আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে জলকদর খাল। খাল বলা হলেও এটি অনেকটা ছোট নদীর মতই। সাঙ্গু নদী থেকে খালটি উৎপন্ন হয়ে দক্ষিন চট্রগ্রামের বাঁশখালীর পশ্চিম দিককে দু'ভাগ করে এগিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া প্রণালীতে মিশেছে। আমার শৈশবের অনেক গুলো দিন গ্রামে কেটেছে। এই খালের উপর একটা ব্রিজ আছে। স্টিলের ব্রিজ। ব্রিজ পার হয়েই ওপারে স্কুলে যেতাম। খালের পানি লবণাক্ত। বঙ্গোপসাগরের অনেক গুলো ছোট ছোট খালের সাথে এর সরাসরি সংযুক্তি আছে। সাগরে জোয়ার হলেই এই খালেও জোয়ার হয়। এখানের মানুষের প্রধান জীবিকা সাগরে মাছ ধরা এবং লবণ চাষ। যখন ব্রিজ ছিল না তখন সাম্পানে করে খাল পার হয়ে এপারের ছাত্র ছাত্রীরা ওপারের স্কুলে যেত। এই খাল নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে। আছে কুসংস্কার। এই অঞ্চলের অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহ এই খাল। শুষ্ক মৌসুমে এই খালের পানি দিয়েই কয়েকশ একর জমিতে লবণ চাষ হয়। বর্ষাকালে একই জমিতে হয় সামুদ্রিক মাছের ঘের। প্রতিদিন সন্ধ্যায় খালেরর পার মুখরিত থাকে জেলেদের মাছ ধরার নৌকায়। শীতকালে খালের পারে সামুদ্রিক মাছ শুকিয়ে শুটকি তৈরি করা হয়। ব্রিজ পার হয়ে ওপারে পশ্চিম দিকে ১ কিলোমিটার এগুলেই বঙ্গোপসাগর। গ্রামে গেলে সাগরের ভেড়ীবাধে প্রায়ই যাওয়া হয়। বিকেলে ওখান থেকে পূর্ব দিকে জলদি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আকাশ ছোয়া পাহাড় গুলো এবং উত্তর পশ্চিমে চট্টগ্রাম বন্দরের আলো সাগরের পানির একাংশকে লালছে রংয়ে রাঙ্গিয়ে দেয়। এই খাল নিয়ে তোলা আমার কিছু ছবি এবং কয়েকটা সংগৃহীত ছবি নিয়ে এই ফটো ব্লগ। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার নই। সবই মোবাইল ক্যামেরায় তোলা।
ছবি -১
ছবি - ২
ছবি - ৩
ছবি - ৪
ছবি - ৫
ছবি - ৬
ছবি - ৭
ছবি - ৮
ছবি - ৯
ছবি - ১০
ছবি - ১১
ছবি - ১২
ছবি - ১৩
ছবি - ১৪
ছবি - ১৫ জলকদর খাল এখানে সাঙ্গু নদীর সাথে মিশেছে।
ছবি - ১৬ অবশিষ্ট প্যারা বন।
মানচিত্রে জলকদর খাল কুতুবদিয়া প্রণালীতে মিশেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