনাট্যের ছবিটি ২০০৬ সালের অস্কারে ৩ টি বিভাগে মনোনয়ন পায়। ব্যাবসা সফল ছবিটি মুক্ত পায় ২০০৬ সালে ।
এটি আমার প্রথম মুভি রিভিউ। বিরক্তির কারণ হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৯