যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে ব্লগারদের অংশগ্রহণে বিশেষ বৈঠকী
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিষয়
যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা
ব্লগার ও সচেতন প্রজন্মের চোখে
তারিখ ও সময়
১৩ জানুয়ারি, শুক্রবার, বেলা ২-৫টা
ভেন্যু
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সেমিনার হল (নিচতলা)
সেগুনবাগিচা (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কাছে), ঢাকা
মূল প্রবন্ধ
আইয়ুব হোসেন
প্রধান অতিথি
নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু
সভাপতি
ডা. এম এ হাসান
আলোচক
দেশের আলোচিত ব্লগার, ফেসবুকার ও সচেতন অ্যাকটিভিস্ট,
শিক্ষক, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিকর্মীরা
আপনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।
আয়োজক
স্বপ্নের স্বদেশ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সামাজিক ফোরাম
সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার চল্লিশ বছর অতিক্রান্ত হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেমন বাস্তবায়িত হয়নি, তেমনি বাস্তবায়নের পথে বাধাও রয়েছে অনেক।
বিশেষত পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, স্বাধীনতা-বিরোধীদের রাজনৈতিক পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ইতিহাস-বিকৃতি, মুিক্তযুদ্ধবিরোধী অপপ্রচার, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি নেতিবাচক কারণে দেশের মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর প্রজন্ম যেমন বিভ্রান্ত, তেমনি তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে তেমন কোনো দিকনির্দেশনাও পায়নি।
বিশেষত অপরাজনীতি, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, অধিক জনসংখ্যা এবং সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাহীনতা এবং সঠিক কল্যাণনীতির অভাবে তরুণ প্রজন্ম হতাশ, বিভ্রান্ত এবং কখনো কখনো বিপথগামী।
এসবের হাত ধরে যেমন দেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে তার মূল স্বপ্ন ও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে চলেছে।
দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস ও রাজনীতি-সচেতন করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার গৌরবকে সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করে চলেছে স্বপ্নের স্বদেশ ফোরাম।
প্রকৃত প্রস্তাবে, যে মহান স্বপ্ন নিয়ে দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, লাখো মুক্তিযোদ্ধা মরণপণ যুদ্ধ করেছেন এবং দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দ নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নই স্বপ্নের স্বদেশ ফোরামের প্রধান উদ্দেশ্য।
কেন এই বিশেষ বৈঠকী
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশপ্রেমিক জনগণের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি। আর এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন এবং এই বিচারে তারা প্রতিশ্র“তিবদ্ধ ও উদ্যোগী। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন অপপ্রচার, প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সরব প্রশ্রয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের তৎপরতা এবং বিচার-উদ্যোগী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে জনমনে সন্দেহ রয়েছে যে, আদৌ এই সরকারের আমলে বিচার সম্পন্ন হবে কিনা।
অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি-প্রজন্ম বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক, কখনো কখনো রাজনীতির ক্ষেত্রেও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন বিষয়ে কেবল সচেতনই করে না, জনমত গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সারা পৃথিবীতেই ব্লগার কমিউনিটি এই কাজটি করে চলেছে। বাংলাদেশেও কয়েক হাজার ব্লগার রয়েছেন, এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছেন। সেহেতু বর্তমান সরকারের প্রধান স্লোগান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আর ব্লগাররা ডিজিটাল প্রজন্মেরই সক্রিয় প্রতিনিধি এবং শিক্ষিত ও সচেতন তরুণ জনগোষ্ঠীতে তাদের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে, তাই যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে তাদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
উদ্দেশ্য
গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ব্লগারদের সম্মিলন ঘটানো এবং এই ইস্যুতে তাদের কণ্ঠস্বরকে দেশে-বিদেশে তুলে ধরা এবং যুদ্ধাপরাধী এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে জনগণের অবস্থানকে আরো শক্ত করা।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো বিভিন্ন ব্লগ, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে ব্যাপকমাত্রায় নিজেদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে এ ধরনের একটি আয়োজন তাদেরকে যৌক্তিকভাবে প্রতিহত করতেও বেশ কাজে লাগবে।
কর্মপদ্ধতি
বিভিন্ন মাধ্যমে ব্লগারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও প্রচারণা।
তাদের যৌক্তিক ও গুরুত্বপর্ণ মতামতগুলো গণমাধ্যম ও সামাজিক সাইটগুলোতে তুলে ধরা এর ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালানো (যেমন : ব্লগে ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি, বিভিন্ন ধরনের সভা ও অনুষ্ঠান আয়োজন)।
আলোচ্য বিষয়
যুদ্ধপরাধ কী।
যুদ্ধাপরাধী কারা।
বাংলাদেশে কী ধরনের অপরাধ হয়েছিল।
কেন এর বিচার হওয়া দরকার।
স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের তৎপরতা।
সরকারের আরো কী ভূমিকা পালন করা উচিত।
কীভাবে এই ইস্যুটিকে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
কেন জনগণের এই বিচারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা উচিত। এবং
এ ব্যাপারে ব্লগার ও চেতনশীল ব্যক্তিরা কী ধরনের ভূমিকা নিতে পারেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।