কে কি ভাল করল তা দেখার আগে আমরা হিসাব করি যে সে আমার দলের কি না। এর কারণে আমাদের বিবেক আজ প্রশ্নের মুখে।
২০০৫ সালে সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ২০০৭ সালে আতিক রহমান চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থে ভূষিত হয়েছিলেন। নি:সন্দেহে তাদের এ প্রাপ্তি অনেক বড় ব্যাপার। তবে দু:খজনক হল তারা পরিবেশ আন্দোলনের জন্য বিশ্ববাসীর কাছ থেকে স্বীকৃতি হিসাবে পদক পেয়েছিলেন, কিন্তু যে দেশের জন্য কাজ করেছেন তাদের ভালবাসা পাননি। অনেকে হয়তো ভূলে গেছেন ২০০৫ সালে বা ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কেউ পদক পেয়েছিল কি না? আমরা জাতি হিসেবে আসলেই অকৃতজ্ঞ, বেইমান। হাসিনা পদক পেয়েছেন এ নিয়ে সারা দেশে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ। আনন্দের বহি:প্রকাশ দেখাতে শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে সবাই রিসিভ করল। আজ জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় গণ সংবর্ধনা দেওয়া। কি এমন পদক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এ কথা বললে হয়তো অনেকে বলবেন যে, তুই/আপনি একটা পেয়ে দেখান। কিন্তু আসলে কি পেয়েছেন? পরিবেশে তার কি অর্জন? এতো বছর কয়েক আগে রিজওয়ানা আর আতিক রহমান পেয়েছেন। তখন তো কোন রাজনৈতিক দলের বা সাধারণ মানুষের উচ্ছাস ছিল না। সুন্দর পরিবেশের জন্য ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানরা যদি পদক পায় তবে সেটাকে অর্জন বলা যায়।
দেশের হয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা্ আর্থ পাওয়া সৈয়দা রেজওয়ানা চৌধুরীর চেয়ে আমার কাছে কোনভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন ভাবে বড় হতে পারেন না।
এক নজরে দেখে নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাদের সাথে এবারের চ্যম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরষ্কার নিয়েছেন:-
ইউএনএপির ওয়েবসাইটের ক্রমানোসারে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পেয়েছেন তাদের নাম ও কর্মস্থল…….
১) মি. পৌলম্যান, সিইও ইউনিলিভার(প্রাসাধনী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান)
২) শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
৩) নাটুরা ব্রেজিল, (প্রসাধনী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান)
৪) ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইট
৫) ব্লাক মাম্বা এপিইউ (এন্টি পোস্টিং ইউনিট
মূল লেখা তথ্য
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