আগেরদিন রাতে আমার কম্পিউটারে রাত ৩ টার মত সময় পর্যন্ত কাজ করেছি। তাই একটু বেলা পর্যন্ত ঘুমাব এটাই স্বাভাবিক। ঠিক সময়টা মনে নেই, তবে সকাল পৌনে এগারটার দিকে হবে। আমার দরজায় কেউ একটা শব্দ করছে থেকে থেকে। শব্দ পেয়ে আমি ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতেই আমার ঠিক সামনের ফ্ল্যাটের মেয়েটা সাথে ওর সাবলেট একটা ছেলের পাশে দাড়িয়ে আমাকে বলছে "পান্না ভাইয়ের স্ত্রী রিক্তা অসুস্থ, তাকে হসপিটালে নিতে হবে। আপনি যদি তাকে ধরে একটু সহযোগিতা করতেন....।" মেয়েটাকে সহজ সাবলিল মনে হলো, কিন্তু ছেলেটার অভিব্যক্তিতে ভয়ের কারনে যেমন ফ্যাকাশে লাগে তেমন লাগছিল। আমি তখনো ঘুমের ঘোরে, বললাম "একটু অপেক্ষা করুন, আমি শার্টটি গায়ে দিয়ে আসছি।" আমি শার্টটি গায়ে দিতে দিতে সেই ছেলেটির ঘরের দিকে গিয়ে দেখলাম, রিক্তার দেহটি ফ্লোরে তোষক বিছিয়ে করা বিছানার বাইরে অর্ধেক, বিছানায় অর্ধেক। রিক্তার দেহের উপরিভাগ পান্না এমন ভাবে ধরে আছে যে আমি তার মুখটি দেখতে পাই্নি। আমাকে আবার তাগিদ দেয়া হলো, “ভাইয়া, একটু তারাতারি ধরেন।“ আমি আর অপেক্ষা না করে রিক্তার শরিরের নিম্নাংশ ধরতে গেলাম। কোমরের নিচে হাত দিয়ে ধরতে গিয়ে দেখলাম শরীর বেশ ঠান্ডা, কিন্তু আমার একবারো মনে হয়নি তার শরীরে প্রান আছে কি নেই। চারতলার সিড়ি দিয়ে নামাতে আমার এবং পান্নার যে খুব কস্ট হচ্ছিল তা বুঝতে পারছিলাম। তখাপি ভাবছিলাম, যদি মেয়েটি বেচে যায় তাহলে পরিশ্রম স্বার্থক হবে। কিন্তু আমার যে কি হয়েছিল জানিনা, আমি একবারো পান্না কিংবা সাবলেট শায়লাকে জিজ্ঞেস করিনি যে রিক্তার কি হয়েছেলো বা ক্যানো হসপিটালে নেয়া দরকার। আমি ভাবলাম, মেয়েরা তো কত কারনেই অসুস্থ হতে পারে। সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে আমি লক্ষ্য করলাম মেয়েটি অনেক সুন্দর। কিন্তু কি হতে পারে মেয়েটির? ভাবলাম, সুস্থ হলে পরে জানা যাবে। বিল্ডিংয়ের নীচে অপেক্ষারত অটোতে মেয়েটিকে তুলে দিতেই দেখলাম মেয়েটির গলায় কালশিটে দাগ, বেশ কালো হয়ে আছে। মুহুর্তেই মনে হল, রিক্তা অনেক আগেই আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে, আর কখনো দেখবো না তাকে। ততক্ষণে অটো চলে গেলো হসপিটালের উদ্ধেশ্যে। আমি অনেক কস্টে সিড়ি বেয়ে উঠে বাসায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। আমার কোমরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছি; কোনভাবে দাড়াতেই পাড়ছিলাম না। মনে হচ্ছে রিক্তার কস্টের সবটুকু আমাকে দিয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে আকাশের তারা হয়ে। ঘন্টাখানেক পরে জানতে পারলাম রিক্তা সত্যিই নেই। এরই পর পর পুলিশ, র্যা ব, সাংবাদিক ....কতো কি! কিন্তু কেউ বলতে পারছেনা এটা কি ছিলো? আত্মহত্যা না হত্যা? আত্মহত্যা হলে স্বামী ক্যানো এলাকাবাসি কিংবা প্রতিবেশীদের কাছে না বলে অথবা মিথ্যা বলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো? হত্যা হলে এর বিচার কি পাবে রিক্তার পরিবার?শুনেছি রিক্তার পরিবার বেশ গরীব। অন্যদিকে পান্নার পরিবার বেশ স্বচ্ছল। একবোন সিআইডির এ.এস.পি. । শুনেছি তারপরো পান্নাকে পুলিশ আটক করে রিমান্ড চেয়েছে। জানিনা কতটুকু তারা করতে পারবে, তবে আমার সারাজীবন এ অপমৃত্যুর কস্ট মনে থাকবে। রিক্তা যদি ন্যায়বিচার পায় তবেই আমার কস্ট দুর হতে পারে। আমরা কি এতটা অসহায় যে রিক্তার মত মেয়েদের অকালে নক্ষত্র হযে যায়া রোধ করতে পারিনা? আমাদের কি কিছুই করার নেই?
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন