somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ স্থবির সময়

২৬ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চুলের পাশ দিয়ে দর দর করে ঘামের একটা ধারা গড়িয়ে পড়ছে। চোখ মুখ কুঁচকে আছে শেড। ক্রমাগত গতি বৃদ্ধিতে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। বার বার মাথা ঝাঁকি দিয়ে অন্ধকারে দৃষ্টি পরিষ্কার করে নিচ্ছে ও। গতি বাড়ছেই। রাত হলেও সামনে আলো আছে। স্ট্রিট লাইট আর শক্তিশালী হেড লাইটের আপাতত অভাব নেই। ৩০২ থেকে ধীরে ধীরে ৩০৩ আরও একটু ধীরে ৩০৪ এভাবে বাড়ছে। শেডের ২৮৯ বিএইচপি ক্ষমতার গাড়িটার টপ স্পীড ৩৩৬ কিমি পার আওয়ার। বিএইচপি কম হলেও গাড়িটার ড্রাইভারটেইন, টার্বো আর সাসপেনশন একেবারেই ঝা চকচকে। এই রহস্য সবাই জানেনা। গাড়িটা কিছুই না, আদিকালের রদ্যি জিনিস। একটা শেভরলেঁ কোবাল্ট এসএস। এই বড় ভারী একটা গাড়ি। এই পুরোনো গাড়িতে এত এডভান্স স্টেজের যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য যথেষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং করতে হয়েছে শেডকে। এক সময় টাকা ছিল না নতুন ইঞ্জিন কেনার। তাই এই গাড়ির পেছনেই এত পরিশ্রম করেছে ও। এখন মায়া পরে গেছে। তাই খুব দরকার হলেও ফেলতে পারে না। খোলামেলা বডি কিট আর পেছনে স্পয়লার লাগিয়ে উইন্ড টানেল নিয়ে কিছু গবেষণা করেছে শেড। গাড়ির ডাউনফোর্স প্রায় .৭৮g বাড়িয়ে নিয়েছে।

যখন স্পীড ৩১২ কিমি পার আওয়ার উঠে গেল অতক্ষণে শেডের চোখ প্রায় ঝাপসা হয়ে এসেছে। মাথা ঝাকি দিয়েও লাভ হচ্ছে না। সামনের কিছুই বলতে গেলে দেখতে পারছে না। আজকে ট্র্যাকে আর্দ্রতা অনেক বেশি হয়ত। এই কারণেই হয়ত এতক্ষণেও তেল আর টায়ার পোড়া গন্ধ নাকে লাগে নি শেডের। অথচ চোখ জ্বলা শুরু করেছে। মনে মনে জোন্ডা এফ এর ছবিটা কল্পনা করছে সে। আজকে জিততে পারলে পুরস্কার। এই গাড়িটা এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে টপ স্পীডের অধিকারী। আহা! শেড আমার মাথা ঝাকালো। এর সাথে পুরস্কার আছে আরও কিছু। তবে ওটা শেডের আছে। অন্তত কিছুদিন হলেও ছিল!

কিছুক্ষণের মাঝেই সামনে কোথাও বিস্ফোরণ হবে, জানে শেড। শেড অপেক্ষা করছে। সময়ের খেলাটা এখানে অনেক বড় ব্যাপার।

শেড। শেড ম্যারন। অটোমোবিল ড্র্যাগ রেসার। কালো চুল আর হালকা বাদামী চোখের সুঠাম তরুণ। সারাটা দিন মেশিন আর গতি নিয়েই থাকে ও। আর দশটা রেসারের মতই উচ্ছ্বল। যখন তখন খুশী আর যখন তখন রাগ। সাধারণের কাছে যেটা কালো টাকা ওদের কাছে সেটা এডভেঞ্চার। চারপাশে সারাক্ষণ নামী দামী মডেল যারা আসলে খুবই উঁচু দরের দেহপসারিনী। অনেক টাকা খরচ করে রেসাররা ওদের ডেটিং এ নিয়ে যায়। পরে দেখা যায়, সারা রাতের বিনিময়ে খুব আস্তে করে একটা ফেভার চায়। ফেভারটা ত কমন। তোমার স্পন্সরের নেক্সট বিজ্ঞাপনে বলবে শুধু আমার সাথেই তুমি কমফোর্ট ফিল কর। কমন ফেভার।

