ইফতার মাহফিল রমজানকেন্দ্রিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক দল এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি এখন ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রচলিত এসব ইফতার মাহফিলে সাধারণত যাদের দাওয়াত করা হয়, তাদের প্রায় অধিকাংশই স্বচ্ছলশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। মূলতঃ এখানে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে নানাবিধ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় থাকে। আয়োজন করাও হয় সেসব উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।
আমাদের ইফতার মাহফিলগুলো হতে পারতো সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে। যারা রোযা রেখে জীবিকার তাগিদে সারাদিন পরিশ্রম করেন। যাদের পুরো দিনটি পার হয় অসহনীয় ক্ষুধা ও পিপাসার তাড়না নিয়ে। এদের অনেকেই দারিদ্রতার কারণে ঠিকমতো সেহরিও খেতে পারেন না।
আসুন একটু সচেতন হই। পরিবর্তন নিয়ে আসি প্রচলিত আনুষ্ঠানিকতায়। দূর হোক মানুষে মানুষে ভেদাভেদ। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে-ভালোবাসায় আনন্দের হাসি ছড়িয়ে পড়ুক প্রকৃত অনাহারীদের মুখে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