পার্কে একটা কোনে...
:অ্যাই, কি করেছিলে তুমি এইসব?
:কোথায় আবার কি করলাম আমি?
:আজিব তো, তুমি জানো না কি করেছো তুমি?
:জানলে কি আর তোমার সামনে সেই কাজ করার সাহস আমার আছে?
:তুমি সিগারেট খেয়ে, আমার সাথে দেখা করতে আসেছো!!
:না না, কে বলল? সত্যি একটা টানও দেইনি, বিশ্বাস করো নীরা। তুমি যেদিন প্রথম না করে ছিলে সেই দিনের সেই সিগারেটটাই আমার শেষ সিগারেট। ফ্রেন্ডরা খেয়েছিলো, তাই হয়তো আমার শরীরে নিকোটিনের গন্ধটা পাচ্ছো। আমি তোমার সাথে অন্তত এই বেপারে মিথ্যা বলবো না।
:দেখি হা করতো। খেয়ে থাকলে গন্ধ থাকবে নিশ্চয়ই।
:এই নাও, হা।
(নীরা নাকটা উঁচু করে অনেকটা বাচ্চাদের মত করে অবাকের মুখের কাছে নিয়ে গেল।)
:না, যাক মেনে নিলাম। তুমি সত্যি কথাই বলেছো। থ্যাংক ইউ অবাক আমার কথাটা রাখার জন্য।
(নাকটা তখনো সরায়নি নীরা, অবাক আলতো করে তার ঠোঁট ছুঁয়ে চুমু খেল নীরার নাকে।)
:অ্যাই কি করছো এই সব?
:চুমু খেলাম, যদিও কামড় দিতে ইচ্ছে হচ্ছিল। কিন্তু ব্যাথা দেয়ার কোন রকমের ইচ্ছা না থাকায় শুধু চুমুই খেলাম।
:ওফ্ শখ কতো জমিদার সাহেবের। ঢংয়ের কোন শেষ নাই। যাও আজ এই কাজের জন্য কোন শাস্তিই দিলাম না। মাফ করে দিলাম আজকের এই ভুলের জন্য।
:তাহলে তো আবার করা উচিত এই ভুলটা।
:অ্যাই, কি শুরু করছো। এরপর কিন্তু আর দেখা করবো না, কোন দিনও না। সত্যি!!
(অবাক নিজেকে সংযত করে নিল। নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে রইল। এক সময় নিজেদের চোখের মাঝে তাকিয়ে ভুলে গেল সব অভিমান।)
কয়েকটা মাস পরের কথা, অবাকের ডায়রীতে...
"নীরা, আমি কিন্তু এখন রেগুলার সিগারেট খাই। মদ-গাঁজা-ফেন্সিডিলতো প্রতি রাতের খাবার এখন। জানো নিজেকে কষ্ট দেবার জন্য আর কি কি করি? ইয়াবা খেয়ে খেয়ে যে কয়টা রাত তোমাকে ভেবে কাটিয়ে দিয়েছি তুমি নিজেও চিন্তা করতে পারবে না নীরা। আমি নিজেও বলতে পারবো না আমি কবে একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। নিজেকে তিলে তিলে মেরে ফেলছি এইভাবে। তুমি তোমার নিজের নতুন সংসারকে নিয়ে অনেক ভালো থেকো। তোমাকে কখনোই আমি দোষ দিচ্ছি না নীরা, এটা আমার ভাগ্যেই ছিল। নেশা করাটা কিন্তু আর কখনোই ছাড়বো না আমি। আমি চাই মরার আগ পর্যন্ত আমার পুরোটা শুধুই 'তুমিময়' হয়েই থাকুক। হয়তোবা 'নেশা কেটে গেলে তুমিও কেটে যাবে'।"
-অবাক