somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোমার ছড়া ব্যোম ব্যোম আবু সালেহ

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বোমার ছড়া ব্যোম ব্যোম
আবু সালেহ

০১.
বোমা নিয়ে আলোড়িত দেশ
কোথায় যে এর পরিনতি, শেষ
নানা নামের জংগী সংগঠন
হুলুসথুলু বাধায় সারাণ
না নামাজ না রোজায় থাকে তারা
আজগুবি এই সংগী বলুন কারা
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে
বিধর্মীরা হেসে হেসে মরে।

০২.
বোমা ফাটে বায়তুল মোকাররমে
প্রাঙ্গনে রক্ত ঝরে, জমে
আশি সালের তেইশে মে’র কথা
ঝাঁকি খেলো দেশের স্বাধীনতা
মারলো যারা চিহ্নিত কই হয়
সাহস পাওয়ায় বোমা দেশময়
সেদিন যদি ধরতো বোমাবাজ
দর্ঘটনা আর ঘটতো না-রে আজ
থামিয়ে দেওয়ায় অনুসন্ধান হায়
বোমাবাজী সর্বত্র ছায়।

০৩.
বোমা শুরু ব্রিটিশ শাসনকালে
তারাই বোমার বিশেষজ্ঞ পালে
স্বদেশী সেই আন্দোলনে দেখি
বোমা নিয়ে হতো লেখালেখি।
যুগাšর ও অনুশীলন দল
বোমা নিয়েই যুগিয়েছে বল
সে সব বোমার উৎস যদি খোঁজো
রাম রাজত্বের রাজনীতিটা বোঝো।

০৪.
বোমা যখন হিরোশিমা জ্বালায়
মানবতা ছাই হয়ে যে পালায়
নাগাশিকো বিলীন হয়ে গেল
বিশ্ববাসী শাšি কোথায় পেলো।
সে কাহিনী আজও হৃদয় কাঁপায়
সাম্রাজ্যবাদ খুশিতে যে লাফায়।







০৫.
বোমার আছে নানা রকম নাম
ষাট দশকে ঐ নাম করে নাপাম
তার বিরুদ্ধে হয়েছে সংগ্রাম
তবু বোমা ফুটছে অবিরাম
পৃষ্ঠপোষক সাম্রাজ্যবাদ ওরা
নেটওয়ার্ক তার বিশ্বব্যাপী জোড়া।
বর্তমানে কাবুল কান্দাহারে
ফুটছে বোমা দেখো বারে বারে
ইরাকে যাও বোমার বিস্ফোরন
সাম্রাজ্যবাদ ফাটায় সারাণ
প্রতিরোধে প্রতিপও ছোঁড়ে
বোমার ভয়ে বিশ্ববাসি ওরে
ভীত হয়ে বের হয়না আর
সভ্যতা ঐ হচেছ যে ছারখার !

০৬.
বোমা এখন পাতাল রেলে
আদালতে হাজত জেলে
‘কী পয়েন্টে’ হচেছ ছোঁড়া রোজ
বোমাই যেন মহামুত্যু ভোজ
হোটেলে যাও সেখানেও এই রূপ
ভয়ে ভয়ে সবাই থাকে চুপ
বোমার সাথে যোগসত্র যাদের
কোনদিনই যায়না ধরা তাদের।

০৭.
বোমার আছে হাত ও পা
ঘুরে বেড়ায় শহর গাঁ
কুরিয়ারেও নিরাপদে চলে
পত্র বোমা আহলাদে যে গলে
বিশেষজ্ঞ গবেষনায় থাকে
পানির ভিতর সযতেœ রাখে
উৎস খোঁজার ধার ধারেনা কেউ
আপাততঃ করে যে ভেউ ভেউ।

০৮.
কোনো কোনো বোমা বিকট শব্দে
প্রশাসনকে রাখে কেবল জব্দে
সরকার নয় তেমন সিরিয়াস
ঘটেই চলে জাতির সর্বনাশ
প্রথম প্রথম নাড়াচাড়া দেয়
কিছু পরেই পুলিশ তুলে নেয়
মনে হবে সারেন্ডার সে করে
না করলেই নিজেই যেন মরে।


০৯.
বোমারুরা পথে ঘাটে বীরের মত চলে
সব উচেছদ করে দেবে কথায় কথায় বলে
নিজ দলীয় আসনখানা শক্ত করার জন্য
বোমারুরা শপথ যে নেয় জঘন্য ও বন্য
মল ইসলাম তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়
মওদুদীবাদ হলো তাদের আসল পরিচয়
মতার ভাগ বাগিয়ে নিয়ে এরা এখন ‘বীর’
বিষয়টি যে দেয়না আমল নেতা বিএনপি’র।

১০.
এক সময়ে নকসাল যারা বোমা বানাতো
প্রকাশ্যেই দর্শন তার সবকে জানা তো
সে বোমাতে সমাজ বদল ল ছিলো করার
হুমকী ছিল যখন তখন শোষকগুলো মরার
বোমার সাথে ছিল আরও পাইপগানও ঢের
সে সব কিছু সাহস দিত যত বঞ্চিতের
প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেল সেই নকসাল নীতি
বলা হলো এতে কেবল ছড়ায় ভয় ও ভীতি
বন্ধ হলো বোমা এবং পাইপগানের কাজ
সংগঠনের মাধ্যমেই যে বাড়বে কৃষক রাজ।

