somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেমের হাজার ছড়া/আবু সালহে

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেমের হাজার ছড়া।

১২১.
এমন শণ্যতা নিয়ে কি ভাবে বাঁচি
এসো গো নিকটে আমার অতি কাছাকাছি
হৃদয়ের দরোজা আমার রয়েছে খোলা
অনাবিল শাšি তখন দেবে যে দোলা।

শণ্যতা পরণ হবে ফুটবে হাসি
তখনই বুঝবে তুমি কত ভালবাসি
সত্বর কাছে এসে জুড়াও এ’বুক
তোমার মাঝেই রয় আমার যে সুখ।

১২২.
একদিন হারিয়ে যাবো তোমার থেকে
এইসব ফুল নদী সব ফেলে রেখে
কোথাও পাবেনা খুঁজে এ’দর্বা ঘাসে
বইবেনা বাতাস সেদিন ফুলের সুবাসে।

হবে কি পাগল প্রায় আমার খোঁজে
নাকি মাত্বে কোন নৈশ ভোঁজে
কি ইচেছ জাগে তোমার ক’রো তা, বলি
কেননা উভয়ে তখন দু’পথে চলি।

১২৩.
দুপুরটা অলস যেন রোদের তাপে
তোমাকে পাওয়ার তাগিদ হৃদয়ে চাপে
তুমিতো আসবে না জানি ঠিকানা ছাড়া
কোথায় খুঁজবে আমায় ঘুরে গ্রাম, পাড়া।

দুপুরটা হেলবে কখন পশ্চিমের গাঁয়
নামবে সন্ধা ঐ হিজলের ছায়
অপোয় কাটিয়ে দেই ভীষণ জ্বালায়
ধারালো ছুঁরি যে কে হৃদয়ে চালায়।


১২৪.
ভালবাসলেই যে যšণা বাড়ে
শাšি ও সুখ আহা অযথাই ফাড়ে
বলতে পারিনা তা’গুছিয়ে মুখে
গোপন বেদনা পুষি কেবলি বুকে।


১২৫.
স্বপ্ন দেখলাম তুমি রয়েছো ঘুমিয়ে
সারা রাত ধ’রে অচেনা কে চুমিয়ে
আমি ডাকছি দিচেছানা তবু সাড়া
দরোজাই গিয়ে দেই জোড়ে কড়া নাড়া
নেই শব্দ, কে আগন্তুক জানলে না তুমি,
চোখের পাতায় তোমার কেবল ঘুমই।


১২৬.
হঠাৎ দেখি তোমার পরনে শাড়ি
কোথাও যাচেছা হেটে তাড়াতাড়ি
দরত্ব যে অনেক বেশী ছিল
ডাকবো যখন সবাই বাধা ছিল।


১২৭.
আমার মত তোমারও বুঝি
বুক করে খাঁ খাঁ
টেডি দাহের মতই বুঝি
নিঃসঙ্গতা মাখা
ঝরায় না মেঘ বৃষ্টি
থমকে থাকে দৃষ্টি
এ’সময়ে যায় কি বলো
তোমাকে আর ডাকা।


১২৮.
ভালবাসা যদি বিকায় পণ্য হয়ে
নষ্ট ভ্রষ্ট উশৃংখলায় গণ্য হয়ে
তা’হলে বলবো হলোনা তোমার কিছু
অযথা আর ঘুরোনা আমার পিছ।

১২৯.
একদিন সকালে
আমাকে যে বৈকালে
বলেছিলে থাকবে
খুব কাছে ডাকবে
গিয়ে শুনি, বিয়ে তোমার
হয়ে গেছে অকালে।

১৩০.
জানালা খুলে চেয়ে থাকি ঐ পথে
হয়তো আসছো দেখতে ভাল মতে
এলেনা শেষে
কোন্ বিদ্বেষে
হয়তো হয়েছে কোথাও তোমার কেল্লা ফতে।

