আহারে! আমার বালকবেলার পাটকল...
বালক বেলায় গল্পটা শোনা। একটা কচ্ছপের নয়টি বাচ্চা ছিল। সেই সাথে সেগুলোরে শিক্ষিত করার শখও তার ছিল। সেই শখ মেটাতে কচ্ছপ মা শেয়াল পন্ডিতের দারস্থ হয়েছিল। এরপর কি ঘটেছিল সেটা সবারই জানা।
আমাদের অবস্থাও অনেকটা তাই। একটা সময় এই পাটই ছিল আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী হওয়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত রাস্তা। ‘জুট ইজ দ্য গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ” এই বাক্য আওড়াতে আওড়াতে আমরা বালক বেলার পাঠ চুকিয়ে এসেছি। কিন্তু বড়কালে এসে হঠাৎই যেন আমরা আবিস্কার করলাম সেই গোল্ডেন ফাইবার আর গোল্ডেন নেই। গলার মালা থেকে কখন জানি সেটা গলার ফাস হয়ে গেছে। গরিবের হাতি পালা বোকামিই বৈকে। আমরা বোকা হতে যাব কেন? নিজেদের বোকামি ডাকতে তাই আমরা সাত-পাচ না ভেবেই বন্ধ করে দিলাম এশিয়ার বৃহৎ জুট মিল তকমাধারীআদমজী পাটকলকে। তাতে কার কি হলো কে জানে। তবে এর সাথে যাদের জীবন জীবিকা নির্ভর ছিল তারা পথে বসে গেল। আর সবার আগোচরে লাভবান হয়ে গেল ভারত। আমার সঠিক মনে নেই বিষয়টা। তবে সে সময় খবরের কাগজে পড়েছিলাম। বিশ্ব বাজারে চাহিদা নেই অজুহাতে যখন আমাদের সাধের আদমজীকে বন্ধ করে দেয়া হলো ঠিক তখুনি ভারত সরকারী উদ্যোগে একসাথে পাচ-পাঁচটি পাট কল বসালো। এটা পড়ার পর সেসময়ও কেন জানি আমার সেই শিয়াল-কচ্ছপের বাচ্চার গল্পটা হুট করে মনে পড়েছিল।
অনেক পুরনো কাসুন্ধি। হয়তো ব্লগাররা বিরক্ত হচ্ছেন পুরনো বিষয় নিয়ে আমার কপচানো দেখে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে মনে করিনি। আমাকে এই পুরান কথা মনে করিয়ে দিয়েছে আলোকচিত্রী মুনেম ওয়াসিফ এর উদ্যোগ। ‘পাটের মৃত্যু আখ্যান’ শিরোনামে তার আলোকচিত্র প্রদর্শনী হচ্ছে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের কল্পনা বোডিংয়ের সামনে।
শিল্পের পাট বর্তমান অবস্থা, এ শিল্পে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, পাকলগুলোর বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ‘শোষণের কারণে হাজার হাজার পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু’ ইত্যাদি বিষয় প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে।
একটা সময় দেশকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী করেছে এই পাট। তখন তো এটাই ছিল আমাদের ডলারের গন্ধ নেয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। পাটের অবদানটা যে এখনও কেউ কেউ ভুলে যায়নি মুনেম ওয়াসিফের ছবিগুলো তো সে কথাই বলছে। তাকে অভিনন্দন। আর আমাদের কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ, প্লিজ একটা কথা অন্তরে লালন করতে শিখুন , ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে দেশ।'
আলোচনার ঝড় তুলে একটা সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আদমজী জুট মিল। আমরা গর্বে বুক ফুলিয়ে যার পরিচয় দিতাম এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল বলে। উপরওয়ালা আমাদের গর্ব করার মতো এমন অনেক কিছুই অকৃপণ ভাবে দিয়েছেন শুধু মাথায় ঘিলু দিতে বড্ড কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন। সেজন্য আমরা হয়ে গেছি কচ্ছপের ন্যায়। একদিক বুঝি তো আরেকদিক ভাবি না।
বালক বেলায় গল্পটা শোনা। একটা কচ্ছপের নয়টি বাচ্চা ছিল। সেই সাথে সেগুলোরে শিক্ষিত করার শখও তার ছিল। সেই শখ মেটাতে কচ্ছপ মা শেয়াল পন্ডিতের দারস্থ হয়েছিল। এরপর কি ঘটেছিল সেটা সবারই জানা।
আমাদের অবস্থাও অনেকটা তাই। একটা সময় এই পাটই ছিল আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী হওয়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত রাস্তা। ‘জুট ইজ দ্য গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ” এই বাক্য আওড়াতে আওড়াতে আমরা বালক বেলার পাঠ চুকিয়ে এসেছি। কিন্তু বড়কালে এসে হঠাৎই যেন আমরা আবিস্কার করলাম সেই গোল্ডেন ফাইবার আর গোল্ডেন নেই। গলার মালা থেকে কখন জানি সেটা গলার ফাস হয়ে গেছে। গরিবের হাতি পালা বোকামিই বৈকে। আমরা বোকা হতে যাব কেন? নিজেদের বোকামি ডাকতে তাই আমরা সাত-পাচ না ভেবেই বন্ধ করে দিলাম এশিয়ার বৃহৎ জুট মিল তকমাধারীআদমজী পাটকলকে। তাতে কার কি হলো কে জানে। তবে এর সাথে যাদের জীবন জীবিকা নির্ভর ছিল তারা পথে বসে গেল। আর সবার আগোচরে লাভবান হয়ে গেল ভারত। আমার সঠিক মনে নেই বিষয়টা। তবে সে সময় খবরের কাগজে পড়েছিলাম। বিশ্ব বাজারে চাহিদা নেই অজুহাতে যখন আমাদের সাধের আদমজীকে বন্ধ করে দেয়া হলো ঠিক তখুনি ভারত সরকারী উদ্যোগে একসাথে পাচ-পাঁচটি পাট কল বসালো। এটা পড়ার পর সেসময়ও কেন জানি আমার সেই শিয়াল-কচ্ছপের বাচ্চার গল্পটা হুট করে মনে পড়েছিল।
অনেক পুরনো কাসুন্ধি। হয়তো ব্লগাররা বিরক্ত হচ্ছেন পুরনো বিষয় নিয়ে আমার কপচানো দেখে। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে মনে করিনি। আমাকে এই পুরান কথা মনে করিয়ে দিয়েছে আলোকচিত্রী মুনেম ওয়াসিফ এর উদ্যোগ। ‘পাটের মৃত্যু আখ্যান’ শিরোনামে তার আলোকচিত্র প্রদর্শনী হচ্ছে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের কল্পনা বোডিংয়ের সামনে।
শিল্পের পাট বর্তমান অবস্থা, এ শিল্পে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, পাকলগুলোর বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ‘শোষণের কারণে হাজার হাজার পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু’ ইত্যাদি বিষয় প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে।
একটা সময় দেশকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী করেছে এই পাট। তখন তো এটাই ছিল আমাদের ডলারের গন্ধ নেয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। পাটের অবদানটা যে এখনও কেউ কেউ ভুলে যায়নি মুনেম ওয়াসিফের ছবিগুলো তো সে কথাই বলছে। তাকে অভিনন্দন। আর আমাদের কর্তা ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ, প্লিজ একটা কথা অন্তরে লালন করতে শিখুন , ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে দেশ।'
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।