পিলখানায় ঘটে যাওয়া স্মরণকালের নরকীয় হত্যাকান্ডের পর আজ সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। শোক প্রস্তাব পাশ হবে সর্বসম্মতিতে এটাই ভেবেছিলাম। ধরেই নিয়েছিলাম এটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে না। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম দেশের মানুষ যখন শোকে নির্বাক। এরকম অনাকাঙ্খিত ঘটনায় সবাই যখন দিশে হারা তখন আমাদের রাজনীতিবিদরা নির্লজ্জ্বের মতো এই সেনসেটিভ ইস্যু নিয়েও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম ওয়ান ইলেভেন অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারলেও রাজনীতিবিদদের চরিত্র বদলাতে পারেনি। এরা এখনও নিরোর মতো ধ্বংসস'পের মাঝে দাঁড়িয়ে স্বার্থপরের সুর তুলতে পারেন।
রাজনীতিবিদরা নিজেদের নেত্রীদের ঠোঁটে উঠতে জান বাজি রেখে তোষামোদী আর প্রতিপক্ষকে আক্রমণে ব্যস্ত থাকবেন- এটাই তো এদেশের রাজনীতিবিদদের স্বভাব। এটা এখন আর অবাক করে না। কিন্তু অবাক করেছে দু’দলের নেত্রীদের ভূমিকা। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে তাদের সংযত আচরণ দেখে মনে হলো অনন্ত তারা আর নোংরা রাজনীতি কিংবা অধিনস্তদের তোষামোদীতে আর গা ভাসাবেন না। কিন্তু অবাক হয়ে দেখতে হলো বিরোধী দলীয় নেত্রী তার ভাষণে সরকারের সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে বরং ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে ভুল গুলো খুজতেই পুরোটা সময় ব্যয় করলেন। তিনি আগে থেকেই দাবি করছেন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সিদ্ধান্তটা কৌশলগত ভুল ছিল। ভাল কথা বুঝা গেল তিনি বিচক্ষণ। কিন্তু এর চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কি ছিল সেটা আর তিনি বললেন না।
মানছি বিরোধী দলের এমন ভূমিকা হতাশা জাগানিয়া। একটা কথা বলব না বলেও বলতে হচ্ছে। বলা চলে না বলে পারছি না। ছেলে বেলা পড়েছিলাম- ‘কুকুরের কাজ কুকুর করিয়াছে কামড় দিয়েছে পায়...। তাই বলে কি একই আচরণ ফিরিয়ে দিতে হবে? সেটাই করলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। নতুন একটা মন্ত্রীসভা দিয়ে সবাইকে চমকে দেয়ার পর সহনীয় আচরণের স্বাক্ষর রেখে তিনি যখন দিন বদলের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন আমাদের ঠিক তখুনি গতকাল ফিরে গেলেন নিজের পুরনো খোলশে। বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্যের পাল্টা আঘাত তিনি স্থুলভাবেই দিতে শুরু করলেন তিনি। আর আমরা শুনলাম স্বপ্ন ভঙ্গের গোঙ্গানী।
দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে সবাই যখন অধির হয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশাপাশি অবস্থানে দেখতে তখন তাদের এমন চুলোচুলি আচরণ হতাশ করে। সে হিসেবে সাবেক স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট এরশাদের বক্তব্য মনে হয় অনেক টাচি ছিল। তাদের এমন আচরণ আমাদের হতাশায় পুড়ায়। দেশের এমন বড় ধরণের বিপর্যয়ের সময়ও তারা কি অনন্ত একবার হলেও পারেন না দেশের স্বার্থে হাতে হাত রাখতে। দেশবাসীকে অনন্ত ধাক্কা সামলে উঠার সময় দিতে? এরপর না হয় তারা আবার ফিরে গেলেন নিজেদের পুরনো চরিত্রে।
আলোচিত ব্লগ
=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।
ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।