১১.
মাওপন্থী জংগী যারা বোমা তাদের হাতে
সে বোমা তো যত্রতত্র ফোটেনা একসাথে
তাদের কথা এখনি নয় চূড়াš সেই পর্বে
মুর্হুমুহু ফুটবে বোমা আনন্দ ও গর্বে
এ সময়ে বোমা মারা আÍঘাতি কাজ
শ্রেণী শত্রু চিহ্নিত হোক সব ফেলে আয় আজ।

১২.
বোমা এখন সকল কাজে লাগে
লাগতো নাতো কোনদিনও আগে
পজোর সময় পটকা ছিল বটে
ধীরে ধীরে তাওতো দেখি হটে
বাজী ছিল নানা নামে দেশে
তাও দিখিনা কাছে আশে পাশে।
ইলেকট্রিকের জয়যাত্রার পর
বোমাবাজী হয় রে ছাড়া ঘর
সে সব বোমা সে সব বাজীর কাজ
ছিল বটে এক ধরনের সাজ
তৈরী কারীর বলা হতো কানী
এখন তারা অন্য পেশায় জানি।




১৩.
চোরাচালানে এবং লেদে পি¯ল পাওয়া যায়
তবু দেখি বোমারুরা বোমাই যেন চায়
হতে পারে বোমাই সহজ স্থাপনা ভাঙ্গা
আতংক ও ভয় ছড়ানো ও ছাড়ানো দাঙ্গা
পি¯ল হয় হত্যাকাজের জিনিষ
মারবে যাকে এক গুলিতে ফিনিস
ধরা পড়ায় অ¯ আইন ধরে
ধুকে ধুকে জেল খানাতে মরে।
বোমায় আবার অ¯ আইন নেই
যেটি বহাল ভরা ফাঁকিতেই
সে কারনে বোমাই সহজ পথ
ছুঁড়ায় যে হয় শানিত হিম্মৎ।

১৪.
বোমায় যারা আহত হন তারা মরেন ধুকে
কোন কালে শরীর-দেহ কাটেনা তার সুখে
পংগু হয়ে অসহায় তার জীবন কাটে ঐ
তাদের কি আর দেশ ও জাতি তেমন খবর লই।
কত শত বোমাহত এই শহরেই আছে
খবর নিতে কেউ কখনও যায়না তাদের কাছে।
আহতদের নেই সমিতি নেই কোনো মাধ্যম
তাদের সাথে নিয়ত যে রয় মৃত্যু-যম
ঠোঁট কাটা ঐ রোগীদেরও চিকিৎসায় রন কেউ
চু ছানির অপারেশন করে লায়ন সেও
কিন্তু যারা বোমার ঘায়ে পংগু জীবন কাটায়
তাদের প্রতি সহানুভূতি কেউকি তেমন পাঠায়।

১৫.
বোমা যখন জনসভা ভাঙ্গে
সভাকারি বিােভে যে রাঙে
প্রতিপ মেরেই হাওয়ায় মেশে
এরূপ নজীর নিয়ত যে দেশে
বোমা নিয়ে ভাবেনা কেউ আর
মতাসীন হতে লাগে তার !
এক শ্রেনীর বোমাবাজের দল
ভাড়ায় খাটে পেয়ে অর্থ বল
খুব যে বেশী রেট যে তাদের আছে
দুই পাঁচশ টাকা নিয়ে বাঁচে
পুরান ঢাকা, জুরাইন ও মিরপুরে রয় এরা
রাজনৈতিক দলসমহের অফিস আসল ডেরা
সব দলেরই বোমারু দল রয়
সাহস করে সে কথা কে কয় !


১৬.
গত বছর আগষ্ট মাসের একুশে
গুলি¯ানে বোমা ফাটে হায়
শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেন বটে
আইভি আপার জীবন নিভে যায়।
কেউ বললেন সরকার দায়ী এর
সরকার কন আবোল তাবোল কথা
বোমারুরা অন্য কোন শক্তির
চায়না যারা দেশের স্বাধীনতা।
বিরোধীরা এ নিয়ে চায় ইস্যু
হুমকী ধুমকি ছাড়লো ফুঁসে মেলা
সরকারি দল তদšে যেই যায়
বিরোধীদের হয় যে নতুন খেলা।
সত্যিকারের বোমারুরা পার পায়
ঠ্যাং ধরে ঐ লাঠি ধরে ছিঃ লীগ
অবশেষে মিইয়ে পড়ে তারা
পিছনে যে শক্তি আছে বিগ।
সরকার চায় তদš হোক গোটা
আওয়ামী লীগের অনীহা বেশ দেখি
র’ এর সাথে হলে যোগাযোগ
লীগ দিদিরা পাড়ায়না আর ঢেঁকি।

