সত্যিকার্থে আমি কোনদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে যাইনি। সবসময় আমার প্রানের এই বাংলাদেশ কে নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা আমার মস্তিষ্কে ঘোরাফেরা করে।ফেসবুকে কিংবা টুইটারে যখন কোন বিদেশি বা বিদেশীনির সাথে কথোপকথন হয় তখন আমি আমার বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কাছে বলি।আমি তাদের বলি ভাষা আন্দোলনের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা, আমার জন্মভূমির সৌন্দর্যের কথা।
সাধারণত প্রত্যেক দেশেরই কিছুনা কিছু সমস্যা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমাদেরও রয়েছে কিছু সমস্যা। যার একটি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। আর আরো এগিয়ে যেতে হলে আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বর্তমানে স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর একটি মন্তব্য আমাদের কাছে অনেক উপকারি। আর সেটা হচ্ছে, ''যে দেশে যত বেশি বিজ্ঞানী থাকবে সে দেশ তত বেশি এগিয়ে যাবে।''
এর জন্য আমাদের যেটাকে নিয়ে ভাবতে হবে সেটা হচ্ছে আমাদের পাবলিক পরিক্ষা ও পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ মাধ্যম নিয়ে।
বর্তমান বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গোল্ডেন কিংবা জিপিএ ৫ এর জন্য নিজ মেধাশক্তি কে কুরবানি করে।তাদের মাথায় এখন একটাই চিন্তা ভাবনা আর তা হল পরিক্ষায় জিপিএ ৫ পাইতেই হবে।
আর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নিয়ম জারি করে বসেছে যে অমূক বিষয়ে এ+ না পাইলে তুমি এখানে ভর্তি পরিক্ষা দিতে পারবনা।
আর দেশের স্কুল কলেজ গুলোও নিজেদের নাম বাড়াতে আর কারি কারি টাকা কামাতে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেয় অপ্রয়োজনীয় বইয়ের বোঝা। আর এই জিপিএ -৫ এর জন্য অনেক বিজ্ঞানী হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে ব্যাংকার, ব্যাংকার হচ্ছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হচ্ছে বেকার।সবাই তাদের ইচ্ছেগুলোকে বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছে। এতে কি দেশের কোন লাভ হচ্ছে?
না,এই প্রশ্নের উত্তর, ''দেশের ক্ষতি হচ্ছে''।
যদি সবাই সবার ইচ্ছা ও লক্ষ অনুযায়ী সামনের দিকে অগ্রসর হত তাহলে হয়তো বর্তমান বিশ্বে আমাদেরই রাজত্ব চলতো। বাংলাদেশে সকল পেশার মানুষ থাকতো।
.........আমাদের তখন আর ওই চাইনিজ থার্ড ক্লাস মোবাইলের পিছনে ছুটতে হত না, আমরাই স্মার্টফোনের রূপরেখা আঁকতাম।।....
.....তখন রাশিয়া থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড বিমান কিনে আনতে হত না বরং আমরাই গরিব দেশগুলোতে বিমান সাপ্লাই দিতাম।.......
.....আমাদের তখন ইন্ডিয়ার নষ্টা সিরিয়াল দেখে পরিবারের শান্তি বিনষ্ট করতে হত না বরং আমরাই নতুন নতুন চলচ্চিত্র টৈরী করে বিশ্ব কে চমকে দিতাম।..........
.........আমাদের তখন আর ব্রাজিল আর্জেন্টিনা -রে নিয়ে মাথা ফাটানোর দরকার হত না কেননা তখন আমাদের ন্যাশনাল ফুটবল টিমেই থাকতো নেইমার -মেসি হতে দ্বিগুণ ট্যালেন্টেড ফুটবলার........
........তখন আর আমাদের অন্য দেশের ডিজাইনারের তৈরি পোশাক তৈরি করতে হত না উল্টো আমাদের দেশেই ফ্যাশন ডিজাইনারদের মেলা বসে যেত.........
..... আমাদের তখন বিদেশীদের তৈরি প্রযুক্তি (সোস্যাল নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করতে হত না বরং উল্টো আমাদের দেশের কোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান 'টেক জায়ান্ট ' শিরোনামে পত্রিকার ব্রেকিং নিউজ হিসেবে পাবলিশ হত।..........
তাহলে একটি অন্যরকম, সায়েন্টিফিক, সাংস্কৃতিক, শান্তিময়, আত্নরক্ষাশীল বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি এবং শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা স্বাধীনতা প্রদান করা বাঞ্চনীয়...!..........।।।।।।
লেখক : আদিব আখন্দ(facebook.com/akhandadib)