বাংলাদেশের ১ নম্বর ভার্সিটি থেকে পাশ করে বাংলাদেশের ১ নম্বর স্টিল কোম্পানিতে প্রায় ১ লাখ টাকা বেতনে চাকরি করা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, নিজের স্ত্রীর লেবার পেইনের দিনে, চাকরি থেকে ছুটি না পাওয়ার ক্ষোভে, বহুদিন ধরে- চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের ব্যবসা করা বা বিদেশ চলে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন।
কাতারে (সব গালফ কান্ট্রিতেও) সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিক ও ভুয়া পরিচয়ে যাওয়া অশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত, অদক্ষ বাংলাদেশীদের মধ্যে, মুষ্টিমেয় দক্ষ, সুশিক্ষিত ও মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার বা ভালো চাকরিজীবি বাংলাদেশীদের ভিসা হয় "টেকনিশিয়ান" বা "লেবার" ক্যাটাগরিতে। ইন্ডিয়ান বা পাকিস্তানিদের যেখানে টাকা, সুবিধা ও ছুটির পাশাপাশি সম্মানও দেওয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশীরা ভৃত্যের মর্যাদাও পায় না।
এই যে দেশে-বিদেশে, বাংলাদেশীদের সাথে বাংলাদেশীরা বা বিদেশীরা, বিনা দোষে বা পূর্বসুরীদের দোষে (জাপানে নকল করোনা সার্টিফিকেট দিয়ে যাওয়া, কিংবা কাতারে জুয়া খেলার সময় বাংলাদেশীর হাতে নেপালী খুন হওয়া), বছরের পর বছর যেসব বৈষম্যবাদী আচরণ হয়ে আসছে, সেগুলির জন্য আমরা কখন সোচ্চার ও সচেতন হতে পারবো? নাকি, আজীবনই অন্যদের সমস্যা ও সংকট নিয়েই প্যাঁচাল পেরে যাবো আমরা?
আমার জানা, অগণিত উদাহরণের স্রেফ দুইটা উদাহরণ দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০০