১৩১.
কেন যে এতো ভালবাসা বাসি
কেনই বা চলে এতো হাসাহাসি
বুঝিনা কিছু মোটে
কাঁপন ধরে যে ঠোটে।

১৩২.
যাকে দেখি তাকেই বলি
তোমাকেই ভালবাসি
তুমি ছাড়া যে জীবনে আমার
ফোটেনা কোন হাসি।
অথচ কেউ দিলনা সাড়া হায়
এ ভাবেই আমার সময় যে বয়ে যায়।

১৩৩.
তখনও বুঝিনি ভালবাসা কি
এখনও বুঝিনি তা
আগের মতই রই তাকিয়ে
মুখটা করে যে হা।
কেউ বললো আহম্মক বটে
কেউ বললো না
কেউ বললো রজকিনীর
দেখেছে হাত-পা।

১৩৪.
যাচিছ সিলেটে-ট্রেনে
স্বপ্ন ঘুরছে ট্রেনে
যদি পেয়ে যাই তাকে
ভালবেসেছি যাকে
কে যেন বললো
মাথার ওসব ঝেড়ে নে।

১৩৫.
মেয়েটির ঠোঁক যেন মাখনে ঠাঁসা
সে কারণে তাকেই যে ভালবাসা।
পায়ের গোড়ালী, হাতের আঙ্গুলগুলো
সবই নরম, মসৃণ তুলো তুলো
তাকে পেতেই আমার স্বপ্ন-আশা।


১৩৬.
প্রেম আছে বলেই পৃথিবীর প্রাণ আছে
বনানীর সবুজ আর ফুলেদের ঘ্রাণ আছে
আছে হাসি
সুরের বাঁশী
বিপদে-আনন্দে তাইযে পরিত্রাণ আছে।

১৩৭.
তোমাকে পাবো কি এই নির্জন রাতে
মালা পরাবার সুযোগ নিজ হাতে
সংশয় থেকে যায়
বাধা যে পায় পায়
সুযোগ কি হবে বসার এক সাথে।

১৩৮.
তুমি বলেছো চিঠি দিতে
যেতে বলেছো মাঘের শীতে
কেন বলেছো জানা আছে
যেতে যে আমার মানা আছে।

১৩৯.
নোলক যখন ওঠে দুলে
যাওকি তখন সবই ভুলে
আমারয় মনে পড়ে
স্মৃতি বুঝি নড়ে ?

১৪০.
তুমি লিখেছো আমার একটি বুক চাই
এই শণ্যতায় একটু খানি সুখ চাই
সময় যাচেছ ব’য়ে
চৈতি দাহ স’য়ে
এই সময়ে ঠোঁটে তোমার মুখ চাই।

১৪১.
হিজল তলার ফিংগে
এলো পুকুর ডিংগে
বললো এসে
ভালবেসে
এনেছি ফুল, ঝিংগে।



১৪২.
একা একা যায়না থাকা
বন্ধু তুমি কই
এসো কাছে চুপি চুপি
এসো অবশ্যই।
কথা আছে মেলা
যাচেছ কেটে বেলা
আমরা কেন পর¯পরে
দরে দরে রই ?

১৪৩.
শাড়ীর আঁচল লাল পেড়ে
তাই মেজাজের ঝলি ঝেড়ে
মুখ ফিরিয়ে নিলে
কি আর তবে দিলে ?

১৪৪.
উথাল পাথাল চেউ লেগেছে মনে
কি উচছাস দেখো প্রতিণে
এই সময়ে তুমি যে রও দরে
কোন্ আকাশে বেড়াও উড়ে উড়ে।


১৪৫.
হঠাৎ এসে চমকে দিলে
অবাক করা চিত্র
হাত বাড়িয়ে বললে আরও
আমি তোমার মিত্র।
শত্রু তুমি মিত্র হলে
এ যে দারুন পাওয়া
এ মহুর্তে ভালবাসার
হোক না রে গান গাওয়া।

