somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে ব্লগারদের অংশগ্রহণে বিশেষ বৈঠকী

১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিষয়

যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা
ব্লগার ও সচেতন প্রজন্মের চোখে


তারিখ ও সময়

১৩ জানুয়ারি, শুক্রবার, বেলা ২-৫টা

ভেন্যু
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সেমিনার হল (নিচতলা)
সেগুনবাগিচা (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাছে), ঢাকা

মূল প্রবন্ধ
আইয়ুব হোসেন

প্রধান অতিথি
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু

সভাপতি
ডা. এম এ হাসান

আলোচক
দেশের আলোচিত ব্লগার, ফেসবুকার ও সচেতন অ্যাকটিভিস্ট,
শিক্ষক, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিকর্মীরা


আপনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।




আয়োজক
স্বপ্নের স্বদেশ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সামাজিক ফোরাম



সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার চল্লিশ বছর অতিক্রান্ত হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেমন বাস্তবায়িত হয়নি, তেমনি বাস্তবায়নের পথে বাধাও রয়েছে অনেক।

বিশেষত পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, স্বাধীনতা-বিরোধীদের রাজনৈতিক পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ইতিহাস-বিকৃতি, মুিক্তযুদ্ধবিরোধী অপপ্রচার, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি নেতিবাচক কারণে দেশের মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর প্রজন্ম যেমন বিভ্রান্ত, তেমনি তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে তেমন কোনো দিকনির্দেশনাও পায়নি।

বিশেষত অপরাজনীতি, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, অধিক জনসংখ্যা এবং সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাহীনতা এবং সঠিক কল্যাণনীতির অভাবে তরুণ প্রজন্ম হতাশ, বিভ্রান্ত এবং কখনো কখনো বিপথগামী।

এসবের হাত ধরে যেমন দেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে তার মূল স্বপ্ন ও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে চলেছে।

দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস ও রাজনীতি-সচেতন করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার গৌরবকে সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করে চলেছে স্বপ্নের স্বদেশ ফোরাম।

প্রকৃত প্রস্তাবে, যে মহান স্বপ্ন নিয়ে দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, লাখো মুক্তিযোদ্ধা মরণপণ যুদ্ধ করেছেন এবং দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দ নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নই স্বপ্নের স্বদেশ ফোরামের প্রধান উদ্দেশ্য।



কেন এই বিশেষ বৈঠকী


বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশপ্রেমিক জনগণের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি। আর এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন এবং এই বিচারে তারা প্রতিশ্র“তিবদ্ধ ও উদ্যোগী। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন অপপ্রচার, প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সরব প্রশ্রয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের তৎপরতা এবং বিচার-উদ্যোগী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে জনমনে সন্দেহ রয়েছে যে, আদৌ এই সরকারের আমলে বিচার সম্পন্ন হবে কিনা।

অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি-প্রজন্ম বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক, কখনো কখনো রাজনীতির ক্ষেত্রেও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন বিষয়ে কেবল সচেতনই করে না, জনমত গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সারা পৃথিবীতেই ব্লগার কমিউনিটি এই কাজটি করে চলেছে। বাংলাদেশেও কয়েক হাজার ব্লগার রয়েছেন, এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছেন। সেহেতু বর্তমান সরকারের প্রধান স্লোগান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আর ব্লগাররা ডিজিটাল প্রজন্মেরই সক্রিয় প্রতিনিধি এবং শিক্ষিত ও সচেতন তরুণ জনগোষ্ঠীতে তাদের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে, তাই যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে তাদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

উদ্দেশ্য

গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ব্লগারদের সম্মিলন ঘটানো এবং এই ইস্যুতে তাদের কণ্ঠস্বরকে দেশে-বিদেশে তুলে ধরা এবং যুদ্ধাপরাধী এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে জনগণের অবস্থানকে আরো শক্ত করা।

সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো বিভিন্ন ব্লগ, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে ব্যাপকমাত্রায় নিজেদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে এ ধরনের একটি আয়োজন তাদেরকে যৌক্তিকভাবে প্রতিহত করতেও বেশ কাজে লাগবে।

কর্মপদ্ধতি

বিভিন্ন মাধ্যমে ব্লগারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও প্রচারণা।

তাদের যৌক্তিক ও গুরুত্বপর্ণ মতামতগুলো গণমাধ্যম ও সামাজিক সাইটগুলোতে তুলে ধরা এর ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালানো (যেমন : ব্লগে ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি, বিভিন্ন ধরনের সভা ও অনুষ্ঠান আয়োজন)।

আলোচ্য বিষয়

যুদ্ধপরাধ কী।
যুদ্ধাপরাধী কারা।
বাংলাদেশে কী ধরনের অপরাধ হয়েছিল।
কেন এর বিচার হওয়া দরকার।
স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের তৎপরতা।
সরকারের আরো কী ভূমিকা পালন করা উচিত।
কীভাবে এই ইস্যুটিকে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
কেন জনগণের এই বিচারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা উচিত। এবং
এ ব্যাপারে ব্লগার ও চেতনশীল ব্যক্তিরা কী ধরনের ভূমিকা নিতে পারেন।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×