এই সবকিছুর বাইরেও শেডের আরেকটা পরিচয় আছে। শেড কবি। মাঝে মাঝে উথলে ওঠা ভাব না, শেড নিয়মিত গভীর রাতের কবি। শেডের মনে যখন ছন্দ আসে না, তখন ও ব্ল্যাক রেসে যায়। গত পরশু রাত সাড়ে তিনটায় একটা ট্রেন স্টেশনের মাঝ বরাবর রেস করেছে ওরা। ছয়টা রেল লাইনের মাঝে দিয়ে আড়াআড়িভাবে ট্র্যাক ঠিক করেছিল। যে কোন সময় যে কোনটা দিয়ে ত্রেন আসতে পারে আর বারটা গাড়ির যে কোনটাকে পিষে ফেলতে পারে। রেসারদের কাছে এসব এডভেঞ্চার। ট্রেনের নিচে মরা আর ট্র্যাকে গিয়ে ইঞ্জিনে আগুর ধরে মরা এদের কাছে একই। তাই ব্ল্যাক রেসে সাধারণ মানুষ যতটা ভয় পায়, রেসারদের কাছে তেমন কিছু না। শুধুই আলাদা ট্র্যাক।

অফিসিয়াল ড্রাগ রেস গুলাতে শেড তেমন একটা ফর্ম পায় না। কিন্তু ওর একটা দুর্লভ সুনাম আছে, ওয়ান অন ওয়ানে এই পর্যন্ত ওর সাথে কেউ পারে নি। সকালের অফিসিয়াল রেসে লন্ডনের ডেভিডসন ওকে এক হাত দেখে নিয়েছে কিন্তু বিকালে ওরা ওয়ান অন ওয়ানে শেডের চেয়ে প্রায় ১০০ মিটার পেছনে ছিল।

ওয়ান অন ওয়ান হল চ্যালেঞ্জের মত। এটা আগে থেকে ঠিক করা থাকে না। সন্ধ্যায় বা বিকেলে ঘুরতে বের হলে একজন রেসারের সাথে আরেকজনের দেখা হয়ে যায়। হয়ত একই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল ওরা। পরিচিত হলে হাসি দেয় আর শত্রুতা থাকলে শুরু হয় রেস। ওই চলন্ত অবস্থাতেই শুরু হয়ে যায়। কেউ যতক্ষণ না অপরজনের ৮০ মিটার সামনে যেতে পারছে ততক্ষণ পর্যন্ত রেস চলতেই থাকবে।

শেডের বাবা ছিলেন জমির কৃষক। জার্মানীর স্টুডেসবার্গের কোণায় এক্রুডেসে ওদের একটা ভিলা ছিল। বড় না ছোট। সেখানেই বড় হয়েছে শেড। সেখানে নেকড়ে থেকে ভেড়াগুলোকে পাহাড়া দিয়ে কাটিছে ছোটবেলাটা। চিৎ শুয়ে পার করত দিনের অনেকটা সময়। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত। সে সময়টা অন্যরকম ছিল। শেড মনে মনে ভাবে ওর কবি হবার পিছে খোলা আকাশের অবদান সবচাইতে বেশি।

শেড সেই ঠান্ডা নিরুত্তাপ জীবনটাকে অনুভব করে। ফিরে পেতে চায়, কিন্তু এখনকার উত্তেজনার জীবনটাকেও ছাড়তে চায় না। রেসিং জগতে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে ও বহুদিন ধরে। ওর গাড়িটা ও একটু বড় হয়ে কেনে। জার্মানীতে মানুষ গাড়ি কেনে কিস্তিতে। কিন্তু কিস্তির গাড়ি নিয়ে রেসে নামা যায় না। তাই গাড়ি কিনতে ওর বেশ কষ্টই হয়েছিল। দ্বিতীয় সারির প্রথম দিকের রেসার সে। ড্রাগ রেস গুলো বাদে অন্যগুলোতে হয়ত আরও ভাল করত সে। বিশেষ করে টার্নে সে ওস্তাদ। কিন্তু ড্রাগ রেসে কোন টার্ন নেই।শুধু হুইলি আর স্লিপ। যাই যাই করেও আর যাওয়া হয় নি ওর। এই টাইপটাই মেজর রয়ে গেছে।


ব্লাক রেসগুলো ইদানীং শেডকে খুব টানে। ইদানীং ভাবছে অফিসিয়ালি রিটায়ার করে গোস্ট রেসার হিসেবে শুধু ব্ল্যাক রেসগুলোই পারফর্ম করলে কেমন হয় ! আরেকোটা ব্যাপার, ব্লাক রেসে স্বার্থলোভী মডেলদের আনাগোনা নেই। এখানে যেসব মেয়ে সরাসরি তাদের ইউরো দিয়ে ভাড়া করে আনা হয়েছে, নয়তো রেসিং এর ডাই হার্ড ফ্যান। ওরা গাড়ি বোঝে, রেস বোঝে। এদের সাথে কথা বলতে ভাল লাগে শেডের।
লালচে সোনালী চুলের সিনথিয়া বাথিলডার সাথে শেডের পরিচয় ৪ মাস। ওর গার্লফ্রেন্ড। সিনথিয়া ঠিক শেডকেই চায় কী না শেড ঠিক বোঝে না। সিনথিয়ার প্রবল আকর্ষণ আদিলপ্রোঁ এর ভিনাইলটা নিয়ে।এই স্টিকারটা একটা এন্টিক। এটা শেড কোথায় পেয়েছিল, ওর নিজেরও মনে নেই। তখন জানত না এটা কতটা মূল্যবান রেসারদের চোখে। গাড়ির পেছনের বাম চাকার ৫ ইঞ্চি উপরে লাগানো।১৪ বর্গইঞ্চির একটা ভিনাইল রেসারদের ঈর্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা দেখেই প্রথম সিনথিয়া কথা বলতে আসে শেডের সাথে। এর আগে শেডের সাথে সম্পর্ক ছিল অলভিন সায়ান এর সাথে। ডাক সাইটের মডেল। রেসের বিজ্ঞাপণ করত কিন্তু রেস নিয়ে বোঝে না কিছুই।

