somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিক্ষা নয়, স্বনির্ভর হতে সাহায্য করুন

০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের সামগ্রিক ও চিরায়ত প্রেক্ষাপটে দানদাক্ষিণ্যের একটা বড় গলদ কোথায় জানেন?
- যাদের সাহায্য দরকার, মূলত তারা সাহায্যটা, সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমাণে (not necessarily abundant!) পায় না।
- ত্রাণ বা সাহায্য পাওয়ার জন্য অনেকে সুপারিশ করতে হয়, ক্ষমতাবানদের পদলেহন করতে হয়, চারিত্রিক integrity বিসর্জন দিতে হয়।
- অনেকে সাহায্যনির্ভর জীবনযাপন করে, অলস হয়ে যায়। আমার নিজের অগণিতবার দেখা- অমুককে তমুক উপলক্ষে কিছু একটা দেওয়া হলো, ঐদিনই সে বা তারা ঐ জিনিসগুলো বিক্রি করে দিয়ে খালাস!

আমার ব্যক্তিগত মতামত- যেটা আমি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও অনেক এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকদের বলে/জানিয়ে এসেছি- Charity for the sake of charity should be stopped!
শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করা- এগুলোই হচ্ছে আসল করণীয়।

ধরেন কথার কথা, মহামারির এরকম খারাপ সময়ে, শহরের কোন এক হতদরিদ্র পরিবারকে কিছু দান করার কথা ভাবছেন। যখন তারা ট্র্যাডিশনাল মেহনতি কাজে যাওয়ার সুযোগ কম পাবে, daily wage earning করতে পারবে না একদমই। তখন তাদের মূল প্রয়োজন দুইটাঃ-
১) মাথা গোঁজার ঠাই
২) দুইবেলা খাবার

এখন শর্টটার্ম সল্যুশন হিসেবে কি করা যায়ঃ এই মানুষগুলার আবাসস্থলের ভাড়া সাময়িকভাবে মওকুফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, যাতে অন্তত সংকটের দিনগুলোতে তাদেরকে ঘর ভাড়া দিতে না হয়।
আর, লংটার্ম সল্যুশন হতে পারেঃ- এরকম ফ্যামিলিকে কোনভাবে নিজের ঘরের পাশে/নিচে- কেয়ারটেকার হিসেবে বা অন্য কোন উছিলায় থাকতে দেওয়া। কোথাও সামান্য জায়গা লিজ দিয়ে থাকতে দেওয়া। ঘর বাঁধার জরুরি উপকরণ ত্রাণ হিসেবে দেওয়া, যেমনঃ স্যানিটারি ল্যাট্রিন।

আবাসস্থলের মত খাবারদাবারের ক্ষেত্রেও লংটার্ম ও শর্টটার্ম উপায় আছে।

আর, সবচেয়ে বড় কথা- এরকম মানুষগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন, সম্মানজনক, "মানুষের মত" বেঁচে থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করা। যেটা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগই নিজেদের ক্ষেত্রেও লালন করে না।
শুধু অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে টাকা আয় করে, হাভাতের মত খেয়ে, ইতর প্রাণীর মত সন্তানজন্ম দিয়ে যাওয়াকেই "জীবন" হিসেবে ধরে নিয়েছে এই দেশের লোকেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৩৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×