১৭.
জে এম বি ও আহলে হাদিস কারা
তাদের মাথায় টুপী আছে সত্য
কোন কালেই নয় মুসলিম তারা
ইতিহাসে ঢের রয়েছে তথ্য।
জামাতিরাও একই বোঁটার ফুল
‘ফ্রন্টে’ থেকে ত্রে করে তৈরী
বর্তমানে বিএনপি’তে আছে
সময়মতই হবে তারা বৈরী।
আহলে হাদিস সুন্নীকে কয় কাফের
জামাতিরা পীর মানে-না মোটে
জে এম বি নয় এদেশী কোনো দল
ভারত ভূক্তির জিগির তাদের ঠোঁটে।
‘বাংলা ভাই’ যে ভারতীয় চর
আশ্রয়দাতার খোঁজ পায়না কেউ
পারে যিনি তাকে গিয়ে ধর।
এ’ব্যাপারে পিছিয়ে যায় সেও
তারা নাকি মšীসভার সভ্য
বিষয়টা যে গুরুতর বটে
বাবর সাহেব পায়না ভেবে কূল
পরিনতি কি আছে যে ঘটে !


১৮.
ইতিপর্বে প্রগতিশীল যারা
ক্রস ফায়ারে মারা হরো তাদের
জে এম বি’দের জামাই করে রাখে
জানিনাতো পোষ্য তারা কাদের।
বিএনপি কি মরিচীকায় ঘোর
আল্লাহ মাবুদ মা করুন মা
এর সুরাহা না হলে রে ঐ
জনগনের মনে যে ােভ জমা।
জোট বেঁধে ক্যান জিম্মি হয়ে গেলেন
এর জবাব তো দিতেই হবে বলি
ঘরের ভিতর বসিয়ে রেখে ডাকাত
দিচিছ দলের গর্ব জলাঞ্জলি।
এরাই নামায় বোমারুদের ঐ
নির্বাচনে পায় যাতে সিট মেলা
নানা নামের দল ব্যবহার করে
চাপ সৃষ্টির জন্যে করে খেলা।
এই কথাটি বুঝার কি কেউ নেই
নাকি সবাই দেখে শুনে চুপ
নিজের পায়ে নিজেই কোদাল মারে
শুধু কি তাই ? খনন করে কূপ।

১৯.
বোমা আসে ভারত থেকে
সীমাšে নেই চেক
এই কথাটি বারেবারে যে
হয়েছে উল্লেখ।
বোমার যত সরঞ্জামও
ওপার থেকেই আসে
‘র’ এর কর্তা বোমারুদের
খুবই ভালবাসে।

২০.
সেনা সদর পুলিশ সদর
বিডিআর ও র‌্যাব
কেন তাদের চোখগুলো ঐ
সকরূন ড্যাব ড্যাব।
চৌকিদার ও আনসারেরও
একই দশা দেখি
বোমারুদের ধরার কাজে
তৎপরতা মেকি।
খালেদা জিয়ার চাপে পড়ে
যে কর্ম করে
আসল যারা তাদের রেখে
নিরীহদের ধরে।


২১.
পীর দরবেশ কামেল পুরুষ
কেন টার্গেট আজ
এই প্রশ্নের জবাব দিবে
কোন্ সে মহারাজ।
সিলেটে ও আখাউড়ায়
বোমা ফেলা হলো
কি কারণে এ সব আঘাত
বের করতে চলো।
হিন্দুস্থানী চানক্যদের ঐ
গবেষণায় জানা
এই ভারতে মুসলমানের
বাড়লো কেন ডানা।
অল্প দিনেই বি¯ীর্ণএই
ভারত ভূমির মাটি
কি ভাবে হয় মুসলমানের
শক্ত কঠিন ঘাঁটি।
গবেষণায় পাওয়া গেলো
পীর দরবেশ যারা
জনগণের কাছে যে হন
প্রানের প্রিয় তারা।
মানবতার বানী নিয়ে
ঘরে ঘরে যান
ভারতবাসি সে বানীতে
সুখ শাšি পান।
এভাবেই যে দলে দলে
মুসলিম হয় তারা
ভারতব্যাপী সুনাম তাদের
দেয় যে ব্যাপক সাড়া।
প্রমাদ গোনে চানক্যেরা
বুদ্ধি আটে ঢের
যেভাবেই হোক ভাগ করবে
ঐক্য মুসলমানের।
এই ল্েয আহলে হাদিস
এবং জামাত বানায়
মল ধর্মের অপব্যাখ্যায়
ওয়াজ তারা শানায়।
উনিস শত দুই সালে হয়
আহলে হাদিস গঠন
বিয়াল্লিশে জামাত হলো
আজগুবি তার গঠন।
টার্গেট হয় তাদের প্রতি
যারা সহিহ্ লোক
মওদুদীদের পঠন পাঠন
বিলে বাতিল হোক
সে কারনেই যাত্রা তাদের
বোমার উপর ভর
দেশের মানুষ সজাগ থাকুন
ওরা ‘র’ এর চর।


