পাখি ড্রেসের বর্ণনা দিয়ে শুরু করাটা নির্বুদ্ধিতার কাজ হবে বলে এই প্রসঙ্গটা আর টানলাম না। তবে এই পখি ড্রেস নিয় আমি একটা ডেফিনেশন তৈরি করেছি, ‘২০১৪ সালের ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ কেনাকাটায় সবথেকে অলোচনার যে ড্রেস তাই পাখি ড্রেস’। শুধু আলোচনা বললে হবে না এটি একটি প্রাণহানী ড্রেসও বটে। তবে এ বছরের ঈদে বিপুল পরিমান প্রাণহানীর শংকা নিয়ে আসছে আরো একটি ড্রেস। নাম কিরণমালা।
ভারতীয় জনপ্রিয় টিভি জি বাংলার বাংলাদেশে জনপ্রিয় সিরিয়াল কিরণমালার প্রাধান চরিত্রের অভিনেত্রীর নামে ড্রেসটির নামকরণ। কোন বিশেষ ব্যক্তির নামে যখন কোন কিছুর নামকরন করা হয় তখন সেখানে তার কিছু ছাপ থাকে। তবে কিরণমালা ড্রেস আজ আবদি খোদ কিরণমালা চরিত্রের অভিনেত্রী রুখমা রায় পরে দেখেছেন কি না তাতে আমার ব্যপক সন্দেহ রয়েছে। সবথেকে আতঙ্কের বিষয় হল কিছু স্টেশনারী ব্যবসায়ী ভারতীয় সিরিয়ালের পোস্টার বা প্রধান চরিত্রের অভিনেতাদের ছবি দিয়ে অনুশীলন খাতা তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হতে তুলে দিচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশে এসব সিরিয়াল তুমুল জনপ্রিয় এজন্য শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সাথে তা গ্রহণ করছে।
(একটা মাত্র ছবি আপনাদের জন্য দিতে পারলাম। কারণ এই একটি মাত্র ছবি আমার এক বন্ধু আমাকে দিয়েছিল)
এবার মূল প্রসঙ্গ, ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে কতিপয় কিছু ব্যবসায়ী বেশী মুনাফার উদ্দ্যেশ্যে ড্রেসের নামকরণ করেন। এরা মূলত টার্গেট করে ঐসব কাস্টমার যারা কোন কিছু না বুঝে গুজবের পেছনে দৌড়ায়। আবার এদের প্রচারণায় অনেকে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বেশি দামে ঐসব ড্রেস ক্রয় করেন। এদের অতি-উৎসাহের ফলে অকল্পনীয় মুনাফা লাভ করে কতিপয় কাপড় ব্যবসায়ীরা।
কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ দেখলাম। শিরোনামটা এরকম ছিল ‘কিরণমালা না পেয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা’। ঈদের এতো আগে এরকম ঘটনা ঘটার কথা না। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমগুলো তাদের ওয়েব সাইটে ভিউ বাড়ানোর জন্য অনেক সময় ভূয়া সংবাদ প্রচার করে। তবে রমজানের ২০ তারিখ থেকে কিরণমালার জন্য কত আত্মহত্যা আর আর হত্যার সংবাদ কাভার করতে হবে তা শুধুমাত্র আল্লাহ ই জানেন। হয়তো ফেসবুকের নিউজ ফিড এমন হবে যে সব মেয়ে তাদের স্বপ্নের কিরণমালা ড্রেস নিয়ে সেলফি আর স্টেটাসে ভরা।
কিরণমালা ড্রেসের জন্য কোন দম্পতির আদরের মেয়ের আত্মহত্যা বা স্বামীকে হত্যা অথবা সংসার বিচ্ছিন্ন হওয়ার ম অপ্রিকর কোন ঘটনা যেন আমাদের শুনতে না হয়ে এমন প্রত্যাশা থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১২