সাকিব আল হাসান যেদিন লোটাস কামালের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিল সেদিন কোন কিছু বাছ বিচার না করেই লোটাস কামালকে ধুয়ে দিয়েছি। দেশের শীর্য তারকাকে এভাবে অপদস্ত করা সইতে পারিনি। সব ক্রিকেট ভক্তই সেদিন এটা করেছে। যদিও সাকিবকে তার অশোভন আচরণের জন্যই তৎকালীন বোর্ড সভাপতির পা ধরতে হয়েছিল।
এরপর সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে তার সেই মন্তব্য- 'সাবেকরা কে কেমন খেলছে জানি, কে কতদূর করছে।'
এবার দেশের ক্রিকেট পাগল দর্শক কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছিল। কথা ঠিক, সাবেকরা সাকিবের মত সেঞ্চুরি করতে পারেনি আর সেরা অলরাউন্ডার হতেও পারেনি। তারা পারেনি কোটি টাকার আইপিএল খেলতে, কোটি টাকার মডেলিং করতে।
তবে এটাও ঠিক দেশের দর্শকদের মনে যে জায়গাটা জুড়ে আছেন 'আকরাম খান' সেখানে পৌছতে হলে সাকিবকে আরও একবার জন্ম নিতে হবে। বিশ্ব ক্রিকেট সাবেকরা হয়তো কিছুই করেনি, তবে সাকিবদের পয়দা হওয়ার জন্য আতুড় ঘর তৈরি করে দিয়েছে তারা। যেখানে যুগের পর যুগ একটার পর একটা সাকিব পয়দা হওয়ার পথ খোলা থাকবে। আর্জেন্টিনায় ৯৪ পরবর্তি যুগে যে-ই ভালো খেলে তাকেই 'নতুন ম্যারাডোনা' উপাধি দেয়া হয়। আর সেখান থেকেই কিন্তু মেসিরা বের হয়ে আসে। কিন্তু ম্যারাডোনা একজনই, যে পথ দেখিয়ে গেছে।
২০১১ বিশ্বকাপে মাশরাফি ফিট থাকার পরও না খেলতে পারার কারন হিসেবে সাকিবের অনিচ্ছাকে দায়ী করেন অনেকে। এমনকি একবার 'দলে কোন চেঞ্জ দরকার নাই' বলেও ম্যাশ কে দলে একঅর্থে অচ্ছুৎ ঘোষনা করে সে। এখনও সাকিব দলনেতা থাকলে মাশরাফির জায়গা হতো না দলে এমন গুজব বাতাসে ভাসে।
তারপর তার সেই বিখ্যাত অরেঞ্জ জুস না খাওয়ার আক্ষেপের কথা কে না জানে। এরপর টিভি ক্যামেরার সামনে সেই বিখ্যাত ভঙ্গি।
এবার আবার নাকি হুমকি দিছে 'দেশের হয়ে না খেলার'
ভদ্রতা আসলে কোচের কাছ থেকে শেখা যায় না, কোটি টাকার প্রাইজমানি দিয়েও কেনা যায় না। সেটা নিজের অর্জন করতে হয়। এবং এতেও যোগ্যতা লাগে।