২২.
বোমা যখন ফোটে
বিশেষজ্ঞ ছোটে
বালতি ভরা পানি
তাতে বোমাখানি
রেখে দিয়ে ওরে
নিষ্ক্রিয় করে
টুকরো গুলো কুড়ায়
গবেষণাও ফুরায়
তদš দল আসে
তাকায় আশেপাশে
পায়না বোমারুকে
তদšও যায় চুকে।

২৩.
বোমাই এখন রাজনৈতিক ইস্যু
জনগণ হয় নেহাৎ অবুঝ শিশু
যা বুঝবে তাই বুঝতে হয়
বোমারুরা হেসে খেলেই রয়।

২৪.
বোমার যত কেস্ হয়েছে
শেষ মেষ তা ফুঁস
এ নিয়ে হয় তর্কাতর্কি
কখনও যে ঢুশ।
হয়না বিচার পর¯পরের
বাক-বিতক্তা হয়
জনগণও বলে ফেলে
আশাপ্রদ নয়।

২৫.
আমি যখন বোমাহত হই
ভেবেছিলাম বিচার তার হবেই
যাকে দেখি তাকে ডেকে কই
এ বিচারে সবাই ভাল কবেই
হলো কোথায় আর
যšনা যে রয়েই গেলো দেহে
বোমারুরা হেলে দুলেই চলে
নিরাপদেই থাকে নিজের গে হে।

২৬.
বোমা মারে জেএমবি ও
আহলে হাদিস জংগী
কোথাও কোথাও জামাতিরা
রয়েছে যে সংগী।
বিএনপি আজ জেনে শুনেও
বোবা হয়ে যায়
হাওয়া বাতাস বুঝতে গিয়ে
কেবল হোঁচট খায়।


২৭.
বোমা যদি চান ঠেকাতে
গভীরে নেন খোঁজ
পত্রিকার ঐ তথ্য ধরে
মাঠে নামুন রোজ।
মিটিং সিটিং আপাততঃ
করুন না কম টম
মল জায়গায় আঘাত হানার
হোক শানিত দম।
সতর্কতা তৈরী করুন
জনগণের মাঝে
গোয়েন্দাদের দিন নামিয়ে
নতুন নতুন সাজে।
‘ফরমাল’ এই তদšতে
মিলবে না ছাই কিছু
বাছাই করা মুক্তিযোদ্ধা
দিন লাগিয়ে পিছু।
ঐ না হরো মিটিংই সার
ব্যর্থ হবে সব
বোমার ভয়ে থেমে যাবে
জন কলরব।

২৮.
সšাসীদের ধরার কাজে র‌্যাব
সফল হওয়ায় প্রশংসা সে পায়
বোমাবাজের ধরতে হলে তবে
ছড়িয়ে পড়ূন গ্রাম-গঞ্জ গাঁ’য়
কোথায় তারা পালিয়ে রবে তখন
ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে যাবে
কিছু কিছু জায়গা টহল দিলে
তাদের কে কি বলো খুঁজে পাবে।
জনগণকে স¤পৃক্ত করুন
সতর্কতায় তল্লাসী ফের চালান
দেখা যাবে তাদের ধরা সহজ
মল জায়গায় না গিয়ে ক্যান পালান।

২৯.
আশি সালের তেইশে মে’র বোমা
জনসভায় কারা ফাটায় কন
সরকার না জানলে পরও তা’
জেনেছিল সেদিন জনগণ।
সরকারও যে জানেনি তা নয়
ব্যাপার বুঝে চুপ হয়ে যায় যে
তাদের বিচার হতো যদি তবে
আর কখনও বোমা কেউ খায় রে !


৩০.
রাজনীতিবিদ দেয় শ্লোগান বোমা মারার
সেই শ্লোগান বন্ধ করুন আজ
তা না হলে অব্যাহত ভাবে
ফাটবে দেশে ধ্বংসাÍক কাজ।
‘জ্বালাও পোড়াও বোমা মারো’ বলা
চলে যদি বোমারই হয় জয়
এই শ্লোগান আজকে জনগন
আর কখনো শুনতে রাজী নয়।

৩১.
এতো বড় পুলিশ বাহিনী
তারা যদি সক্রিয় হয়
বোমারুদের ধরা ভাই
কষ্ট সাধ্য নয়।
পুলিশ বড় ঢিলা
যেই তদš তাদের উপর দিলা
বিলম্বিত করবে সহজ কথা
এই সংশয় রয়যে যথাতথা।

৩২.
ছেলে বলে ওমা-ওমা
দাওনা এনে একটি বোমা
বোমার ধোঁয়া নাকে
ঝাঁকায় শরীরটাকে।
‘বীর’ হওয়া যায় ‘বীর’
ওমা এখন বোমা হলো
শোভা নগরীর।

৩৩.
এক্সকুসিভ ব্যবসার চালানে
বোমার যত উপকরণ আসে
বাণিজ্যের ঐ মšণালয় কি
দেখে প্রতি মাসে ?
উৎস পাবে সেখানে যে ভয়ংকর সেই
লোম হর্ষক তথ্য
একটু খানি নজর দিলে তবে
বেরিয়ে যাবে সত্য।

