একটি প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানতে পারে, একজন গণমাধ্যম কর্মীই সেদিন ছাত্রলীগের ক্যাডারদের কাছে বিশ্বজিৎকে চিহ্নিত করিয়ে দিয়েছিলেন।
ওই পত্রিকারই একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ১০ ডিসেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি ছিল এরকম- বিশ্বজিৎ নামের এ ছেলেটিকে পিটিয়ে মারতে টেলিভিশনের এক সাংবাদিক উস্কানি দিয়েছেন। ওই সাংবাদিকই নাকি বিশ্বজিত্কে ছাত্রলীগ কর্মীদের দেখিয়ে দেন।
ভালো ছবি ও ফুটেজের স্বার্থে ইদানিং গণমাধ্যম কর্মীদের অনেকেই পিকেটারদের উস্কানি দিচ্ছেন। কারণ, ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া যতো জমজমাট হবে, ছবিও হবে ততোই ফাটাফাটি।
তাই পিকেটাররা যখন পিকেটিং করে লুকিয়ে পড়েন, তখন তাদের লুকিয়ে পড়ার পথটিও কোনো কোনো সময় সংবাদ কর্মীরা দেখিয়ে দেন অতি উৎসাহী হয়ে। স্বার্থ হলো, পুলিশ যদি তখন গিয়ে পিকেটারদের ওপর চড়াও হয়, তাহলে ফুটেজটা ভালো হবে।
এ প্রবণতাটি আমি যখন মাঠে রিপোর্টিংয়ে ছিলাম, তখনো দেখেছি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, বাম দল, জাতীয় পার্টির ডাকা হরতালের সময়ে দুই-একজন সাংবাদিক বন্ধুর মধ্যে এ আচরণ দেখেছি।
কেউ হয়তো ককটেল মেরে বা রিকশা উল্টিয়ে সাধারণের সঙ্গে মিশে গেছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের কেউ কেউ পুলিশ ডেকে তাকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। এ দলে আগে ছিলেন এক-দুই জন। এখন গণমাধ্যমের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও দলভারী হয়েছে।
--তুষার আবদুল্লাহ, বার্তাপ্রধান, সময় টিভি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




