আজকাল মাথাটা কেমন যেনো ভো ভো করে পথিকের্। না চাইতেও মনের ভেতর পথিকের অগোচরেই অনেক অজানা ভাবনাগুলো ঘুরপাক খায়!!
তবে কি আমাদের পথিক প্রেমে পড়েছে??
হ্যাঁ! ! পথিক প্রেমেই পড়েছে। প্রেমে পড়া মানে ভুল করা। আর হয়তো ভুলই করে ফেলেছে পথিক। .
বাসন্তী, সদা চঞ্চল এক মেয়ে,মাথা ভর্তি যার কালো কেশ, মুখের হাসিতে যার চাদেঁর আলো ঝড়ে পড়ে,যার কথাগুলো কোকিলের মধুর সুরের মতোই মনে হয়, যার চোখগুলো রাতের তারার মতোই জ্বলজ্বল করে. স্বয়ং বিধাতাই যখন তাকে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তখন তার সম্পর্কে কি আর বলবো???
আমার ক্ষুদ্র ভাষার অভিধানে তার সৌন্দর্যকে ব্যাখ্যা করার আর কোন ভাষা কিংবা শব্দ নেই। সে নিজেই তার তুলনা।
যার মনটা জমজম কূপের পানির ন্যায় পবিত্র (হতেও পারে)
এমনই এক মেয়ের প্রেমে পড়েছে পথিক।
.
বাসন্তীকে যতোই দেখছে ততোই তার প্রেমে পড়ে যাচ্ছে পথিক। একটা সময় ভালোই লাগতো. ভালোলাগা আর ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্যটা জানে পথিক। ভালোলাগা ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। যা আবেগের কারনে হয় আর ভালোবাসা না চাইতেই হয়ে যায়। যার কাছে হার মানে আবেগ। যার কাছে হার মানে পৃথিবী। পথিক না চাইতেই আজ বাসন্তীকে ভালোবেসে ফেলেছে। নিজের জীবনের মতোই কেননা এর চেয়ে বেশী ভালোবাসা আর পথিকের পক্ষে সম্ভব নয়। শুধু পথিক কেন কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। .
পথিকের সাদাকালো জীবনে বাসন্তী বয়ে এনেছে এক নতুন রঙ্গের ছোয়া। বাসন্তীর সংস্পর্শে পথিক পেয়েছে নতুনভাবে চলার প্রেরণা। বাসন্তীর ছোয়ায় জীবনে পেয়েছে নতুন উদ্দ্যমতা। বসন্ত যেমন ঋতু রাজ ঠিক তেমনি বাসন্তীও পথিকের জীবনের রাণী।
.
বাসন্তীকে খুব বেশীই ভালোবেসে ফেলেছে পথিক। দুষ্টুমির ছলে তাইতো আজ প্রতিটা সময়ই বাসন্তীর জাদু মাখানো হাতের পরশ পেতে চায় সে, বাসন্তীর পাশে থেকে হাটতে চায় যতটুকু পারা যায় তার থেকেও বেশি। পাশাপাশি হাটতে যায়,রাস্তা পার হওয়ার ছলে বাসন্তীর নরম হাতটি ধরতে চায়। পথিক বাস্তববাদী। সে সবই জানে। সে জানে তার ভাবনাগুলো কখনই পূরন হবার নয়.বন্ধুত্বের চেয়ে বেশিটুকু অধিকারই চায় সে। সে জানে যে অধিকার একবার হারিয়ে যায় তা আর ফিরে পাওয়া যায়না গেলেও অধিকারটা আগের মত গাঢ় হয়না।
.
আচ্ছা পথিক কে নিয়ে বাসন্তীর ভাবনাগুলো কেমন??
সেকি একটুও পথিক কে নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করে কখনো?? সে কি একটুও পথিক কে নিয়ে পথিকের মতো করেই স্বপ্ন দেখে?? কখনো কি বন্ধুর চেয়ে বেশী কিছু ভেবেছে কখনো???
এসবের উত্তর একটাই "না"
বাসন্তী কখনোই পথিক কে বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু ভাবেনি। হয়তো কখনোই ভাববেনা। আর এটাই বাস্তবতা . পথিক বাস্তববাদী তাইতো সে ভালোবেসেও আজ নীরব্.
যে নীরবতা হাজার বছরের নীরব নিস্তব্ধ রাতের নীরবতাকেও হার মানায়। .
এরপরও পথিক ভালোবাসবে, ভালোবেসে যাবে আজীবন। পথিকের ভালোবাসার পথে হয়তো বাসন্তী বসন্তের উদ্যমতা নিয়ে দাড়াবেনা। কিন্তু এরপরও পথিক ভালোবাসার পথে বাসন্তীর স্পর্শের অনূভুতি নিয়েই চলবে। চলবে আজীবন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পথিকের মনে বাসন্তীর জন্য ভালোবাসার.একটা বিশেষ স্থান থেকে যাবে ………
পথিক ভালোবেসে যাবে বাসন্তীকে আজীবন আর বাসন্তী হয়তো অন্যের ঘরে সুখেই পার করবে জীবন …………