৩৪.
খালেদা জিয়ার সরকার হটাতে
দেশব্যাপী অস্থিরতা ঘটাতে
নীলনকসা এঁকে বোমা মারে
তাদের ধরা মোটেই কঠিন নারে
সেই ল্েয চলছে বলুন কে
জবাব দেবার নেই যে মানুষ সে।

৩৫.
বোমার জ্বালা কেমন জ্বালা
যে খেয়েছে বোঝে
অন্যেরা যে বুঝবে নারে
কি কষ্ট ও যে
আমার দেহে ¯িপলিন্টার
‘ইনফেশশন’ আজও
ব্যথার ঔষুধ খেয়েও থাকে
সেই যে বোমার ঝাঁঝও।

৩৬.
বোমা আমায় পংগু করে দিয়েছে
না পারি আর আগের মত চলতে
ব্যথা নাশক ঔষুধ খেয়ে খেয়ে
জিভেটি যে জড়ায় কথা বলতে
অমাবশ্যা পর্ণিমাতে জ্বালা
একা ঘরে কাতরিয়ে যে মরি
দর্ভাগ্যের জীবন খানা আমার
বলুন সাহেব কি আর বলুন করি।

৩৭.
রাজনীতিতে যারা আছে তারা
সবাই জানে কারা বোমা মারে
জেনে শুনেও সেই ‘মহাতœগণ’
আজব আজব কথা কেবল ছাড়ে।
পর¯পরে দোষারোপে মাতে
যদিও রয় বোমা সবার হাতে।

৩৮.
বোমা বানায় মৌলভী সাব
বানায় কমুনিষ্ট
পুলিশ দলের কাছে আছে
চক্চকে তার লিষ্ট।
তবু তারা সক্রিয় নয়
ব্য¯তাভাব দেখায়
বহুবারই এই অভিযোগ
পাই কাগজের লেখায়।

৩৯.
বোমা নিয়ে রাজনীতি ক্যান
এতে কি দেশ বাঁচে
পরশী দেশের শত্রুরা যে
খুশীতে ঐ নাচে।
অস্থিরতা বাড়ে যত দেশে
তাদের মনে উল্লাস যে জাগে
সরকার কে তাই বলছি শুনুন
ব্যবস্থা নিন আগে।


৪০.
বোমা কোনো পথ দেয়না সুখের
বোমা কেবল রক্ত ঝরায় বুকের
বোমায় আছে প্রতিহিংসার চোখ
বোমার প্রতি ঘৃনা জানায় লোক
বোমা মেরে আতংক যে ছড়ায়
কেউ নিন্দা করবে না তার মরায়
‘ক্রস ফায়ারে’ মেরে দিলে তাকে
সুখের পাখি উড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে।

৪১.
কিবরিয়াকে বোমা মেরে মারা
এই জনগণ ধিক্কার দেয় রোজ
বোমাবাজের বিচার চেয়ে ঐ
অপরাধীর করে সবাই খোঁজ।
তাঁর হত্যায় সবার হৃদয় নাড়ায়
‘নীল’ মিছিলে শহর নগর ছায়
নিরাপত্তার কথা উঠে আসে
মানুষ কাটায় দারূন হতাশায় !

৪২.
বোমারুরা দেখতে কেমন
কেউ কি ছবি তুলেছেন
নাকি ভয়ে পালিয়ে যেতে
তুলতে সে সব ভুলেছেন।
বোমারুরা রাজ নেতাদের মতই
ছবি পাওয়া দুঃসাধ্য নয় মোটে
জে এম বি বা সর্বহারাই নয়
চোরাচালানীর হাতেও এটা ওঠে।

৪৩.
তেইশে মে আশি এবং
সতেরো আগষ্ট চার
বোমা ফাটে বাংলাদেশে
উচচ মতার।
সেপ্টেম্বরের একুশ তারিখ
দুই হাজার পাঁচ সাল
বোমায় বোমায় দেশ যে দেখি
হলো তাল মাটাল।
প্রতিদিনই বোমা ফাটে
বিস্ফোরিত হয়
যাচেছ স’য়ে এই জনগণ
কি কথা কার কয় !

৪৪.
বোমা কেবল লোক মারেনা
আতংকও যে ছড়ায়
ল হলো সবাই যেনো
তাদের ভীষণ ডরায়।
শক্তি দেখায় এই উপায়ে
মুর্খ ব’লে তাই
খোঁজ করলে দেখা যাবে
‘কলাটাও’ তার নাই।

৪৫.
বোমায় যদি মতা কেউ পেতো
নির্বাচনের পথে কি কেউ যেতো
জনগণের রায় পেতে চাও যদি
সবার সাথে মেশো নিরবধি
‘র’ এর কথায় চললে পারে এমন
টের পাবে এর মজাটা ঐ কেমন
দেশের মানুষ নয়রে বোবা-বোকা
তাদের হিসেব নিখুঁত মাপা-ঝোখা।

৪৬.
সকল দেশেই বোমা এখন আলোচিত
প্রতিরোধের ব্যবস্থাও নেয় সময়চিত
পাল্টাপাল্টি বোমা মারা তাও যে হয়
তার মধ্যেও স্বাভাবিক ঐ জীবন রয়
মিডিয়াতে ফলাও প্রচার বন্ধ হলে
বোমারুরা হতাশ হয়ে যেতো চলে
কিন্তু সে সব কেনো হবে ? কারন আছে
মার্কিনরা বোমারুদের রয় যে পাছে।

