somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যামেরার পেছনের মানুষটির গল্প ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার মেয়ে সিঁথির যখন প্রথম দাঁত ওঠে, তখন ও সব কিছুই কামড়ে দেখতে চাইতো। সুযোগ পেলে কামড় দিয়েই বসতো। আর কোনো কারণে কামড়াতে না পারলে কেঁদেই দিতো। ক্যামেরা কেনার পর আমার অবস্থাও হয়েছে সেরকম। ডিএসএলার পেয়ে দুনিয়ার সব কিছুর উপরই ক্লিক করে দিচ্ছি, কিন্ত ছবির কিছুই হচ্ছে না। যা তুলতে চাই, ছবি যেন গল্প বলে সেরকম কিছু, বাট তুলতে চাই এক আর হচ্ছে আরেক। তুলতে চাচ্ছি ছবি, হয়ে যাচ্ছে গবি। এ বিষয়ে আহামেদ ভাইকে আজ কয়দিন যাবত বিরক্ত করছি অনেক, এটা কি অটা কি বলে ক্রমাগতই অস্থির করে ফেলছি বেচারাকে। উনি নেহায়েত ভদ্রলোক বলে একটুও বিরক্ত হচ্ছেন না বরং দারুণ করে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, বিভিন্ন বেসিক জিনিস শেখাচ্ছেন আমাকে।

আশেপাশে যা পাচ্ছি তারই ছবি তুলছি। মানুষ, গাড়ি, বিল্ডিং, বালু, আকাশ, গাছপালা যা পাই ক্লিক করে দিই। আরব দেশে মানুষের ছবি তুলে মজা নাই। সুন্দরি পরীরা সব বোরখার নিচে। আর পুরুষরা সব যুদ্ধংদেহী বেশে জোব্বা পরিহিত। ক্যামেরা কেনার পর যা বুঝলাম তা হলো, আসলে ফটোগ্রাফি কোনো সহজ বিষয় নয়। সুন্দর মনের সাথে ক্যামেরা চালানোতে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে। ক্যামেরাই এখনো বুঝে উঠতে পারিনি, সুতরাং ভাল ছবি তোলা তো অনেক দূরের ব্যাপার। কখনো আইএস বাড়িয়ে ছবি তুলি, তোলার পর দেখা যায় সব কিছুই কালো অন্ধকার। আবার কখনো বা সাদা, কখনো ঝাপসা!!
এত এত সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে জিগাইলাম স্বপ্নবিলাসকে, সে বললো ভাই আমি কোনোদিন ডিএসএলআর চালাই নাই । দুই কাঠি সরস হয়ে সে আমাকে উল্টো একটা খোঁচা দিলো ভাই,আপনার ক্যামেরা সুইচ কয়টা টোটাল গুণছেন এখনো? আসলেই তো, গুইণা তো দেখি নাই! অবশেষে গুণে দেখলাম, সামনে পিছনে মোট ২৪ টা।

এরপর জিজ্ঞেস করলাম, কাল্পনিক ভালবাসাকে, ভাই ক্যামেরাতে ২৪টা সুইচ এখন কোনটা টিপলে কি হবে? একটা সুইচেও কোন লিখা নেই। কাভা ভাই বলে , ভাই আপনি এখন আমার থেকে এতো দূর আছেন কেমন করে আপনারে আমি টিপাটিপি শিখামু? অশ্লিলতার ইঙ্গিত পেয়ে আর কথা বাড়াইলাম না।

ব্যক্তিগত অনুভূতি আমি এই ক্যামেরা দিয়েই ছবি তুলে প্রকাশ করতে চাই । জানি যদিও বিষয়টা সহজ নয়। তবুও আমি যেভাবে পৃথিবীকে দেখি সেই চোখ দিয়েই ছুবি তুলবো শুধুই নিজের আনন্দের জন্যেই । ফটোগ্রাফির ওপরে ধারনা নিতে যেয়ে অনলাইনে কয়দিন যাবত বেশ পড়াশোনা করছি শিক্ষক নামে এক স্কুলে সেখানে এক কোর্সে পড়া কয়টা লাইন আমার মনে ভীষণ ভাবে গেঁথে গেছে - “আশেপাশের পৃথিবীকে একটু অন্যরকম ভাবে দেখা, একটু নিজের মতো করে দেখা – এই ব্যপারটা যার মধ্যে আছে, তার মধ্যেই একজন ফটোগ্রাফার আছে। অনেকে হয়তো ক্যামেরা হাতে নেয়ার পর ব্যপারটা উপলব্ধি করেন। অনেকের হয়তো সেই সুযোগ হয় না – এক জীবন কেটে যায় সৃজনশীল একটা সত্ত্বা নিয়ে, যার প্রকাশ ঘটেনা কখনও।“

ফেসবুকে রাজনৈতিক লিখালিখির কারনে আমার অনেক বন্ধু অভিযোগ করে থাকেন কেন আমি রাজনিতিক পোস্ট করি, প্রেম, কবিতা, গল্প নিয়ে কেন শুধু থাকি নাহ। ভাবছি সেই সব বন্ধুদের সাথেই তাল মিলিয়ে লুতুপুতু করবো। লিখা দিয়ে না হোক, নিজের তোলা ছবি দিয়েই গল্প বলবো। তবে তাই হোক...
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×