গড়াই গাজীর ছড়া।
১১৯৩.
বাধা ছিলো ইঁটে
গড়াই গাজীর ভিটে
চিহ্ন কোথাও নাই
খোঁজ করতে যাই।
১১৯৪.
গড়াই গাজীর দূর্গ
থাকতো এক বুজুর্গ
সোনাউল্লাহ গাজী
ছিলেন কামেল, হাজী।
১১৯৫.
বিরাট বাজার সঙ্গে
গাজী নামে জঙ্গে
রাজার বুকে তীর
গাজী রণবীর।
১১৯৬.
রাজাপুরের রাজা
পেলেন কঠিন সাজা
সাঁচলেপুরের কুন্ডু
দেয় পুড়িয়ে মুন্ডু।
১১৯৭.
চৌগাছী যে চার গাজী
উচচারণের কারসাজি
চার গাজীর বাস যেখানে
গ্রাম গড়েছে সেখানে।
১১৯৮.
গৌরি হলো গড়াই
নামে বহু বড়াই
গড়াই গাজীর নাম
বইছে অবিরাম।
১১৯৯.
আগে ছিলো বন থাকার
সোনাতুনদী সোনা খাঁর
দ্বীপে গ্রাম হয়
লোকমুখে রয়।
১২০০.
গড়াই নদীর পাড়
শ্রীপুরের দ্বার
গ্রাম, গঞ্জ জুড়ে
খর্দ দ্বাঁরেপুরে।
১২০১.
ইতিহাসের দ্বারিয়াপুর
কামেল পীরে ভরপুর
ছিলো গাজী সাতকড়ি
দান করতো হাত ভরি।
১২০২.
হাতির পায়ে নূপুর
নাচে সারা দুপুর
দেখায় নানা খেলা
মাঠে বসে মেলা।
১২০৩.
অতিচেনা রা¯তা
ভুল্লো শেয়াল আজ তা
গর্তে গিয়ে পড়ে
পথ হারিয়ে মরে।
১২০৪.
গরু ডাকে হাম্বা
নাচ শিখেছে থাম্বা
নাড়ায় আরো লেজ
বেড়েছে তার তেঁজ।
১২০৫.
গোলাপ গাছে কাটা
সারা গায়ে আটা
ফুলে সুবাস রয়
মনটা তাজা হয়।
১২০৬.
পাঠে বসাও মন
ধন্য হয় জীবন
পড়াশুনায় রও
সুখী মানুষ হও।
১২০৭.
রিমি ঝিমি চুড়ি
বাজায় নানি বুড়ি
রয়না থালে হাত
হাড়ি ভরা ভাত।
১২০৮.
ধানের েেত চাষী
মুখে মধুর হাসি
ধানের ছড়া পুরু
নতুন জীবন শুরু।
১২০৯.
মাঝ নদীতে ঢেউ
ঝাঁপ দিওনা কেউ
ঢেউয়ের ঝিঁড়ি গতি
করেনা সে তি।
১২১০.
হাøহেনা ফুটেছে
সৌরভ তার ছুটেছে
চাঁদনী মেয়ে হাসে
ফুল পরীদের পাশে।
১২১১.
গান ধরেছে বুলবুলি
খুকু বাধে চুলগুলি
বউ দিয়েছে ঘোমটা
পুষি পোহায় ওমটা।
১২১২.
দোয়েল ডাকা ভোরে
ও চাষী ভাই ওরে
যাচেছ কোথায় ছুটে
ভোর সকালে ওঠে।
১২১৩.
নগর বাসির গাড়ী
করে বাড়াবাড়ি
শব্দ করে হর্ণে
চাপ পড়েছে কর্ণে।
১২১৪.
ইটের ভারয় ধোয়া
মরন বিষের ছোঁয়া
মটর গাড়ীর বিষ
কালো শ্বাসের সিষ।
১২১৫.
পথ চলতে সুট
চলিনা চটপট
ধাক্কা লাগায় সরি
কি আর কেমন করি।
১২১৬.
জসীমউদ্দীন পল্লীকবি
তার কবিতায় গায়ের ছবি
রাখাল ভায়ের কথা
জড়িয়ে আলোক লতা।
১২১৭.
