বাঙ্গালিকে আসলে কে বই পড়তে শিখাইসে? হুমায়ুন আহমেদ মারা যাবার পর অনেককেই আবেগের সাথে বলতে শুনা গেছে যে বাঙ্গালিকে বই পড়তে শিখাইসে এই মহান পুরুষ। কিন্তু কথাটার সাথে একেবারেই একমত হতে পারলাম না। হুমায়ুন আহমেদের বই সবসময় অনেক বেশী দামি ছিল। যখন ছোট ছিলাম তখন টিফিনের পয়সা জমিয়ে আমি কোনদিন হুমায়ুন আহমেদের বই কিনতে পারি নাই। যদি এই ক্ষেত্রে কারও অবদানের কথা বলতে হয় তাহলে নিঃসন্দেহে প্রথমে নাম আসবে আমাদের সবার প্রিয় কাজি আনোয়ার হোসেনের। এই প্রচার বিমুখ মানুষটার কারনেই আমি বই পড়া শিখেছিলাম। আমার এখনও মনে আছে, ক্লাস ওয়ানে থাকা অবস্থায় যখন আমি অল্প অল্প বানান করে পরতে পারি তখন আমার হাতে আসে সেবা প্রকাশনির রবিন্সন ক্রুস। বইটা হাতে পাবার পর কি যে একটা দুনিয়া আমার সামনে উম্মুক্ত হয়ে গেল তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। বইটা শেষ করতে মনে হয় আমার ৬-৭ মাস সময় লাগসিল। সেই যে শুরু হল তারপরের বই পরা আর থেমে থাকে নাই। বিশ্ব সাহিত্যের অসাধারন সব বই গুলা সেবা প্রকাশনির কল্লানেই আমাদের পরা হয়েছে।
হুমায়ুন আহমেদ অসাধারন একজন লেখক ছিলেন। আর একটা হুমায়ুন আহমেদ হয়ত আমরা আগামি ১০০ বছরেও পাব না। কিন্তু একটা বই লিখে সর্বচ্চ লাভ করার দিকেই উনার মনযোগ ছিল সবচাইতে বেশি। কিভাবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার বই পৌছাতে পারে সে বেপারে উনার কোন ভুমিকা আমি কখনই দেখি নাই।