আজকের রেসটা একটা চ্যালেঞ্জের মতন। রাত ১ টা থেকে ১ টা ২০ এ ফ্রাঙ্কফুট এয়ারপোর্টে ৪ টা প্লেনের ল্যান্ডিং শিডিউল আছে।এর মাঝে ৩ টা ট্যাক্সিং ট্র্যাকের মাঝে দিয়ে ১২ টা গাড়ি ছুটে যাবে। পুলিশ ফাঁড়ির সবচেয়ে দূর প্রান্তে ফিনিশ লাইন।১২ টা ৫৫ তে এয়ারপোর্টের একদিকের দেয়াল ব্লাস্ট হবে। একটা ফাঁটল তৈরি হবে। ডেটোনেশন টাইম ফিক্সড করে দেয়া। কেউ বেশি আগে চলে গেলে সেটা তার সমস্যা। দেয়ালে বাড়ি খাবে। আবার কেউ বিস্ফোরণের সময় পৌঁছলে সেটাও তার সমস্যা। দেয়ালের সাথে সেও হারিয়ে যাবে। শেড তাই সামনের স্ক্রিনে ঘড়ি দেখছে বার বার। মাত্র ১৩ মিনিট হয়েছে। আর কতক্ষণ!


সিনথিয়ার সাথে কথা বলে মজে গিয়েছিল শেড। দ্বিতীয় ডেটিং এই সিনথিয়ার সাথে একটা জোড়ালো সম্পর্কে জড়িয়ে যায় ও। সিনথিয়া গাড়ি বোঝে, এটা শেডের খুব ভাল লাগে। মাঝে মাঝে রাতে সিনথিয়া ওর সাথে শুতে আসে। ওরা গ্যারেজে শোয়। ম্যাটের উপর। সিনথিয়ার আগ্রহেই। কোবাল্ট এসএস টার পাশেই। সিনথিয়ার আগ্রহ যেন আদিলপ্রোঁর ভিনাইলটা নিয়েই। এমনকি মিলনের চরম মুহূর্তেও ও ভিনাইলটা ছুঁয়ে থাকে এক হাতে। এটা বোধ হয় ওর কোন ফ্যান্টাসী, তাই শেডের সাথে গ্যারেজে শোয়। শেডও টের পায়, মাঝে মাঝে সিনথিয়ার যতই অনিচ্ছা থাকুক, ওকে টেনে ধরে এসএসের হুডের ওপর শোয়ালে ও আর না বলতে পারে না। পুরোটা সময় চোখ বুজে থাকে।


শেডের ব্যাক্তিত্বের একটা দিক এসব খুব উপভোগ করে। আরেকটা দিক, এই ভোগী দিকটার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখে। সিনথিয়া বাথিল্ডা বেশির ভাগ ব্লাক রেসে যায়। এরা যেমনটা হয়, শেডের ভাল লাগে, রেস বোঝে, গাড়ি বোঝে, ট্রিকস বোঝে। রেসারকে বোঝে কী! শেডকে বোঝে কী! শেড এর বেশি ভাবে না। শুধু জানে, ওর কবিতাগুলো সিনথিয়াকে দেখাতে পারবে না সে।

When the dark falls people sunk through madness
But seats beneath the rock belongs to me
Whenever light ball sparks people tries to cheat in smog
But my seat belongs to aside the sea
White kites float over upon the hills
I flow down the river
Emotions are teased like shower-head
I wish to melt in water forever



ডেভিডসন আজকে সম্ভবত ঠিক করেছে শেডকে কোনভাবেই ওভারটেক করতে দেবে না। লন্ডনের ডাকসাইটের রেসার সে। তার প্রেস্টিজের একটা ব্যাপার আছে। সবচেয়ে বড় কথা ও ডজ ভাইপার এসআরটি ১০ চালায়। মডেল পুরোনো হলেও যথেষ্ট দামী আর প্রচণ্ড শক্তিশালী।জোন্ডা এফের স্বপ্ন তার বহুদিনের। গাড়িটার বাম্পার আর হুড ওর কাছে কেমন যেন হিংস্র লাগে। আজকের রেসটাও তেমনই হিংস্র। আর বাড়তি পুরস্কার হিসেবে মাংসের ঢেলাটা ত আছেই। ওটাকেও ভাল লেগেছে ওর।