মটর শুটির ডগাটা
বিলে কানি বগাটা
শাপলা ফুলের কুঁড়ি
দেখে উড়াই ঘুড়ি।
১২১৮.
ইতি আমার ইতি
চুলে কাটে সিঁথি
মুখ করে ওই গোমরা
যায় পালিয়ে ভোমরা।
১২১৯.
গড়াই টিবির মাটি
ছিলো গাজীর ঘাটি
গড়াই গাজী লড়ে
বিরাট রাজা মরে।
১২২০.
নল খাগড়ার নলখোলা
কানাকুয়া দেয় দোলা
চৌগাছীর ঐ খাল
জেলে ফেলে জাল।
১২২১.
সাত সমুদ্দুর পাড়ে
যাবো আবিস্কারে
ঐ আকাশে যাবো
ল তারা পাবো।
১২২২.
উঠোন ভরা ধান
চাষীর মুখে গান
নোলক পড়ে বধূ
ফুলে ফুলে মধু।
১২২৩.
প্রজাপতি হাসে
শিশির ভেজা ঘাসে
সুর্য ছড়ায় আলো
দূর হয়েছে কালো।
১২২৪.
নদী ভরা মাছে
মাছরাঙা তাই নাচে
যেই ধরেছে পুঁটি
করে ছুটাছুটি।
১২২৫.
ওই যে দেখো বাঘ
তার মনে খুব রাগ
হালুম হুলুম করে
রেগে ফেটে পড়ে।
১২২৬.
ঝড়ের হাসি কড়কড়
গাছ গাছালি মড়মড়
মেঘের হাসি মিষ্টি
দেয় ছড়িয়ে বিষ্টি।
১২২৭.
বাও কুড়ানি ঘুরছে
শুকনো পাতা উড়ছে
চৈতি পুড়ায় গা
যায়না পাতা পা।
১২২৮.
কেন রে ভার মুখটা
টান করে নাও বুকটা
যেতে হবে দূরে
রকেট নিয়ে উড়ে।
১২২৯.
সূর্য যখন ওঠে
ফুলের কুঁড়ি ফোটে
সূর্য যখন লাল
চাষী ধরে হাল।
১২৩০.
সন্ধা নামে পাটে
পারাপারের ঘাটে
আলো নিভে গেলো
আঁধার নেমে এলো।
১২৩১.
উড়ে চলে জেট
শব্দে ভরা পেট
ওঠে মাটি কেঁপে
জেট ছুটেছে েেপ।
১২৩২.
শীতে পালায় সাপ
শরীরে চায় তাপ
গর্তে ঢুকে থাকে
ধুলো বালি মাখে।
১২৩৩.
মামা আমার মামা
দেয় পরিযে জামা
মুখে মধুর হাসি
তাকে ভালবাসি।
১২৩৪.
পৃথিবীটা ঘুরবো
ঐ আকাশে উড়বো
হাওয়ায় ভেসে ভেসে
যাবো চাঁদের দেশে।
১২৩৫.
খুকুর মনে রাগ ভারি
নেয়নি সাথে বাগবাড়ি
বাগবাড়িতে যাদু
থাকে কমল দাদু।
১২৩৬.
সেই আমাদের গায়ে
বসি হিজল ছায়ে
বাজে পায়ে নূপুর
মুখর সারা দুপুর।
১২৩৭.
আয়রে কমল বাড়ি
দেবোনা আর আড়ি
সবটা এলোমেলো
কমল কোথায় গেলো।
১২৩৮.
কেটে গেছে ভয়
দখিন হাওয়া বয়
ঝড়ো হাওয়া সরে
ধানের ছড়া নড়ে।
১২৩৯.
আব্বু বলেন পড়ো
মহৎ জীবন গড়ো
মা বলেছেন লেখো
পৃথিবীটা দেখো।
১২৪০.
যাচেছ উড়ে পায়রা
দাঁড়িয়ে দেখে সায়রা
তেপাšতরে যাবে
খেলার সাথী পাবে।
১২৪১.
শব্দ যখন বাড়ে
পাখির কূজন কাড়ে
বায়ূ দূষন ছড়ায়
মানুষ মরে জরায়।
১২৪২.
কুকুর ডাকে ঘেউ
শোর করোনা কেউ
চোর ঢুকেছে ঠিক
খোঁজো চারিদিক।
১২৪৩.
