সব ঋতুতেই সন্ধ্যেবেলাটা স্বর্গীয়। সূর্যের শেষ আলোটুকু, মেঘেরা ভাগ করে নেয় তখন।
সেই আলো, একেকদিন একেক রংয়ের।
আজ বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় দাঁড়ালাম।
একটা ছোট্ট দোয়েল, একটু পরপর সতর্ক হয়ে শিস দিচ্ছে।
সেই শব্দ শুনে আরেকটা অচেনা পাখি জবাব দিচ্ছে।
মায়াবী হলুদ আলোয়, ঘরে ফেরা পাখিদের মনে হয় তীর্থযাত্রী।
তাদের একটাই গন্তব্য, সেই সময় তারা কোন অভিযোগ করে না, বিদ্রোহ করে না।
তারা ঘরে ফিরে যায়, প্রতিদিনকার মতো।
দেখতে পাচ্ছি,
একটি বিড়াল টিনের চালে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে।
তার ঘরে ফেরার তাড়া নেই, কারন তার কোন ঘরই নেই।
জীবন সংসারে, লক্ষকোটি প্রাণের মাঝেও, স্থায়ী একটা ঘর বানাতে পারে নি সে।
পথের বেড়ালের চকচকে পশম নেই বলে, ভাগ্য শিলায় আদরও লেখা নেই।
জোরে বাতাস বইতে শুরু করলো,
দোয়েলটিও রওনা হলো।
লেখা: ১৫জুলাই১৮
ছবিটি তোলা ১৮র মে মাসে, শীতলক্ষ্যা, নরসিংদী।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:০৩