৪৭.
বোমা মারা বন্ধ করো
বোমা বাজকে ধরো
বোমা নিয়ে গবেষণা
কেনো তুমি করো।
বোমা হলো দর্বলতার
বোমা হলো ছাই
বোমা নিয়ে দয়া করে
কেউ ভেবোনা ভাই।

৪৮.
বোমার প্রচার যত হবে
উৎসাহ তার বাড়বে
‘বোমা হিরো’ হতে তখন
আরো কিছু মারবে।
একবার সে এ বিষয়ে
হলে পরে ‘হিরো’
দর্বল ঐ দলগুলোর সে
ব’নে যাবে ‘পীর’ও।


৪৯.
বোমা মারায় কৃতিত্ব নেই
এতে আছে বিপদ
বোমা মারার সময়ে যে
যায় উড়ে হাত, দ্বি-পদ
কখনও বা মৃত্যু বরন হয়
সে কারণে বোমাবাজী নয়।

৫০.
বোমা ধরার জাল বানালে তবে
এই সমস্যার সমাধান যে হবে
বোমারুদের তালিকাটাও করো
সুচি মত করে খপ্ সব ধরো
এই বিষয়ে ট্রেনিং কেনো লাগবে
খোঁজ করলেই সবাই ওরা ভাগবে
মিটিং এবং মিটিং যদি করো
হয়ে যাবে যাত্রা নড়বড়ো।

৫১.
বোমার ভয়ে বের হইনা পথে
গায়ে যদি লাগে কোন মতে
এই জবিনের স্বপ্ন হবে শেষ
মুছে যাবে ভালবাসার দেশ।

বোমারুদের সেই বেদনা নেই
তাদের কথা সব উড়িয়ে দেই
প্রতি বোমায় পাই যে অনেক টাকা
স্বপ্ন আমার রয়না চোখে আঁকা।

গড ফাদার বা ‘বড় ভাই’ বলুন
ওদের কথায় কেউ যদি না চলুন
স্থিতিশীল দেশ পাবেনা কেউ
এ কাজেইতো আমরা আছি ফেউ !

৫২.
বোমায় এখন ভয় করিনা সে যে কেবল ধোঁয়া
ফিস্ফোরনে বেরিয়ে আসে কিছু লোহা খোঁয়া
শব্দ ক’রে ভয় দেখায়
সšাসীদের পথ শেখায়
অল্প দিনেই তাদের যে হয় কবরেতে শোঁয়ায়।

৫৩.
সব বোমাই যে তিকারক যাবেনা তা বলা
কোনো কোনো বোমা যুগায় অগ্রগতির চলা
সে সব বোমায় রয়না বারূদ উৎসাহ রয় ঢের
সেই বোমাটি দাও ধরিয়ে কর্মী উন্নয়নের।


৫৪.
বোমা আবার কাজ করে না আহম্মকের জন্য
পেটে নাকি ফেলেছিল হয় যদি সে ধন্য
ল্য ছিল বোমা মেরে লেখাপড়া শেখাবে
না না ভাষা শিখিয়ে আরও গ্রন্থ কিছু লেখাবে।
মারলো বোমা বারে বারে লাভ হলো না কিছু
বোমার শত মহিমা যে হয়ে গেলো নিচু।

৫৫.
বোমার আদি নাম হলো যে পট্কা
বর্তমানে দেখে লাগে খট্কা
পট্কা ছিল আনন্দের এক বাহন
বর্তমানে শুনি যে হায় সাত কাহন।

৫৬.
বোমা যখান বিশ্বব্যাপী
হইনা কেন আমরা হ্যাপী
আলোচনায় রইযে প্রতিদিন
বোমার গায়ে স্বপ্ন যে রঙীন।
বোমা যখান মার্কিনিরা ছাড়ে
মুর্হুমর্হু মারে কান্দাহারে
দেখতে ছুটি টেলিভেশন নিয়ে
এ আনন্দ রাখবো কোথায় গিয়ে।
বোমা নিয়ে আমার দেশে কথা
সকল সময় চলে যথা তথা
নানা রকম তত্ত্ব কথা হয়
বিষয়টা যে মন্দ মোটে নয়।

৫৭.
বরযাত্রীর হাতে মিঠা
আছে আরো নিতই পিঠা
বোমাও রাখ হাতে
ফুটাবে যে রাতে।
কন্যা বাড়ী ঘুম
ফুটলে বোমা ধুম
উঠবে জেগে সব
শুনবো কলরব।

৫৮.
বোমা লাগার কষ্ট কি যে
টের পাচিছ আজও নিজে
সে কারনে বোমা বন্ধ চাই
যিনিই আসুন রাজ মতায় ভাই।
আপনি যদি রাজনীতিতে রন
নিজেই যদি বোমার ধারক হন
তা’হলে তো বাঁচাই হবে কষ্ট
দৃশ্যটা যে দেখছি তো ঐ পষ্ট।