৩২০ কিমি পার আওয়ার স্পীড উঠে গেছে শেডের। এইচকেএস এর ড্রাইভারটেইন গাড়িটাকে ধীরে ধীরে এতটুকু গতি দিয়ে ফেলেছে। আরও কিছুদূর যাবে।একটা জেড ৩৩ কে পাশ কাটালো ও। মাথা ঘুরিয়ে তাকালো। নিসানের। শেড মনে মনে ভয় পাচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় কতটুকু দূরে থাকবে ও। কিংবা আদৌ বিস্ফোরণ হবে তো, না হলে সোজা দেয়ালে ধাক্কা খাবে ওর গাড়ি। শুধু জোন্ডা এফের স্বপ্নে আজকে নেমেছে ও। আর নেমেছে একটা পরিণতি দেখছে। পুরস্কারের সাথে বাড়তি পুরস্কার। প্রতিবারের মত কয়েকজন ভলান্টিয়ার রাজী হয়েছে আজকের জয়ীর যে কোন একটা ইচ্ছা পূরণ করতে। এদের মাঝে একজন ভলান্টিয়ারকে সিলেক্ট করা হয়েছে। এক নিতান্ত ভলান্টিয়ারের কাছে আজকের জয়ী রেসারের আর কী ইচ্ছা থাকতে পারে ভোগ করা ছাড়া ! শেড মনে মনে হাসল।


শেড জানত না সিনথিয়া বাথিলডা রেসের কতটুকু ফ্যান। আজকে বাড়তি পুরস্কার নামে ভলান্টিয়ার হিসেবে সিনথিয়া বাথিলডা সিলেক্টেড হয়েছে। শেড আজকে জানল। ও মনে মনে ভাবছে, ওকে আসলে কবি হিসেবেই মানায়। সবকিছু সবার মত হবার পরেও কেন যেন সবার মত সব মেনে নিতে পারে না ও। আজকে বাড়তি পুরস্কার রিজেক্ট করবে ও। দৃঢ ভাবে ঠোঁটটা চেপে ধরে শেড। ওর পজিশন কত আছে সেটা গণা বাদ দিয়ে দিয়েছে ও। সামনে যা থাকে পাশ কাটাবে যদি কিছু নাও থাকে, তাহলে আরও দ্রুত যাবে। যতটুকু সম্ভব। আবারও মাথা ঝাকিয়ে সামনের দিকে দৃষ্টি দেয় শেড।এক্সেলেটর আরও জোরে দাবিয়ে ধরে। মনে শুধু চিন্তা সঠিক সময় বিস্ফোরণ হবে ত!
ডেভিডসন ঠান্ডা মাথায় স্টিয়ারিং করছে। কোনভাবেই কিছু যেন পাশ কাটাতে না পারে। ও শুধু বিস্ফোরণটার অপেক্ষা করছে। এরপর নাইট্রাস ছেড়ে দেবে।হঠাৎ করেই মনে একটা বাজে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ওর। এমনকি হতে পারে শেড ওকে ওভারটেক করে গিয়েছে আগেই। অথচ ও গতির কারণে ধরতে পারে নি! নড়ে চড়ে বসে সময়টা দেখল ও।


কার্সোল ডে ফনডোঁ স্ক্রিনে দেখছে জিপিএস এর হিসাব অনুযায়ী এখন ও সবার সামনে। স্কাইব্লু মিটসুবিসি ল্যান্সারে ৩২৮ কিমি পার আওয়ারে সামনে ছুটছে সে। দাঁতে দাঁত চেপে আছে। হঠাৎ রিয়ার ভিউ মিররে চোখ পড়ল ওর। পেছনে একটা কোবাল্ট এসএস। শেডের শেভরলেঁর কথা শুনেছে ও। গাড়িটার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো ও। এরকম একটা গাড়ি এই গতি পাচ্ছে কোথা থেকে!


সামনেই সবার প্রতিক্ষিত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। অবশেষে। কারও কারও কাছে মনে হল দুই সেকেন্ড পরে বিস্ফোরণটা হয়েছে। তবে একটা বিষয়ে সবাই নিশ্চিত। বিস্ফোরণটা অনেক বেশি জোরালো। হয়ত দেয়ালের সাথে আরও কিছু বিস্ফোরিত হয়েছে। কে জানে। এখন এসব ভাবার সময় না। গতির মাঝে এই সময়টারই ত অভাব সবার!

© আকাশ_পাগলা
১৭টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×