১৪৬.
বাতাস বলে সেও নাকি চায় ভালবাসা
ধানের খেতে তাই করে সে যাওয়া আসা
চাষীর সাথে গলাগলি ধরতে চায়
চাষী বলে দাড়িয়ে আছি, কাছে আয়।

১৪৭.
যে জীবনে ভালবাসা নেই
সে যে শুধু হারিয়ে ফেলে যেই।
ভাল্লাগেনা বলে বলে বেড়ায়
পথ না পেয়ে ঢোকে বাঘের ডেরায়।

১৪৮.
নেই কেন রে ভালবাসার পাঠ
শহর গাঁয়ে এ বিষয়ের হাট
শণ্য কেন বড় দোকান পাট
নেই কেন রে স্বপ্ন রঙীন মাঠ।

১৪৯.
দেশের মাটি ভালবাসার শক্তি
সারা জীবন তাই করে যাই ভক্তি
মাটির প্রেমে অ¯ ধারণ করি
ভালবাসার নতুন জগৎ গড়ি।

১৫০.
কবিতাই তো ভালবাসার বাহন
তাকে ছেড়ে কেনরে সাত কাহন
প্রতিপদে রয়েছে যে সধা
দেয় মিটিয়ে অতৃপ্ত ুধা।


১৫১.
বৃ প্রেমে জড়িয়ে পড়ো যদি
শাšি তুমি পাবে নিরবধি
শীতল ছায়ায় মন জুড়িয়ে দেবে
হল্দে পাখি কাছে চেনে নেবে।

১৫২.
মানুষ কেন প্রেমে পড়ে পাগল হয়
কখনও বা উন্নাসিকও ছাগল হয়
এই দৃশ্য নয় কাম্য মোটে
তার কপালে দুঃখই কেবল জোটে।

১৫৩.
ভালবাসতে উজাড় হলাম
তাও পেলাম না তাকে
দিন রাত্তির ব’সে ভাবি
ভালবাসি যাকে।
সে বলেছে না
দরে স’রে যা
তা’না হলে পড়বি দর্বিপাকে।

১৫৪.
এই শহরে এক শ্রেণীর লোক আছে
তাদের মনে ভালবাসার ঝোক আছে
ভালবাসা খোঁজে
দিন ও রাতেও যে
লোকে বলে ধ্যৎতুরি ছাই মনে তাদের পোক আছে।

১৫৫.
যে মেয়েকে ভালবাসে কাছে চায়
মেয়ে বলে দেয়না জুতো আছে পায়
কি ভয়ংকর মেয়েরে সে রয় চেয়ে
কাছে গেলেই ঐ দেখোনা আসে ধেয়ে।

১৫৬.
প’ড়ে গেছি পাঁকে
বাসবো ভালো কাকে
ভাবি তরে ওকে
মন্দ বলে লোকে।



১৫৭.
কেমন কেমন করে যদি মন
তবে বলি ওরে বাছাধন
ফুটিয়ে যে ফুল
এই সময়ে ক’রো না হে ভুল।
নাও সৌরভ আগে
জোছনা যদি জাগে
ধীরে ধীরে যাও এগিয়ে না হয়ে ব্যাকুল।

১৫৮.
ফোনে বলি, চিঠি লেখি
দেয়না জবাব হায়,
কোই গেল বহু বছর
তবু অপোয়।
আর কতকাল কাটবে এমন
বুঝা বড় দায়
ওগো মেয়ে কাছে এসো
নির্জনে পায় পায়।

১৫৯.
প্রেম মানে অস্থিরতা
দারুন জ্বালাতন
কেন জেনে একথাটি
খোলা রাখি মন।
নিঃসঙ্গতা? শন্যতা
মনের কোনো ুন্নতা?
ভেবে ভেবে অযথা যে
কাটাও সারাণ।

১৬০.
মেয়ের সাথে প্রেমের যোগ
এমনটাতে রয় দর্ভোগ
প্রথম বেলায় হাসি
পরে সর্বনাসী।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×