৫৯.
বোমা মারার গুরু-ঠাকুর
আওয়ামী লীগের দল
এ’ছাড়া তো ওদের সাথে
নেইরে জনবল।
কর্মী গুলোর ধ’রে রাখে
বোমার রোমঞ্চ দিয়ে
মওকা বুঝে থ্রো করায়
অনেক আশা নিয়ে।
সে আশাতে কোনকালেই
পরণ হবেনা
বোমারুদের সংগে যে কেউ
মোটেই রবেনা।

৬০.
বোমা মেরে কি ভয় দেখাও
ওতে তো নই ভীতু
এতে বরং ঘনায় তোমার
অকাল মরন ঋতু।
দূর্বল যে তারই সাজে
ভয় দেখানো খেলা
এমন খেলা এই জীবনে
দেখলাম তো মেলা
সব ‘জেহাদী’ নেতিয়ে পড়ে
জনগণের ঘাই-এ
অপরাধীর ছাড় করে না
আপন বোন ও ভাই-এ।

৬১.
বোমা বানায় দিল্লী পতি
তাদের দোসর যত
শাšিকামী মানুষকে যে
করে হতাহত।
আগ্রাসনের হা
করতে দেবো না
প্রতিরোধে দাঁড়িয়ে আছি
কর্মী শত শত।

৬২.
বোমা দিয়ে ভয় দেখানো
আহম্মকের কাজ
দুদিন বাদে ওদের মাথায়
পড়বে মরন বাজ।
তারা বুঝি ভাবে
বোমাতে পার পাবে
এই জনতা মানবে না এই
ধ্বংসাÍাক কাজ।


৬৩.
বোমা মারে যারা
খুব দূর্বল তারা
ফুটুস ফাটুস ক’রে
বোমার ঘায়েই মরে।
ভোট পাবেনা ভেবে
হাতে বোমা নেবে
তাতে কি আর ভয়
জাতি ভীত নয়।

৬৪.
বোমা আসে ভারত থেকে
বোমা বানায় দেশে
বোমা মারার সফলতায়
মরে তারা হেসে।
উন্নয়নের ধারা দেখে
তারা যতই দাঁড়াক বেঁকে
জনগণের লাথি খেয়ে
মরবে অবশেষে।

৬৫.
আজকাল বেশ মুফতি পদের লোক
রূপ নিয়েছে ম¯ত বড় জোক
বোমা তাদের পাকা হাতের জিনিষ
সুখ শাšিত চায় কতরতে ফিনিস।

৬৬.
বোমা আছে সবার কাছে
যার নেই সে বোকা
রাজনীতিতে বোমাই হলো
শক্ত ক্যাডার খোকা।
যার রয়েছে বেশী
শক্ত যে তার পেশী
এ নিয়ে আর কাউকে তুমি
দিওনা হে টোকা।
৬৭.
আশি সালের সেই বোমাটি
ঘুরে ফিরে আসে
সে যেন রয় পিছে পিছে
লেগে ধারে পাশে।
কখনও যায় জনসভায়
কখনও বা মাজারে
মসজিদে যায় দরবারে যায়
হয়ে মোটা তাজা-রে।
ল্য যে তার মানুষ মারা
টার্গেট হয় নেতা
কি কারনে বৈরী সে যে
বলবে বলুন কে-তা।
শব্দে এবং ¯িপলিন্টারে
‘কাল কেয়ামত’ ডাকে
সকল কালেই সেই বোমাটি
নিরাপদে থাকে।
তদšত হয় যেনতেন
হয় না রিপোর্ট পেশ
এ ভাবেই যে বোমা খেয়ে
চলে বাংলাদেশ।

৬৮.
বোমা এখন তর্কে
সামলাতে বল ঘরকে
ঘর যে এখন দুলছে
স্বাধীনতা ভুলছে।

৬৯.
শেষ হবেনা বোমাবাজী, কারণ এ যে পুঁজি
বাড়াবাড়ি করলে পরে মরবে সোজাসুজি
বোমা লাগে ছিনতাইয়ে আর হরতালে দেয় কাজ
বোমাই বানায় রাজনীতিতে সবার মহারাজ।
বোমা ফাটে ইরাকে ও কাবুল কান্দাহার
বোমা ফাটে খুলনা যশোর সিলেটে বার বার
বোমায় ভাঙ্গে উড়োজাহাজ সব উড়িয়ে নেয়
টেলিফোনে হুমকী আরও অহরহ দেয়।
বোমা নিয়ে ভাবনা কি আর বোমাই যখন সব
এ নিয়ে তাই কেউ করোনা উচচ স্বরে রব।

৭০.
ন্যাক্কারজনক, দুঃখজনক উদ্বেগজনক কথা
বোমাই বুঝি কেড়ে নেবে দেশের স্বাধীনতা
বোমা ছাড়া রাজনীতি নেই আজব নিয়ম রীতি
দেশ জুড়ে রয় ভয়াবহ বোমারই ভয়-ভীতি।
লাশ হচেছ যখন তখন নিরীহ লোকজন
রাজনীতিবিদ, কর্মী নেতা দেখছি সারাণ
এ সবের কি শেষ হবেনা কার কাছেই বা কই
বোমার ভয়ে আমরা যে আজ আতংকিত রই।

৭১.

