বর্তমানে রাজনীতিতে একটি গরম ইসু্ হল ব্রাজিল থেকে আমদানী করা চারশ কোটি টাকার দুই লাখ পাঁচ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন গম তার মধ্যে এক লাখ ৭৪ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন ইতোমধ্যে বিতরণ করা শেষ । বেশীর ভাগ গম বিতরন শেষ হবার পর গমের মান নিয়ে কথা উঠে আসে, এটাই স্বাবাভিক বলে ভাবলেই হবে । নিম্নমানের’ গম আমদানি ও সরবরাহের অভিযোগ দুদককে দিয়ে তদন্তের আদেশ চেয়ে পাভেল মিয়া নামের এক আইনজীবী গত ২৮ জুন এই রিট আবেদন করেন।এ বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি করে ৩০ জুন হাই কোর্ট রুলসহ আদেশ দেয়। ওই গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি-না, সে বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।সে অনুযায়ী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের পাঠানো প্রতিবদন গত ৫ জুলাই আদালতে জমা দেয় রাষ্ট্রপক্ষ।মহাপরিচালকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি করা গমের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বিভিন্ন জেলার খাদ্য গুদাম মজুদ ওই গমের ৫৭টি নমুনা নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।
“ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম চুক্তিপত্রের নির্দেশ অনুসারে গ্রহণীয় সীমার মধ্যে থাকায় মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত বলে খাদ্য অধিদপ্তর হতে প্রত্যয়ণ করা হল।”
কিন্তু কথা হলো ওই গম নিতে কাউকে বাধ্য না করার নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। তাহলে এই গমের ভবিষ্যত কি ?
আমি এ ব্যপারে কিছু সুপারিশ করতে চাই ।
১। যে পরিমানে গম বিতরন করা বাকি রয়েছে তা পাউবি-কে দেওয়া যেতে পারে । কেননা বর্ষা মৌসুম থাকায় বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গা পতিরোধে ব্যবহার করা যাবে , যেখানে সাধারনত বালির বস্তা ফেলা হয়ে থাকে ।
২।পদ্মা সেতু প্রকল্পে পাঠারো যেতে পারে । কারন সেতুর এক পার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেখানে গমের বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে হবে ।
৩। ঈদের আগে সাধারনত ঢাকার সাথে দেশের অন্য জেলা গুলোর সড়ক গুলো মেরামত করতে হয় সে ক্ষেত্রে পিচ গলাতে লাকরি দরকার হয় । কাঠের দাম বেশী থাকায় গম জ্বালিয়ে কাজ চালানো যেতে পারে ।
আমি আর লিখতে পারছি না , আপনারা আমাকে সাহায্য করেন একটু...................................
রিয়াদ ফেরারী
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৮