ছবিতে ব্যবসায়ী রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছেন এক নারী কর্মীকে। হয়তো মোবাইল বা ছোট ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তুলা। কি দিয়ে ছবি তুলা হল তা মূল বিষয় নয়। রাস্তায় নারী লাঞ্চিত হচ্ছে আর ছবি তুলে এটি নিউজ পের্টালে সংবাদ হিসাবে পরিবেশন করা হচ্ছে। এখনকার সংবাদকর্মীরা হয়তো ভূলে যাচ্ছে কোনটা সংবাদ আর কোনটা সংবাদ না। কোন পরিস্তিতিতে কোন সংবাদ পরিবেশন করতে হবে বা কোন সংবাদ প্রকাশের গুরুত্ব বেশি রাখে। কোন সংবাদের ক্ষেত্রে ছবি দেওয়াটা খুবই জরুরী আর কোন ক্ষেত্রে ছবি বা নাম প্রকাশ করা যাবে না। অনেক সংবাদকর্মী হয়তোবা জানে না এমন কিছু ছবি না ভিকটিমের নাম প্রকাশের কারণে ভিকটিম সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন।
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে এখন ঘটনা ঘটা মাত্র সংবাদ হয়ে যায়। এর অনেক সুফল আছে। কিন্তু আমরা যদি সুফলকে ইচ্ছাকরে কুফলে পরিণত করি তবে আমাদের থেকে দুর্ভগ্যবান অন্য কেউ হতে পারে না।
অনলাইন মিডিয়াগুলো তাদের পোর্টালে ভিউ বাড়ানোর জন্য ভিবিন্ন ধরেনর কৌশল অবলম্বন করতে পারে। তবে রাস্তায় নির্যাতিত, অপদস্ত, লাঞ্চনার শিকার কোন মহিলার ছবি পোর্টালে প্রকাশ করাটা কোন কৌশল হতে পারে না।
দেশের মধ্যে কোন অনলাইল কত ভাল অবস্থনে আছে তা জানানোর জন্য কাজ করে এলেক্সা ডট কম। তাদের হিসাব মতে এমন কিছু অনলাইলে সংবাদ পরিবেশক দাবীদার পোর্টাল রয়েছে যা দেশীয় র্যাংকিং এ ৫০ এ ভিতরে। অনেক অনলাইন পোর্টাল আছে যারা ফিচারের নামে এমন কিছু লেখা পোষ্ট দেয় যা চটি বইকেও হার মানায়। উল্লেখযোগ্য কিছু শিরোনাম হল ‘কিভাবে আপনার স্ত্রীকে সুখী রাখতে পারেন’। ‘দশটি কারনে আপনার স্ত্রী আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে’ ইত্যাদি।
যেসব রিপোর্টার ও নিউজ এডিটর কান্ডজ্ঞানহীনদের মত এসব কাজ করেন তাদের বলছি, গনমাধ্যমে কাজ করার ফলে সবাই অনেক সম্মান করে আপনকে। এখন যদি আপনাকে কেউ তাপ্পড় দেয় আর তা ছবি তুলে কেউ নিউজ করে তবে আপনার কেমন লাগবে। গণমাধ্যম হল রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এ মাধ্যমে কজ করাটা অনেকটা গর্বের। এমন কিছু মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন না যার ফলে সম্মানের জায়গাটাকে সবাই তিরস্কার করে।
বাংলামেইলে প্রকাশিত ‘রাস্তায় ফেলে নারীকে পেটালেন ব্যবসায়ী’
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