আজকের দু'টি খবর একটু ভিন্ন চমকের মনে হলো।
প্রথমটায় আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবের এক পর্যায়ে বললেন: "আমাদের বিচার কেউ ঠেকাতে পারবে না।" সূত্র: টিভি সংবাদ।
আমি শুনে ভাবলাম কখনো কখনো মানুষের মুখ দিয়ে বিধাতা তার পরিণতির কথা বের করে দেন। এটা কি তেমন কোন ইঙ্গিত? না কি নিছক একটি "স্লিপ অব টাঙ্ক"?
বর্তমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কারো পক্ষে সম্ভব না সারাজীবন রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকা। এতে উত্থান-পতন আছে এবং থাকবে। বরং অতীতে দেখা গেছে জোর করে টিকে থাকার প্রচেষ্টাকে হয় হত্যা করে নয়ত গণরোষ সৃষ্টির মাধ্যমে নস্যাৎ করে দিয়েছে দেশের মানুষ। তাহলে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এটা সত্য হবে যে বর্তমান সরকারও অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতা থেকে নামবে কিংবা নামতে বাধ্য হবে। তখন নিশ্চয় বর্তমান কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট এদের কাউকে ছেড়ে দেবে না। মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর মুখ থেকে কি কাকতালীয় ভাবে সে সত্যটাই বেরিয়ে পড়লো?
দ্বিতীয় খবরটা দেখলাম জামাতীদের পত্রিকা সংগ্রামে। কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি এখানে-
"জাতীয় শীর্ষ রাজনীতিকদের ১৬ দিনের রিমান্ড পৃথিবীতে নজীরবিহীন
বিরোধীদলের আন্দোলন দমন ও ইসলামী রাজনীতি বিলোপের নীল নকশার বাস্তবায়ন হচ্ছে।
জাতীয় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে একসাথে ১৬ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার ঘটনা শুধু বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ভারতীয় উপমহাদেশই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিরোধীদলের ল্যান্ড স্লাইট বিজয় এবং একটি সফল ও স্বতঃস্ফূর্ত হরতালের পর বিরোধীদলের আন্দোলন দমন এবং দেশ থেকে ইসলামী রাজনীতি বিলোপের নীল নকশার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও সুশৃক্মখল রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর আমীর সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমীর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাস্সিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেফতার করে একটির পর একটি সাজানো মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিস্ময়কর বিষয় হলো, যে মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করছে আদালত সেই মামলায় জামিন হলেও মুক্তি না দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তড়িঘড়ি করে আরো ৫/৬টি মামলায় তাদেরকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের একজন ব্যক্তির দায়েরকৃত মামলায় হাজির হওয়ার দিন হাজিরা না দেয়ায় পুলিশ ২৯ জুন বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে এবং শহীদবাগের নিজ বাড়ি থেকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেফতার করে। এই মামলাটি জামিনযোগ্য। ফলে এমন কোন সিরিয়াস ফৌজদারী বিষয় ছিল না যে, কোর্ট থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু করার মাত্র দু/আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করতে হবে। কোর্টের অর্ডার পুলিশের কাছে আসতে একটু সময়েরও ব্যাপার থাকে। কিন্তু অতি দ্রুততার সাথে গ্রেফতারের ঘটনাই প্রমাণ করে যে ঐ মামলায় জামায়াতের এই তিন বর্ষীয়ান নেতা যদি আদালতে হাজির হতেন, তাহলে তাদের জেলে নেবারই চেষ্টা হতো এটাই ছিল পরিকল্পনা।......." Click This Link
আসলেই কি পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা? যদি তাই হয় তাহলে গিনেচ বুকে তোলা দরকার বিষয়টিকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




