রাত ঌ টা,
জানলা দিয়ে থুথু ফেলার আদিম অভ্যাসটি পিছু ছাড়ছেনা হাজীমিয়ার। কোনোকিছুর ঠিক নাই এখন। পুলিশ মুলিছের মাথায় পড়লে গেন্জাম আছে।
কাম নাই, কাজ নাই। মড়কের দিন। বউটাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে, ডিপ ফ্রিজটাকে ভারমুক্ত করছেন আপাতত। দুই তালার ভাড়াটিয়ারা চলতি মাসের ভাড়া দেয় নাই। ঐশ্বরিক জিহ্বাটা ছুরির মতো চালিয়ে এলেন সন্ধ্যেবেলায়। নিজের উপর ভালোই খুশি তিনি।
সোনালি তেলে মচমচা করে ভাজা মাছের চাকটাই সর্বনাশ ডাকলো সবশেষে।
ভয়ঙ্করভাবে একটি কাঁটা আটকে গেছে গলার নরম মাংসে! যন্ত্রনায় কাশতে লাগলেন হাজীমিয়া। ভাতের দলা গিলে কাঁটা নামানোর টোটকাটা জানেন, তবে পাতিলে ভাত নেই।
একদলা সাদা ভাতের জন্য অতিকষ্টে নামলেন দোতালায়। কাশতে কাশতে কলিংবেল দিচ্ছেন। কেউ দরজা খুলছে না।
উনি কাশছেন দেখে নাকি?
ব বর্গীয় গালি গেয়ে, ঢালু সিড়িঁ পথে পা বাড়িয়েই, এক মিলি সেকেন্ডের জন্য হড়কে গেলেন হাজীমিয়া।
সারারাত দুইমনী দেহটি, সিড়িঁর গোড়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে রইলো।
কেউ দরজা খুললো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:২৯