হাতে কেন ময়লা
কেনই বা রয় কয়লা
নোংরা হাতে রোগ
বাড়ায় যে দূর্ভোগ।
১২৪৪.
ফাগুন এসেছে
চাঁদনী হেসেছে
কোকিল ডাকে ওই
হাসি খুশী রই।
১২৪৫.
চড়ূই ভাতির রান্না
বাবুই পাখি খাননা
চড়ূই বলে শোন্রে শোন
চড়ূই ভাতি বনভোজন।
১২৪৬.
তালের পাতার পাখা
তাতে ছবি আঁকা
কে এঁকেছে ছবি
ছোট মেয়ে ববি।
১২৪৭.
কুকুর করে ঘেউ
ভয় পেয়ো না কেউ
কুকুর ধরে চোর
করোনা কেউ শোর।
১২৪৮.
খুকু ঘুমায় কেঁদে
ম¯ত আড়ি বেঁধে
খায়নি মোটে ভাত
কাটে সারারাত।
১২৪৯.
ঝুমঝুমি না ঝুনঝুনি
বাজায় বসে টুনটুনি
দোয়েল, ফিঙে দোলে
সবুজ বনের কোলে।
১২৫০.
হাট্টিমাটিম, হটটিটি
বাগেরহাটে দেয় চিঠি
রূপসা ঘাটে খেয়া
যায়না বেয়ে নেয়া।
১২৫১.
প্রজাপতি ধিং ধিং
যেন বড় কিংটিং
ফড়িং বসে কাছে
টুনটুনিটাও নাচে।
১২৫২.
লাউ ও সিমের জাংলা
সাজিয়ে তোলে বাংলা
শাপলা শালুক বিল
করে যে ঝিলমিল।
১২৫৩.
নদীর স্রোত বয় কি
গাঙ চিলেরা রয়কি
উজান ভাটার নাও
দেখতে কি আর পাও।
১২৫৪.
ধান ভানতে ঢেঁকি
কেউ কি এখন দেখি
কল এসেছে তাই
কোথাও ঢেঁকি নাই।
১২৫৫.
পুষি খাবে ভূষি
যত পারে খুশি
পৌষে খাবে পিঠা
ধানে বড় চিটা।
১২৫৬.
পেয়েছে সে শিা
আর করেনা ভিা
ভিা করা মন্দ
তাই করেছে বন্ধ।
১২৫৭.
পুতুল বিয়ের দিনে
এনো কিছু কিনে
আনবে সাথে গয়না
ফুল পরীদের ময়না।
১২৫৮.
ধানের েেত বেন্না
কেউ নিড়ানি দেন না
বেড়ে ওঠে ঝাঁড়
ধারে না কেউ ধার।
১২৫৯.
তাকে বলে তেক খেলা
ব’সে খেলে এক্কেলা
খেজুর বিঁচির গুঁটি
ভরে রাখি মুঠি।
১২৬০.
কেউকি আগে জানতো
নদী হবে শাšত
পাড়ের মানুষ সরে যাবে
ছিন্নমূলে খাবি খাবে
আর কখনো শুনবেনা সে
ভাটিয়ালী গানতো।
১২৬১.
নদী ভরে চরে
গাঙচিলেরা সরে
তারা হারায় খেই
উজান ভাঁটা নেই।
১২৬২.
কেউ ক’রোনা হল্লা
বেতস বনে বল্লা
বল্লায় ফোঁটায় হুঁল
বাধায় হুলুস্থুল।
১২৬৩.
রেল ছুটেছে রেল
বাজিয়ে হুইসেল
চিটাগাঙে যায়
রেলে চড়ি আয়।
১২৬৪.
নলেন রসের পাটালি
খেতে পথে হাটালি
মচমচে ঐ মুড়ি
ভাঁজে নানী বুড়ি।
১২৬৫.
আয়রে খোকা খুকুরে
সাঁতার কাটি পুকুরে
এপার ওপার করি
ডাহুক ছানা ধরি।
১২৬৬.
দ্বারিয়াপুরের হাট
হানু নদীর ঘাট
পীর তোয়াজের বাড়ি
ভুলতে কি আর পারি।
১২৬৭.