বোমার মালিক ‘র’
সাহস ভরে সেই কথাটি ‘ক’।

বুক ফুলিয়ে র
বাঘের মত হ।
৭২.
বোমা ফাটে আশি সালে
শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে
কোনমতেই এই অভিযোগ
পারেনি সে ডিঙ্গিতে
এটা বলে ওটা বলে
দায়িত্ব জ্ঞানহীন
জনগণের শত্রু যে তার
বাড়ছে রে দিন দিন।

৭৩.
শ্রাšত, কাšত বিভ্রাšত
পাবে খুঁজে কি প্রাšত
সবাই মিলে নামলে
এক জায়গায় থামলে
নয় কষ্ট, ধরা
নজর রেখে কড়া।
কিন্তু বিষয় ভিন্ন
জাতীয় ঐক্য ছিন্ন
সেই ল্েযই হাটে
উঠবে সবই লাট-এ।
বোমা অলা বাঁচে
আনন্দে সে নাচে
ধরে লাঠি ঠ্যাং ছেড়ে
তদšতকে দেয় ল্যাং মেরে।
পর®পরে দোষাদুষি
বোমাঅলা বেজায় খুশি
আম-জনাতা বেজার
পথ চলেছে যে যার।

৭৪.
কদিন বাদেই ফাঁস হবে সবকিছু
তখন বাবা হবেই মাথা নিচু
হাম্বি তম্বীর গলা যাবে ফেটে
সকল কিছুই বুঝে যাবেন লেট-এ।
আশি সালের ঘটনাটা কার
এ’প্রশ্নও উঠেছে বারেবার
নিজের পায়ে নিজে কুড়োল মেরে
রাজনীতিতে ভালই ওঠেন তেড়ে।
এ দেশে কে প্রথম বোমা ফাটায় ?
ইস্যু খোঁজার মাথা কারা খাটায় ?
তদšতকে আড়াল ক’রে দিয়ে
‘পদত্যাগের’ দাবী আসো নিয়ে
কোন কৌশল চালাতে চাও দেশে
প্রভূর আদেশ যায় ভে¯েত ভেসে
কূট-কৌশল ধরা পড়ে যায়
বিচার থেকে মুক্ত হওয়া দায়।
এই ইস্যু যে মাঠে মারা যাবে
জনগণের ঘৃনাই শুধু পাবে
ছেলে খেলার কান্ড এ যে আপা
জনগণের বিােভ রয় চাপা
বান-বন্যার পূনর্বাসন কাজে
না গিয়ে যে কাজ করলে বাজে
দু’দিন বাদে সবই হবে ফাঁস
শুনবো তোমার দীর্ঘতরো শ্বাস।

৭৫.
ইতিহাস থেকে মুছে যাচেছ
সেই তেইশে’র মে
ভোলামন এই বাংলাদেশী
কি আর করবে রে।
বিস্ফোরিত বোমায় মরলো
আহত শত শত
এই তদšেতর সংগে ওঠার
ওঠেনা কথা তত।
ঐ হামলাই প্রথম ঘটে যে
তদšত চাপা রয়
সেই কথাটি এখন কে সে
এগিয়ে এসে কয়।
আশি সনের তেইশে মে’র
সেই বোমাটি ঘীরে
তদšতটা করলে শুরু
সূত্র পাবে না কী-রে !
৭৬.
কোটি টাকার এনাম পেতে
মেয়ে, জামাই, পূত্র
দিন রাত্তির হন্যে হয়ে
খুঁজছে বোমার সূত্র।
গুলি¯তানে যাকেই দেখে
নাম-ঠিকানা চায়
বিরুক্তির ঐ কান্ড দেখো
ধাক্কা মেরে যায়
বাসে ওঠে কেউ যদি কয়
গল্পে গল্পে কথা
এই আশাতে পালন করে
গভীর নীরবতা
প্রেসকাবের কাছে দাঁড়ায়
কানটা রেখে খাড়া
এ’ব্যাপারে গোপন কিছুর
পায় যদি রে সাড়া।
ষ্টেশনে, টার্মিনালে
এয়ার পোর্টে ঘোরে
ব¯িতবাসীর কাছে বলে
খবর দেরে ওরে
কোথাও কোনো খোঁজ পায়না
সীমাšেত যায় একা
হঠাৎ যদি বোমাবাজের
হয় যদি তার দেখা
এমনিভাবে খুঁজতে থাকে
হন্যে হয়ে রোজ
সূত্র পেলে শেরাটনে
চায় যে দিতে ভোজ।

৭৭.
গাড়ী ঘোড়া আরও ভাঙ্
বোমা এখন বুমেরাং
রাজনীতি যায় ধ্বসে
মুখোশ গেল খ’সে।

৭৮.
সামনে আসে ভোট
যায় শুকিয়ে ঠোঁট
বোমায় খেয়ে ধরা
নেই যে ভাষণ কড়া।

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×