কমল কোথায় গেলো
সব যে এলো মোলো
আয়রে কমল বাড়ি
আর দেবোনা আড়ি।
১২৬৮.
কেন যে ভার মুখটা
টান করে নাও বুকটা
যেতে হবে দূরে
রকেট নিয়ে উড়ে।
১২৬৯.
মায়ের হাসি
ভালোবাসি
মা যে আমার নেই
শাšতনা কি দেই।
১২৭০.
বাও বুড়ানি মা লো
মেঘের পানি ঢালো
চৈতি খরা খাঁ খাঁ
আগুন দিয়ে মা খা।
বাও-কুড়ানি বাও রে
কোথায় ছুটে যাওরে
ধুলো কেন উড়াও
শুকনো পাতা ঘুরাও।
বাও কুড়ানি দাঁড়াও
ঘুর্নী তোমার ছাড়াও।
১২৭১.
শীতে কাঁপে বাঘ
রয়না মোটে রাগ
পালিয়ে রয় বনে
হিংস্রতা নেই মনে।
১২৭২.
সূর্য যখন ওঠে
ফুলের কুঁড়ি ফোটে
সূর্য যখন লাল
চাষী ধরে হাল।
১২৭৩.
সন্ধ্যা নামে পাটে
পারাপারের ঘাটে
আলো নিভে গেলো
আঁধার নেমে এলো।
১২৭৪.
মায়ের মতই মামা
দেন পরিয়ে জামা
মুখে মধুর হাসি
তাকে ভালবাসি।
১২৭৫.
শীতে পালায় সাপ
চায় সে গরম তাপ
গর্তে ঢুকে থাকে
ধুলো বালি মাখে।
১২৭৬.
খুকুর মনে রাগ ভারি
নেয়নি তাকে বাগবাড়ি
কমল দাদুর গাঁয়ে
পড়বে নুপুর পায়ে।
১২৭৭.
হলে অবরুদ্ধ
কমল চালায় যুদ্ধ
যুদ্ধ চলে দীর্ঘ
কমল তাতে বীর গো।
১২৭৮.
কমল দাদুর গাঁ য়ে
পড়বো নূপুর পা য়ে
নাচবো তাধিন তাধিন
আমরা সবাই স্বাধীন।
১২৭৯.
হাঁড়িতে ভাত যেটুক
খেয়েছে ঐ পেটুক
ইয়া মোটা ভূঁড়ি
খেতে করে চুরি।
১২৮০.
সবাই ােভে জ্বলে যে
মিছিল নিয়ে চলে যে
আন্দোলনের শপথ নিতে
যায় জগন্নাথ কলেজে।
১২৮১.
ফুটফুটে সুন্দর মুখ
মন জুড়ে রয় তার সুখ
হৈ চৈ রৈ রৈ করে
কবিতার বই বসে পড়ে।
সেই মেয়ে সকলের প্রিয়
একেবারে ধীর নিরীহ
প্রতিদিন স্কুলে যায়
কারা যেন ছোটে পায় পায়
মেয়েটিকে ডাকে ইশারায়
টিজ করে নানা কায়দায়।
মেয়েটির সাহসও দারুন
গালি দিয়ে বলে ফেরাউন
নমরুদ ডাকু বদমাশ
তোর গলায় পরাবোই ফাঁস।
েেপ যায় বদমাশ দল
নিদারুন তার ফলাফল।
এসিডে ভরে দেয় মুখ
মেয়েটির রয় না যে সুখ !
কতিপয় অমানুষ ছেলে
মৃত্যুর দিকে দেয় ঠেলে
এ নিয়ে আতংক ছড়ায়
নিরাপদ জীবনকে নড়ায়
প্রতিকার হয় না তো মোটে
বিচারে হয়রানি জোটে।
ভাবেনি তা হবে সম্ভব
একদিন ধরা পড়ে সব
তারপর কোর্টে যায় কেস
দ্রুত ঐ আদালতে পেশ
আসামীর ফাঁসি হলো রায়
মেয়েটার দিন চলে যায়
নেই সেই সুন্দর মুখ
রায় শুনে তবু পায় সুখ।
১২৮২.
চলো নদীর ঘাটে
মটর শুঁটির মাঠে
সর্ষে ফুলের মেলায়
প্রজাপতির খেলায়।